শেষ পর্যন্ত ড্রয়ে নিষ্পত্তি হলো গল টেস্ট। জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে
বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৬৮ রান। দিনের খেলা বাকি ছিল ন্যূনতম ৩৭ ওভার। তবে
টেস্ট নিশ্চিত ড্র হতে চলেছে বলে দুই দলের সম্মতির ভিত্তিতে ২২ ওভার পরই
বন্ধ হয়ে যায় খেলা।
টেস্টে ড্রয়ের স্বাদ এর আগেও পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে গল টেস্টে ড্রয়ের
স্বাদটা একেবারে ভিন্ন। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে তো বটেই, এ টেস্টে বাংলাদেশি
ব্যাটসম্যানরা চমকে দিয়েছেন গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে। এটাও কম গৌরবের নয়।
সত্যি, গলে জয় ছাড়া কী পায়নি বাংলাদেশ! নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ডাবল
সেঞ্চুরি, মোহাম্মদ আশরাফুলের অন্যরূপে ফেরা, মমিনুল-নাসিরের দুর্দান্ত
ব্যাটিং, টেস্টে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। সবকিছু ছাপিয়ে প্রথম ইনিংসে
বাংলাদেশের ৬৮ রানের লিড।
৪ উইকেটে ৫৭০ রান তুলে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল স্বাগতিক
শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানরা বোধ হয় ধরেই নিয়েছিল, তাঁদের ছুঁড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ
হাবুডুবু খাবে বাংলাদেশ। কিন্তু আশরাফুল-মুশফিকুর-নাসিরদের ঈর্ষণীয়
ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের ধারণাটা মিথ্যে প্রমাণিত হয়।
মাত্র ১০ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে
মুশফিকুর পেরেছেন। টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল
সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন মুশফিকুর। সেঞ্চুরি করেন নাসির হোসেনও। শেষ
পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ৬৩৮ রান করে থামে বাংলাদেশ। এটাই টেস্টে বাংলাদেশের
সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৫৭০/৪, ঘোষণা
থিরিমান্নে ১৫৫*, সাঙ্গাকারা ১৪২, চান্দিমাল ১১৬*
সোহাগ গাজী ৩/১৬৪, আবুল ১/১১২
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৬৩৮/১০
মুশফিকুর ২০০, আশরাফুল ১৯০, নাসির ১০০, মমিনুল ৫৫
ইরাঙ্গা ২/১২২, মেন্ডিস ২/১৫২, কুলাসেকেরা ২/৯৪, হেরাথ ১/১৬১, দিলশান ২/৭৫
শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৩৫/৪, ঘোষণা
দিলশান ১২৬, সাঙ্গাকারা ১০৫, ভিতানাগে ৫৯, ম্যাথুস ৩৮*
মাহমুদউল্লাহ ৩/৭০, শাহাদাত ১/৩৩
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৭০/১
জহুরুল ৪১*, আশরাফুল ২২*
ইরাঙ্গা ১/৩০
ফল: টেস্ট ড্র।