অনেকেই হয়তো আশা করেছিলেন যে স্মার্টফোন যদি হাতে পরা যেত! তাঁদের জন্য সুখবর। শিগগিরই হাতঘড়ি ব্যবহার করেই ফোনকল থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ব্রাউজ, ছবি তোলা এমনকি ভিডিওচিত্রও ধারণ করা যাবে।
অবশ্য বাজার গবেষকেরা এ আশায় আরও রসদ জুগিয়ে বলছেন, চলতি বছর হবে পরিধেয় প্রযুক্তির বছর। অর্থাত্ এ বছর হাতঘড়ি ও চশমার মতো প্রযুক্তিপণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে। তার অর্থ—এমনতরো আরও বেশ কিছু স্মার্ট পণ্য চলতি বছরেই বাজারে আসবে।
এ বিষয়ে মানুষের আগ্রহের কথা মাথায় রেখে কানাডার ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা নেপচুন কম্পিউটার সম্প্রতি এমন একটি হাতঘড়ি তৈরি করছে, যা স্মার্টফোনের মতোই ব্যবহার করা যাবে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গিজম্যাগ।
নেপচুনের তৈরি করা এ হাতঘড়ির নাম হবে ‘পাইন’। নকশা পর্যায়ে থাকা এ হাতঘড়িতে মাইক্রো সিমকার্ড ব্যবহার করে ফোন করা যাবে। এ ছাড়া এর মাধ্যমে ই-মেইল পাঠানো, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার করা, গান শোনা, ভিডিওচিত্র দেখা ও অডিও-ভিডিও ধারণ করা যাবে। হাতঘড়িতে থাকবে পাঁচ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, হার্ট রেট মনিটর, এফএম রেডিও, ডিজিটাল কম্পাস। নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন বা এনএফসি প্রযুক্তির ‘পাইন’ হাতঘড়ি হবে পানিরোধী।
অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর ২.৪ ইঞ্চি মনিটরযুক্ত পাইন হাতঘড়িতে ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, ভারচুয়াল কোয়ারটি কিবোর্ড থাকবে।
নেপচুন কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, তাদের তৈরি ‘পাইন’ হাতঘড়ির পাশাপাশি ক্ষুদ্র স্মার্টফোন হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এ জন্য হাতঘড়ির বেল্ট খুলে রাখতে হবে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ ‘পাইন’ ব্র্যান্ডের হাতঘড়ি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাজারে আসতে পারে। এ পণ্যটির দাম হতে পারে প্রায় ৩৫০ মার্কিন ডলার।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, স্মার্টফোনের মতোই সব ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে বাজারে আসছে স্মার্ট হাতঘড়ি। তাই নতুন ক্রেতাদের ভাবতেই হবে স্মার্টফোন, নাকি স্মার্ট ওয়াচ?