প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার সকালে মিরপুর-বিমানবন্দর উড়ালসড়কের
উদ্বোধন করেছেন। নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই এটি উদ্বোধন করা হলো। এরপর
প্রধানমন্ত্রী উড়ালসড়কটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ইকবাল করিম
ভূঁইয়া। উড়ালসড়কটি সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া
হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশনের অধীনে ১৬
ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করে মীর আক্তার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড।
উড়ালসড়কটি মিরপুরের মাটিকাটা থেকে শুরু হয়ে বিমানবন্দর সড়কে (জিয়া
কলোনিসংলগ্ন) শেষ হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য এক হাজার ৭৯৩ মিটার। সেনাবাহিনীর
অধীনে এই প্রকল্পের আওতায় মিরপুর-বিমানবন্দর সড়ক উড়ালসড়ক, সংযোগ-সেতু
এবং বনানী রেলক্রসিংয়ের ওপর আরেকটি উড়ালসড়ক নির্মিত হয়েছে। সব কটি
প্রকল্পের ব্যয় ৩৬০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। রেলক্রসিংয়ের ওপর নির্মিত
উড়ালসড়কটি গত ডিসেম্বর মাসে চালু হয়। আজ মিরপুর-বিমানবন্দর সড়ক
উড়ালসড়ক ও সংযোগ সড়কটি চালু হলো।
৫৬১ মিটার সংযোগ সেতুটি বনানী রেলক্রসিংয়ের ওপর নির্মিত ৮০৪ মিটার দীর্ঘ
উড়ালসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান,
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে বনানীর রেলক্রসিংয়ে ট্রেন চলাচলের সময়
যানবাহনগুলোর অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। এতে মিরপুর থেকে সেনানিবাসের ওপর
দিয়ে উড়ালসড়ক ধরে বিমানবন্দর সড়কের দূরত্ব দাঁড়াবে তিন কিলোমিটার। এই
পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ১৫-২০ মিনিট। বর্তমানে মিরপুর থেকে বিমানবন্দর
যেতে হলে আগারগাঁও হয়ে প্রায় ১১ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়।