এইচআইভি ভাইরাস শরীরে নিয়ে জন্ম নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের একটি শিশুর সেরে ওঠার লক্ষণ দেখতে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। তাঁরা বিশেষ ধরনের একটি ওষুধ প্রয়োগ করে এ সাফল্য পেয়েছেন।
গবেষকেরা আশা করছেন, বিশেষ ধরনের এ চিকিত্সা পদ্ধতিটি সফল হলে শিশুদের এইচআইভি সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।
তাঁরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঞ্চলের মফস্বলের একটি হাসপাতালে শরীরে এইচআইভি ভাইরাস নিয়ে জন্ম হয়েছিল মেয়েশিশুটির। শিশুটির বয়স যখন এক বছর পূর্ণ হয়, তখন থেকেই তাকে চিকিত্সা দেওয়া শুরু হয়েছিল। এখন তার বয়স আড়াই বছর। গত এক বছরে শিশুটির শরীরে এইচআইভি-সংক্রান্ত কোনো জটিলতা দেখতে পাননি গবেষকেরা। তাঁরা অবশ্য আরও পর্যবেক্ষণ করবেন এবং এ চিকিত্সা পদ্ধতিটি নিয়ে পরীক্ষা চালাবেন বলেই জানিয়েছেন।
গবেষকদের ভাষ্য, মেয়েটি যদি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে, তবে এইচআইভি থেকে রক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ঘটনা হবে এটি। ২০০৭ সালে টিমোথি রে ব্রাউন নামে একজন ব্যক্তি এইচআইভি থেকে রক্ষা পান।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেবোরাহ পারসুদ আটলান্টায় অনুষ্ঠিত রেট্রোভাইরাসেস অ্যান্ড অপরচুনিস্টিক ইনফেকশনস নামক এক সম্মেলনে এ সাফল্যের কথা জানান।
গবেষক পারসুদ জানিয়েছেন, শিশুদের এইচআইভি নিরাময়যোগ্য হতে পারে—এ পরীক্ষা তা প্রমাণ করেছে। যে শিশুটিকে নিয়ে এ পরীক্ষা করা হয়েছে তার ক্ষেত্রে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি ছিল সর্বোচ্চ। গবেষকেরা মেয়েটির চিকিত্সায় দ্রুততম সময়ে এ ওষুধ প্রয়োগ করেন।