চার্চের নিয়ম ভেঙে হলি থার্সডের আনুষ্ঠানিকতার সময় কিশোরদের পাশাপাশি দুই
তরুণীর পা ধুয়ে দিয়েছেন নতুন পোপ ফ্রান্সিস। এরপর তাঁদের পায়ে চুমুও
খেয়েছেন। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রোমের ক্যাসেল দেল মারমো কিশোর অপরাধ
কেন্দ্রে গতকাল বৃহস্পতিবার দুই তরুণী ও ১০ জন কিশোরের পা ধুয়ে দিয়েছেন
পোপ ফ্রান্সিস। এরপর তিনি তাঁদের পা মুছে চুমু খেয়েছেন।
এর আগে কোনো পোপ কোনো নারীর পা ধুয়ে দেননি এবং পায়ে চুমুও খাননি। পোপ
ফ্রান্সিসের এই পদক্ষেপ রক্ষণশীলদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
সমালোচকেরা বলছেন, পোপ একটি প্রশ্নবিদ্ধ উদাহরণ স্থাপন করেছেন।
ভ্যাটিকান থেকে প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ৭৬ বছর বয়সী ফ্রান্সিস
মেঝেতে হাঁটু গেড়ে বসে কয়েকজন কিশোর-কিশোরীর পায়ে পানি ঢালছেন। তাঁদের
মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ, নারী ও পুরুষ রয়েছে। এমনকি কারও কারও পায়ে
উল্কিও ছিল। এরপর পোপ তাঁদের পা মুছে দিয়েছেন এবং ঝুঁকে তাঁদের পায়ে চুমু
দিয়েছেন।
কিশোর অপরাধীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘ভালোবাসা ও
সেবার উদাহরণ হিসেবে ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার প্রাক্কালে যিশু তাঁর ভক্তদের পা
ধুয়ে দিয়েছেন। এটা একটা প্রতীক। একটা চিহ্ন। তোমাদের পা ধুয়ে দেওয়ার
অর্থ আমি তোমাদের সেবায় নিয়োজিত।’
১৪ থেকে ২১ বছর বয়সী ওই অপরাধীদের উদ্দেশে ফ্রান্সিস বলেন, ‘পরস্পরকে
সাহায্য করো। এটাই যিশুর শিক্ষা। আমি তাই করছি। আমি আমার অন্তর থেকেই এটা
করছি। কারণ, এটা আমার দায়িত্ব। একজন যাজক হিসেবে আপনাদের সেবা করা আমার
দায়িত্ব।’