মাঠে মোহাম্মদ আশরাফুল-মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ
‘চমক’ উপহার দিচ্ছে মাঠের বাইরেও। চোট-আঘাতের কারণে আজ এই খেলোয়াড় দলে
ঢুকলেন তো কাল হুট করে আরেকজন। সর্বশেষ গতকাল বিসিবি জানাল আবদুর রাজ্জাককে
টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্তির খবর। আজই গলে উড়ে গিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা
অভিজ্ঞ এই বাঁহাতি স্পিনারের।
প্রথম টেস্টের মাঝপথে হঠাৎ রাজ্জাককে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে প্রধান
নির্বাচক আকরাম খান কাল টেলিফোনে বলেছেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট একজন বাড়তি
বাঁহাতি স্পিনার চেয়েছে। তাদের চাহিদার ভিত্তিতে রাজ্জাককে দলে নেওয়া
হয়েছে।’
কিন্তু টেস্ট সিরিজের মাঝপথে কেন হঠাৎ রাজ্জাককে চেয়ে পাঠাল টিম
ম্যানেজমেন্ট? আকরামের ‘অনুমান’, ‘হয়তো প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসের বোলিং
দেখে ইলিয়াস সানির ওপর আস্থা রাখতে পারছে না তারা।’ ১৬ মার্চ কলম্বোর
প্রেমাদাসায় শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। তার আগে রাজ্জাককে নিয়ে টেস্ট দলের
খেলোয়াড় হলো ১৬ জন।
শ্রীলঙ্কা সফরের দল নিয়ে শুরু থেকেই নানা ঝামেলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে
নির্বাচক কমিটি। কিছু বিতর্কের সৃষ্টি করেছে নির্বাচকদের বক্তব্যও। টেস্ট
দল ঘোষণার সময় তাঁরা বলেছিলেন, এনামুল হক জুনিয়রকে দলে নেওয়া হলেও তাঁর
সঙ্গে নাকি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে মোশাররফ হোসেন ও সাকলাইন সজীবের।
অথচ চোটের কারণে এনামুল বাইরে চলে গেলে মোশাররফ-সাকলাইনকে না নিয়ে
নির্বাচকেরা নিলেন সানিকে। অন্য কাউকে নিলে নাকি বোলিং আক্রমণে অভিজ্ঞতার
ঘাটতি দেখা দেবে। সেই অভিজ্ঞ সানিও যখন আস্থার প্রতিদান দিতে পারলেন না,
ডাক পড়ল আরও অভিজ্ঞ রাজ্জাকের।
প্রধান নির্বাচক অবশ্য বলেছেন রাজ্জাককে পাঠানোর অনুরোধ নাকি
কোচ-অধিনায়কেরই, ‘রাজ্জাকের কথা আলাদা করেই বলেছেন কোচ ও অধিনায়ক। গত জাতীয়
লিগে ও ৫ ম্যাচে ৪৩ উইকেট নিয়েছে। বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এই ফর্মটাও।’ তা
ছাড়া টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে সিরিজে রাজ্জাক তো আছেনই। দ্বিতীয় টেস্টের আগে
টিম ম্যানজমেন্টের চিন্তাভাবনার সুযোগ বাড়িয়ে দিয়ে না হয় একটু আগেই গেলেন
শ্রীলঙ্কায়।
২০১১ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে নিজের সর্বশেষ টেস্টটা
খেলেছেন রাজ্জাক। এখন পর্যন্ত ৯ টেস্ট খেলে পেয়েছেন ১৮ উইকেট। দ্বিতীয়
টেস্টের দলে সুযোগ পেলে শ্রীলঙ্কায় তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের পুনরুজ্জীবনই
আশা করবেন সবাই।