নরসিংদীতে পুলিশের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
উঠেছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে শহরের একটি আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। ওই
পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, ব্র্যাকের শিক্ষা প্রকল্পের
কিশোর-কিশোরী উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় অনূর্ধ্ব-১৬ (মেয়ে) ফুটবল ও ক্রিকেট
টুর্নামেন্ট নরসিংদীর পাঁচদোনা স্যার কে জি গুপ্ত উচ্চবিদ্যালয় মাঠে
অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতা শেষ হয় গত
শনিবার। প্রতিযোগিতায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের ছয়টি
দলের ১০৮ জন মেয়ে খেলোয়াড় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা চলাকালে তারা শহরের নিরালা
আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে।
একই সময় নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সদ্য যোগ দেওয়া পুলিশ পরিদর্শক মো.
শফিকুল ইসলাম (৫০) হোটেলের চতুর্থ তলার একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন। শনিবার
দিবাগত রাত একটার দিকে তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মেয়ে খেলোয়াড়দের একটি
কক্ষে টোকা দেন। এ সময় ওই কক্ষে একজন মেয়ে খেলোয়াড় ছিল। টোকার শব্দে মেয়েটি
দরজা খুললে শফিকুল তাকে জোর করে তাঁর কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ
সময় ওই কিশোরীর চিৎকারে অন্য সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে। পরে গতকাল সকালে
পুলিশ শফিকুলকে হোটেল থেকে নিয়ে যায়।
আয়োজকদের ক্রিকেট প্রশিক্ষক মাহমুদুল আলম বলেন, ‘নিচতলার একটি কক্ষে ছিলাম।
ওপরে গিয়ে আমি শফিকুলকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি ভুল হয়ে গেছে বলে
আমার কাছে ক্ষমা চান। পরে পুলিশকে জানালে এক পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে থানায়
নিয়ে যান।’ সদর উপজেলার ইউএনও বলেন, ‘আমরা ঘটনার শিকার মেয়েটি ও তার
সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। পুলিশের কাছে এ ধরনের অশোভন
আচরণ আমাদের কাম্য নয়।’ পুলিশ কর্মকর্তা শফিকুলের বাড়ি মানিকগঞ্জের
দৌলতপুরে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুব্রত হালদার বলেন, ‘শফিকুল ইসলাম সম্প্রতি
আমাদের কার্যালয়ে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে এখনো কোথাও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তাঁকে
পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার
প্রস্তুতি চলছে।’