টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চর গাছছড়া, রাজারছড়া ও লম্বরি এলাকায় সাগরে ভেসে
আসা ২১ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৩ জন শিশু।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে স্থানীয় জেলেরা তাদের লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ লাশগুলো উদ্ধার করে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ) দিদারুল ফেরদৌস জানান, শিশুদের
বয়স দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে। তিনি আরও জানান, যাদের লাশ উদ্ধার করা
হয়েছে, তাদের পকেট থেকে মিয়ানমারের মুদ্রা পাওয়া গেছে। ধারণা করা
হচ্ছে, তারা মিয়ানমারের নাগরিক। তারা রোহিঙ্গা হতে পারে বলেও তিনি জানান।
দিদারুল ফেরদৌস আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’-এর কবলে পড়ে নৌকা ডুবে
তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। সৈকতের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো
হচ্ছে বলে জানান তিনি।
Showing posts with label সারা দেশ. Show all posts
Showing posts with label সারা দেশ. Show all posts
Thursday, May 16, 2013
টেকনাফে শিশুসহ ২১ জনের লাশ উদ্ধার
ফেন্সিডিল সহ পুলিশ কনস্টেবল আটক
৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ জাহিদুল ইসলাম (৩২) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আটক হয়েছেন খুলনার ডুমুরিয়া থানা পুলিশের হাতে।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
জাহিদুল খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন আজাদের গাড়ি চালক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গুটুদিয়া সড়কের টহল পুলিশ মোটর সাইকেলে (বাগেরহাট ল ১১-০৩৯৫) ৫০ বোতল ফেন্সিডিল নিয়ে যাওয়ার সময় জাহিদুলকে আটক করে। তিনি ডুমুরিয়া থেকে খুলনার দিকে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং-১৬।
জাহিদুল সদর থানা পুলিশের গাড়ি চালক, তবে ওসির কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি মশিউর।
আটক পুলিশ সদস্য জাহিদুল বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী গ্রামের আলী আজগরের পুত্র।
এদিকে ফেন্সিডিল আটকের খবর যেন গণমাধ্যমে প্রচার না হয় সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের একটি পক্ষ তৎপর থাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে সাংবাদিকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
জাহিদুল খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন আজাদের গাড়ি চালক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গুটুদিয়া সড়কের টহল পুলিশ মোটর সাইকেলে (বাগেরহাট ল ১১-০৩৯৫) ৫০ বোতল ফেন্সিডিল নিয়ে যাওয়ার সময় জাহিদুলকে আটক করে। তিনি ডুমুরিয়া থেকে খুলনার দিকে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং-১৬।
জাহিদুল সদর থানা পুলিশের গাড়ি চালক, তবে ওসির কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি মশিউর।
আটক পুলিশ সদস্য জাহিদুল বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী গ্রামের আলী আজগরের পুত্র।
এদিকে ফেন্সিডিল আটকের খবর যেন গণমাধ্যমে প্রচার না হয় সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের একটি পক্ষ তৎপর থাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে সাংবাদিকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
৫ ঘণ্টার মধ্যে নোয়াখালী অতিক্রম করবে মহাসেন
উত্তর বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মহাসেন দ্রুত উপকূল ঘেঁষে
উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে মেঘনা
মোহনার কাছ দিয়ে চট্টগ্রাম-নোয়াখালী উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বেলা সাড়ে ১১টায় প্রকাশিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মহাসেন বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে, কক্সবাজার ১৪০ কিমি পশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর ১৪০ দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করেছিল (২১.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘমাংশ)।
উত্তর বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত ঝড় দ্রুত উপকূল ঘেঁষে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে মেঘনা মোহনার কাছ দিয়ে চট্টগ্রাম-নোয়াখালী উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, বরগুনা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহে ভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর লক্ষ্মীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলাগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ এবং ৮০ থেকে ৯০ কিমি গতিবেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমকালে ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মংলায় ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা-ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজ গুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১টায় প্রকাশিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মহাসেন বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে, কক্সবাজার ১৪০ কিমি পশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর ১৪০ দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করেছিল (২১.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘমাংশ)।
উত্তর বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত ঝড় দ্রুত উপকূল ঘেঁষে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে মেঘনা মোহনার কাছ দিয়ে চট্টগ্রাম-নোয়াখালী উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, বরগুনা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহে ভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর লক্ষ্মীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলাগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ এবং ৮০ থেকে ৯০ কিমি গতিবেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমকালে ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মংলায় ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা-ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজ গুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল ৫ ফুট পানির নিচে
ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’র তাণ্ডবে পটুয়াখালী জেলার নিম্নাঞ্চল চার থেকে পাঁচ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার সকালে ঝড়ের কবলে পড়ে মো. সিরাজ আকন্দ (৬০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার আওলিয়াপুর ইউনিয়নের বলাইকাঠি গ্রামে।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম শরীফ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সাইক্লোন শেল্টার সেন্টারে যাওয়ার পথে ঝড়ের তাণ্ডবে রাস্তার পাশে পড়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, পটুয়াখালীতে বুধবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে থেমে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আকাশ পরিষ্কার রয়েছে।
কিন্তু, বুধবার রাত থেকে পুরো জেলায় বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
জানা গেছে, এ সময়ের মধ্যে জেলার রাঙ্গাবালি উপজেলার চরবাংলা, চরআন্ডার ও চরমোন্তাজ, বাউফল উপজেলার চরবেরেট, চরমিনজান, দশমিনা, চরবাঁশবাড়িয়া ও সোনারচর, কলাপাড়া উপজেলার নিশান বাড়িয়া ও লালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম চার থেকে পাঁচ ফুট পানির নিচে ডুবে গেছে।
এতে বাদাম, মরিচ, ডালসহ বিভিন্ন রবি শস্য পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
রাঙ্গাবালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিয়াকত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রচণ্ড ঝড়ে উপকূলবর্তী উপজেলা রাঙ্গাবালিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আধাঘণ্টার ঝড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার বিভিন্ন ছোট-বড় গাছ উপড়ে গেছে। ভেঙে গেছে ৩০/৩৫টি কাঁচা ঘরবাড়ি।
কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঝড়ের আঘাতে কয়েক হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, কলাপাড়ার আলিপুরা বাজারের ২০/২২টি দোকান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কুয়াকাটার লতাচাপলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মোল্লা জানান, বৃষ্টিতে ঘরের মেঝে পর্যন্ত পানি জমেছে। তবে সাগরে জলোচ্ছ্বাসের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
এছাড়া বৃহস্পতিবার সকালে ঝড়ের কবলে পড়ে মো. সিরাজ আকন্দ (৬০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার আওলিয়াপুর ইউনিয়নের বলাইকাঠি গ্রামে।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম শরীফ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সাইক্লোন শেল্টার সেন্টারে যাওয়ার পথে ঝড়ের তাণ্ডবে রাস্তার পাশে পড়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, পটুয়াখালীতে বুধবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে থেমে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আকাশ পরিষ্কার রয়েছে।
কিন্তু, বুধবার রাত থেকে পুরো জেলায় বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
জানা গেছে, এ সময়ের মধ্যে জেলার রাঙ্গাবালি উপজেলার চরবাংলা, চরআন্ডার ও চরমোন্তাজ, বাউফল উপজেলার চরবেরেট, চরমিনজান, দশমিনা, চরবাঁশবাড়িয়া ও সোনারচর, কলাপাড়া উপজেলার নিশান বাড়িয়া ও লালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম চার থেকে পাঁচ ফুট পানির নিচে ডুবে গেছে।
এতে বাদাম, মরিচ, ডালসহ বিভিন্ন রবি শস্য পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
রাঙ্গাবালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিয়াকত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রচণ্ড ঝড়ে উপকূলবর্তী উপজেলা রাঙ্গাবালিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আধাঘণ্টার ঝড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার বিভিন্ন ছোট-বড় গাছ উপড়ে গেছে। ভেঙে গেছে ৩০/৩৫টি কাঁচা ঘরবাড়ি।
কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঝড়ের আঘাতে কয়েক হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, কলাপাড়ার আলিপুরা বাজারের ২০/২২টি দোকান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কুয়াকাটার লতাচাপলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মোল্লা জানান, বৃষ্টিতে ঘরের মেঝে পর্যন্ত পানি জমেছে। তবে সাগরে জলোচ্ছ্বাসের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
‘কক্সবাজার বিপদমুক্ত’
ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ নোয়াখালী চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকা
পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এ ঘুর্ণিঝড়টি
উপকূলীয় এলাকা পার হওয়ার সময় ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে উপকূলীয় জেলা
কক্সবাজারে এ ঘূণিঝড়েরর প্রভাব তেমন পড়েনি।
তবে সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড় বর্ধিতাংশের প্রভাবে জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বাংলানিউজকে বলেন,‘ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ নোয়াখালী চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকা পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’র যে প্রভাব পড়ার কথা থাকলেও খানিকটা দুর্বল হয়ে যাওয়ায় সেটা পড়েনি।তাই এ এলাকায় বড় আকারের আঘাত হানার আশঙ্কা কেটে গেছে।’
তিনি বলেন,‘মহাসেনের প্রভাব থেকে কক্সবাজার এখন বিপদমুক্ত।’
তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পরবর্তীতে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন,‘ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে ত্রিপুরার দিকে চলে যাওয়ার কোন তথ্য আমরা এখনও পাইনি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা ৭ নম্বর সংকেত পরবর্তী ঘোষণা না পর্যন্ত বহাল থাকবে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বাংলানিউজকে বলেন,‘ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ নোয়াখালী চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকা পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’র যে প্রভাব পড়ার কথা থাকলেও খানিকটা দুর্বল হয়ে যাওয়ায় সেটা পড়েনি।তাই এ এলাকায় বড় আকারের আঘাত হানার আশঙ্কা কেটে গেছে।’
তিনি বলেন,‘মহাসেনের প্রভাব থেকে কক্সবাজার এখন বিপদমুক্ত।’
তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পরবর্তীতে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন,‘ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে ত্রিপুরার দিকে চলে যাওয়ার কোন তথ্য আমরা এখনও পাইনি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা ৭ নম্বর সংকেত পরবর্তী ঘোষণা না পর্যন্ত বহাল থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা
কক্সবাজারের মহেশখালী ও টেকনাফের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া
গেছে। এসব এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের
প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকালে মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম ও
টেকনাফের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজের কাছে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়
‘মহাসেনে’র বর্ধিতাংশের প্রভাবে কক্সবাজার শহরসহ আশপাশের এলাকায় ধমকা হাওয়া
বইতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতও চলছে।
এদিকে বুধবার রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়
নেয়া লোকজনদের মধ্যে কিছু লোক বাড়িতে চলে গেছে। তারা বলেছেন, তাদের বাড়িতে
নজরদারি না থাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত
খাবারের ব্যবস্থা নেই। তাই তারা আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রশাসনের নজরদারী নেই। এ সুযোগে লোকজন রাতেই বাড়ি চলে যান।
তবে জেলা প্রশাসক জানান, জেলা সদরের
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বৃহস্পতিবার সকালেই শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া উপজেলাগুলোতে দুপুরের খিচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলার ৪১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ লোক আশ্রয় নিয়েছেন।
Wednesday, May 15, 2013
মহাসেন: বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা পেছালো
ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের কারণে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।
বুধবার বিকালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম জানান, আগামী ২৫ মে (শনিবার) এই পরীক্ষা হবে।
বুধবার বিকালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম জানান, আগামী ২৫ মে (শনিবার) এই পরীক্ষা হবে।
Tuesday, May 14, 2013
‘নিহত হেফাজতকর্মী সোহেল’ ক্লাস করছেন
গত ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধের সময় গুলিতে নিহত বলে প্রচারিত মাদ্রাসাছাত্র মো. সোহেল (১৮) বেঁচে আছেন।
সোহেল চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার উজানী মাদ্রাসার ছাত্র।
রোববার চাঁদপুরের স্থানীয় সাংবাদিকরা উজানী মাদ্রাসায় গিয়ে দেখতে পান অন্য
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সোহেল ক্লাস করছেন।
গত শনিবার (১১ মে) দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতার বরাত
দিয়ে সোহেলের মৃত্যুর খবরটি ছাপা হয়।
এছাড়া আগেরদিন (১০ মে) চাঁদপুরের স্থানীয় দৈনিক ইলশেপাড় পত্রিকায়ও সংবাদটি
প্রকাশিত হয়।
ইনকিলাবের সংবাদে বলা হয়, “৫ মে দিবাগত রাতে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি’র
সাঁড়াশি অভিযানে কচুয়া উজানী মাদ্রাসার ছাত্র শাহাদত বরণ করে।
“হেফাজতে ইসলামের ঐ কর্মীর নাম সোহেল (২৩)। বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে।”
দাউদকান্দি উপজেলার গোয়ালমারি ইউনিয়নের দক্ষিণ নর্দী গ্রামের আব্দুল আজিজ
মিয়ার ছেলে সোহেল উজানী মাদ্রাসার ছাত্র।
রোববার স্থানীয় চাঁদপুর প্রবাহের সাংবাদিক মো. মহিউদ্দিন এবং ভোরের কাগজের
জেলা সংবাদদাতা মো. রাকিবুল হাসান কথা বলেন সোহেলের সঙ্গে।
সোহেল তাদের বলেন, গত ৫ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে তিনি অংশগ্রহণ করেননি।
ওইদিন তিনি উজানী মাদ্রাসাতেই ছিলেন।
প্রকাশিত সংবাদটি গুজব বলেও জানান তিনি।
উজানী মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মাদ্রাসার
সোহেল নামের পাঁচজন ছাত্র রয়েছে। তারা সকলেই মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত রয়েছে।
এছাড়া ওইদিনের হেফাজতের সমাবেশে তাদের মাদ্রাসার কেউ নিহত হয়নি বলেও তিনি
নিশ্চিত করেন।
সোহেলের মৃত্যু সংক্রান্ত এ সংবাদটি গুজব, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন
তিনি।
bdnews24.com
‘হিজড়া’ সম্প্রদায় পুনর্বাসনে সরকারি কর্মসূচি
তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচিত ‘হিজড়া’ সম্প্রদায়ের নিরাপদ আবাসন, শিক্ষা ও
স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে বঞ্চিত হচ্ছে উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ
প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন জানিয়েছেন, ‘হিজড়া’ সম্প্রদায়কে পুনর্বাসনের
মাধ্যমে সমাজের স্বাভাবিক ধারায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায়
নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, “এ লক্ষ্যে ‘হিজড়া’ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও কর্মক্ষম ‘হিজড়াদের’ আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ দিতে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান অর্থবছরে বাজেট রাখা হয়েছে ৭২ লাখ টাকা।”
মঙ্গলবার সমাজসেবা অধিদফতরে ‘হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যেক নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। আর সে কারণেই কাউকে সমাজের মূলধারা থেকে সরিয়ে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
মানকিন বলেন, “কর্মসূচির আওতায় ‘হিজড়া’ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও কর্মক্ষম ‘হিজড়াদের’ আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। চলতি অর্থবছরে পাইলট কার্যক্রমের আওতায় ৭টি জেলায় এ কর্মসূচি পরিচালিত হবে।”
জেলাগুলো হচ্ছে- ঢাকা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, বগুড়া ও সিলেট। এ জন্য বর্তমান অর্থবছরে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে ৭২ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরে আরও ১৪টি জেলাকে কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। বর্তমান অর্থবছরে ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপবৃত্তি ও ৩৫০ জন কর্মক্ষম ‘হিজড়া’-কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সমাজকল্যাণ সচিব সুরাইয়া বেগম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. নাজমূল আহসান। এর আগে এ উপলক্ষে রাজধানীর বেতার ভবন থেকে সমাজসেবা অধিদফতর পর্যন্ত একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের নেতৃত্বে র্যালিতে ‘হিজড়া’ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
পরে ‘হিজড়া’ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর
তিনি বলেন, “এ লক্ষ্যে ‘হিজড়া’ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও কর্মক্ষম ‘হিজড়াদের’ আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ দিতে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান অর্থবছরে বাজেট রাখা হয়েছে ৭২ লাখ টাকা।”
মঙ্গলবার সমাজসেবা অধিদফতরে ‘হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যেক নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। আর সে কারণেই কাউকে সমাজের মূলধারা থেকে সরিয়ে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
মানকিন বলেন, “কর্মসূচির আওতায় ‘হিজড়া’ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও কর্মক্ষম ‘হিজড়াদের’ আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। চলতি অর্থবছরে পাইলট কার্যক্রমের আওতায় ৭টি জেলায় এ কর্মসূচি পরিচালিত হবে।”
জেলাগুলো হচ্ছে- ঢাকা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, বগুড়া ও সিলেট। এ জন্য বর্তমান অর্থবছরে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে ৭২ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরে আরও ১৪টি জেলাকে কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। বর্তমান অর্থবছরে ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপবৃত্তি ও ৩৫০ জন কর্মক্ষম ‘হিজড়া’-কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সমাজকল্যাণ সচিব সুরাইয়া বেগম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. নাজমূল আহসান। এর আগে এ উপলক্ষে রাজধানীর বেতার ভবন থেকে সমাজসেবা অধিদফতর পর্যন্ত একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের নেতৃত্বে র্যালিতে ‘হিজড়া’ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
পরে ‘হিজড়া’ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর
বাড়ছে পানি, আশ্রয়কেন্দ্র অভিমুখে উপকূলবাসী
তিনদিন ধরে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আতঙ্কে রয়েছেন সুন্দরবনসহ বৃহত্তর খুলনা
উপকূলের লাখ লাখ মানুষ। যে কোনো মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের আশঙ্কায়
নির্ঘুম রাতযাপন করছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার আশ্রয় কেন্দ্রে প্রয়োজনীয়
মালামাল নিয়ে রেখে আসছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অঞ্চলের আকাশে গুমোটভাব। মাঝে মধ্যে
কোথাও কোথাও ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্র ও নদীতে পানির
উচ্চতা বেড়েই চলছে। পানির উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের আতঙ্কের
মাত্রা।
এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আঘাত আনতে পারে- এ আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দর মংলায় এলার্ট-২ জারি রয়েছে। খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার বঙ্গোপসাগর প্রভাবিত উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে সতর্ক করে মাইকিং করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে থাকা মাছ ধরার ট্রলার ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে শুরু করেছে।
মংলা সমুদ্র বন্দরের নৌ-ঘাঁটি বিএনএস মংলার সব যুদ্ধজাহাজ খুলনার তিতুমীর নৌ-ঘাঁটিতে সরিয়ে আনা হয়েছে।
সার্বিক অবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য তিন জেলাতে ২৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ১০, বাগেরহাটে ১০ ও সাতক্ষীরায় ৮টি। এছাড়া জেলাগুলোর সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে ২৭৬ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ১১৬, বাগেরহাটে ৮২ ও সাতক্ষীরায় ৭৮।
খুলনা জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, ঘুর্ণিঝড় মহাসেনে প্রাণহানি এড়াতে খুলনা জেলায় ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝড়ের তীব্রতা বাড়লে উপকূলবাসীর পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা সদর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে উদ্ধার কাজের জন্য ট্রলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। খুলনার কয়রা থেকে দিঘলিয়া পর্যন্ত উপজেলা বাসীদের এ সম্পর্কে সতর্ক করে মাইকিং করা হচ্ছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার সাইক্লোন শেল্টারগুলো খুলে রাখা হয়েছে।
বাংলানিউজের বিশেষ অনুসন্ধানীতে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে কেবলমাত্র খুলনা জেলায় ১৬ জন এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলায় ২৩৯ জনের প্রাণহানি হয়। সর্বশেষ চলতি মাসের কালবৈশাখীর আঘাতে এ জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন দু’টি উপজেলায় ৫ জনের প্রাণহানি হয়।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আতঙ্কে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন উপকূলের যেসব স্থানে আশ্রয় কেন্দ্র নেই সেখানকার মানুষ। ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকেন।
বিশেষ এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, উপকূলীয় এলাকায় গড়ে ৬ হাজার ২৩৩ জনের জন্য একটি মাত্র সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। অথচ দুর্যোগকালীন এসব এলাকায় নির্মিত প্রতিটি সাইক্লোন শেল্টারে এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১২শ’ মানুষ আশ্রয় নিতে পারেন। অবশিষ্ট ৫ হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে।
সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলার স্কুল শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, বার বার এসব উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনলেও নির্মাণ করা হয়নি প্রয়োজনীয় আশ্রয় কেন্দ্র। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আঘাত আনলে আবারও উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসলীলা বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের খবরে সুন্দবনের সকল স্টেশন, ফাঁড়ি ও ক্যাম্পের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় রাখা হয়েছে। জেলে ও বনজীবীসহ পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রায় চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জলযানগুলোকে নিরাপদে রাখা হয়েছে।
উপকূলীয় মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানতে পারে এ আশঙ্কায় সুন্দরবন থেকে হাজার হাজার মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে উপকূলের খুলনা, মংলা, কয়রা, দাকোপ, শরণখোলা, রায়েন্দা, বাগেরহাট কেবি বাজার, তাফালবাড়ি ও মোরেলগঞ্জে নোঙ্গর করেছে।
সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত জেলা বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বাংলানিউজকে জানান, ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় এমন খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। এ এলাকার সাইক্লোন সেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাইকিং করে সকলকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতন করা হচ্ছে।
কয়রার বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে ২৪টি মসজিদ থেকে মাইকিং করে উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দুর্যোগকালীন সাইক্লোন সেন্টার ও ইউনিয়ন পরিষদ প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
দাকোপ উপজেলার সুতরখালী ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আশরাফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা হয়েছে।
এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আঘাত আনতে পারে- এ আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দর মংলায় এলার্ট-২ জারি রয়েছে। খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার বঙ্গোপসাগর প্রভাবিত উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে সতর্ক করে মাইকিং করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে থাকা মাছ ধরার ট্রলার ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে শুরু করেছে।
মংলা সমুদ্র বন্দরের নৌ-ঘাঁটি বিএনএস মংলার সব যুদ্ধজাহাজ খুলনার তিতুমীর নৌ-ঘাঁটিতে সরিয়ে আনা হয়েছে।
সার্বিক অবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য তিন জেলাতে ২৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ১০, বাগেরহাটে ১০ ও সাতক্ষীরায় ৮টি। এছাড়া জেলাগুলোর সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে ২৭৬ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ১১৬, বাগেরহাটে ৮২ ও সাতক্ষীরায় ৭৮।
খুলনা জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, ঘুর্ণিঝড় মহাসেনে প্রাণহানি এড়াতে খুলনা জেলায় ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝড়ের তীব্রতা বাড়লে উপকূলবাসীর পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা সদর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে উদ্ধার কাজের জন্য ট্রলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। খুলনার কয়রা থেকে দিঘলিয়া পর্যন্ত উপজেলা বাসীদের এ সম্পর্কে সতর্ক করে মাইকিং করা হচ্ছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার সাইক্লোন শেল্টারগুলো খুলে রাখা হয়েছে।
বাংলানিউজের বিশেষ অনুসন্ধানীতে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে কেবলমাত্র খুলনা জেলায় ১৬ জন এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলায় ২৩৯ জনের প্রাণহানি হয়। সর্বশেষ চলতি মাসের কালবৈশাখীর আঘাতে এ জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন দু’টি উপজেলায় ৫ জনের প্রাণহানি হয়।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আতঙ্কে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন উপকূলের যেসব স্থানে আশ্রয় কেন্দ্র নেই সেখানকার মানুষ। ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকেন।
বিশেষ এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, উপকূলীয় এলাকায় গড়ে ৬ হাজার ২৩৩ জনের জন্য একটি মাত্র সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। অথচ দুর্যোগকালীন এসব এলাকায় নির্মিত প্রতিটি সাইক্লোন শেল্টারে এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১২শ’ মানুষ আশ্রয় নিতে পারেন। অবশিষ্ট ৫ হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে।
সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলার স্কুল শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, বার বার এসব উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনলেও নির্মাণ করা হয়নি প্রয়োজনীয় আশ্রয় কেন্দ্র। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আঘাত আনলে আবারও উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসলীলা বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের খবরে সুন্দবনের সকল স্টেশন, ফাঁড়ি ও ক্যাম্পের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় রাখা হয়েছে। জেলে ও বনজীবীসহ পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রায় চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জলযানগুলোকে নিরাপদে রাখা হয়েছে।
উপকূলীয় মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানতে পারে এ আশঙ্কায় সুন্দরবন থেকে হাজার হাজার মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে উপকূলের খুলনা, মংলা, কয়রা, দাকোপ, শরণখোলা, রায়েন্দা, বাগেরহাট কেবি বাজার, তাফালবাড়ি ও মোরেলগঞ্জে নোঙ্গর করেছে।
সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত জেলা বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বাংলানিউজকে জানান, ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় এমন খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। এ এলাকার সাইক্লোন সেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাইকিং করে সকলকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতন করা হচ্ছে।
কয়রার বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে ২৪টি মসজিদ থেকে মাইকিং করে উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দুর্যোগকালীন সাইক্লোন সেন্টার ও ইউনিয়ন পরিষদ প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
দাকোপ উপজেলার সুতরখালী ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আশরাফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা হয়েছে।
দিনাজপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যা
দিনাজপুরের সদর উপজেলার পল্লীতে রত্না রায় (১৮) নামে এক এইচএসসি
পরীক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক
করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে তাকে হত্যা করা হয়। রত্না সদর উপজেলার পূর্ব পারগাঁও গ্রামের রঞ্জিত রায়ের মেয়ে ও দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে রত্নাকে কে বা কারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সকালে বাড়ির পাশ থেকে গলায় রশি পেঁচানো লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বাংলানিউজকে জানান, লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মঙ্গলবার সকালে তাকে হত্যা করা হয়। রত্না সদর উপজেলার পূর্ব পারগাঁও গ্রামের রঞ্জিত রায়ের মেয়ে ও দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে রত্নাকে কে বা কারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সকালে বাড়ির পাশ থেকে গলায় রশি পেঁচানো লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বাংলানিউজকে জানান, লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রেমিকের সঙ্গে কলহ: যশোরে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
যশোরে প্রেমিকের সঙ্গে কলহের জের ধরে জেসমিন সুলতানা (২৫) নামে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার তারা ছাত্রীনিবাসের একটি কক্ষ থেকে পুলিশ ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে।
জেসমিন সুলতানা সরকারি এমএম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ও সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে।
ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে জানান, জেসমিনের ঘরের অন্য সদস্যরা বাড়িতে থাকায় সোমবার রাতে একাই ওই ঘরে ছিল। রাতের পর থেকে তার ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকালে কাজের বুয়া খাবার দিতে গিয়ে ওই ঘর বন্ধ পান। এরপর পাশের ঘরে খাবার রেখে যান। পরে দুপুরের রান্না করতে এসেও তিনি ঘর বন্ধ দেখেন।
এ সময় ঘরের জানালা দিয়ে দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে লাশ ঝুলছে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে জেসমিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ বাংলানিউজকে জানান, মেয়েটির ঘর থেকে একটি ভাঙা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ডায়েরিতে প্রেমের সম্পর্কের কথা লেখা রয়েছে।
এ কারণে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কলহের জের ধরে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার তারা ছাত্রীনিবাসের একটি কক্ষ থেকে পুলিশ ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে।
জেসমিন সুলতানা সরকারি এমএম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ও সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে।
ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে জানান, জেসমিনের ঘরের অন্য সদস্যরা বাড়িতে থাকায় সোমবার রাতে একাই ওই ঘরে ছিল। রাতের পর থেকে তার ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকালে কাজের বুয়া খাবার দিতে গিয়ে ওই ঘর বন্ধ পান। এরপর পাশের ঘরে খাবার রেখে যান। পরে দুপুরের রান্না করতে এসেও তিনি ঘর বন্ধ দেখেন।
এ সময় ঘরের জানালা দিয়ে দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে লাশ ঝুলছে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে জেসমিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ বাংলানিউজকে জানান, মেয়েটির ঘর থেকে একটি ভাঙা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ডায়েরিতে প্রেমের সম্পর্কের কথা লেখা রয়েছে।
এ কারণে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কলহের জের ধরে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার আঘাত হানার আশঙ্কা ‘মহাসেন’র
গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ উপকূলের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
সমুদ্র উপকূল থেকে এক হাজার ১৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এটি। আরও
ঘণীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
বুধবার ‘মহাসেন’ এর উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, “রোববার পর্যন্ত গভীর সাগরে অবস্থানরত ঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে তা উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।”
শনিবার উপকূল থেকে ১৮০০ কিমি দূরে নিম্নচাপ সৃষ্টির পর একশ’ কিমি এগিয়ে তা ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে রূপ নেয়।
সোমবার রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে (ক্রমিক নম্বর-১৩) বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২৮৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২১০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম এবং মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ১৯৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমি’র মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
মো. শাহ আলম বলেন, “ঝড়ের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে, এটি বুধবার বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এখন ধীরে ধীরে গতি বাড়ছে। উপকূলের ৪/৫শ’ কিলোমিটার কাছাকাছি এসে তা আরো তীব্র হতে পারে।”
তবে এ সময়ের মধ্যে ঝড় ভেঙে যেতে পারে বা আবার বাড়তেও পারে জানিয়ে তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতি ও ঝড়ের তীব্রতার ওপর এটা নির্ভর করে।”
মহাসেনের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দর সমূহকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করায় চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে এলার্ট-২ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করলে বন্দরে এলার্ট-২ জারি করা হয়।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে আরও বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।
এদিকে মহাসেন মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে সোমবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ সচিব মেছবা-উল আলম বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় মাঠে রয়েছে পঞ্চাশ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের জন্য জাতীয় দুর্যোগ সমন্বয় সেলসহ (এনডিআরসিসি) বিভিন্ন দফতর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়েছে।
এছাড়াও প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এছাড়াও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সেচ্ছাসেবী সংস্থা নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সরকার সংশ্লিষ্ট এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, “রোববার পর্যন্ত গভীর সাগরে অবস্থানরত ঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে তা উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।”
শনিবার উপকূল থেকে ১৮০০ কিমি দূরে নিম্নচাপ সৃষ্টির পর একশ’ কিমি এগিয়ে তা ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে রূপ নেয়।
সোমবার রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে (ক্রমিক নম্বর-১৩) বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২৮৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২১০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম এবং মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ১৯৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমি’র মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
মো. শাহ আলম বলেন, “ঝড়ের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে, এটি বুধবার বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এখন ধীরে ধীরে গতি বাড়ছে। উপকূলের ৪/৫শ’ কিলোমিটার কাছাকাছি এসে তা আরো তীব্র হতে পারে।”
তবে এ সময়ের মধ্যে ঝড় ভেঙে যেতে পারে বা আবার বাড়তেও পারে জানিয়ে তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতি ও ঝড়ের তীব্রতার ওপর এটা নির্ভর করে।”
মহাসেনের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দর সমূহকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করায় চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে এলার্ট-২ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করলে বন্দরে এলার্ট-২ জারি করা হয়।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে আরও বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।
এদিকে মহাসেন মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে সোমবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ সচিব মেছবা-উল আলম বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় মাঠে রয়েছে পঞ্চাশ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের জন্য জাতীয় দুর্যোগ সমন্বয় সেলসহ (এনডিআরসিসি) বিভিন্ন দফতর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়েছে।
এছাড়াও প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এছাড়াও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সেচ্ছাসেবী সংস্থা নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সরকার সংশ্লিষ্ট এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে।
বাগেরহাটে নববধূকে হত্যা, স্বামীর আত্মসমর্পণ
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে নববধূ শরীফাকে (২০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা
কেটে করে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী। পরে স্বামী নিজেই পুলিশের কাছে ধরা
দিয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে মোল্লারহাট উপজেলার উদয়পুর দৈবকান্তি গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ঘাতক স্বামী মাহমুদ সিকদার নিজেই পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করেছেন।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বাংলানিউজকে জানান, উদয় পুর গ্রামের আবু দাউদ সেখের মেয়ে শরীফার সঙ্গে মাহমুদ শিকদারের তিন দিন আগে বিয়ে হয়।
সোমবার রাতে শরীফার সঙ্গে তার ফুফাতো ভাই সজীবের মোবাইল ফোনে কথা হয়। এনিয়ে মাহমুদ পরকীয়া সর্ম্পকের আখ্যা দিয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে শরীফাকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে মাহমুদ।
হত্যাকাণ্ডের পর মাহামুদ শিকদার নিজে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে তিনি নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দেন। তাকে মোল্লাহাট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গৃহবধূ শরীফা বেগমের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে বলে ওসি জানান।
মঙ্গলবার ভোরে মোল্লারহাট উপজেলার উদয়পুর দৈবকান্তি গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ঘাতক স্বামী মাহমুদ সিকদার নিজেই পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করেছেন।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বাংলানিউজকে জানান, উদয় পুর গ্রামের আবু দাউদ সেখের মেয়ে শরীফার সঙ্গে মাহমুদ শিকদারের তিন দিন আগে বিয়ে হয়।
সোমবার রাতে শরীফার সঙ্গে তার ফুফাতো ভাই সজীবের মোবাইল ফোনে কথা হয়। এনিয়ে মাহমুদ পরকীয়া সর্ম্পকের আখ্যা দিয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে শরীফাকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে মাহমুদ।
হত্যাকাণ্ডের পর মাহামুদ শিকদার নিজে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে তিনি নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দেন। তাকে মোল্লাহাট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গৃহবধূ শরীফা বেগমের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে বলে ওসি জানান।
গণজাগরণ মঞ্চে ফের ককটেল বিস্ফোরণ
ফের শাহবাগ গণজাগরন মঞ্চের পাশে দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক শাকিল আহমেদ অরণ্য বাংলানিউজকে জানান, “আগের মতো নাশকতার উদ্দেশ্যে গণজাগরন মঞ্চের পাশে দু’টি ককটেল ছোঁড়ে দুর্বৃত্তরা। এসময় ১টি ককটেল বিস্ফোরিত হয় এবং অপরটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।”
এ ঘটনার পরপরই একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে। পাশাপাশি পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী হরতাল বিরোধী মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে গণজাগরন মঞ্চের সংগঠক-সদস্য এবং সাধারণ মানুষ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তা এমএ জলিল বাংলানিউজকে বলেন, “কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে হরতালকারীরা এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয় নি।”
এর আগেও গণজাগরণ মঞ্চের মহাসমাবেশ চলাকালে মঞ্চের পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক শাকিল আহমেদ অরণ্য বাংলানিউজকে জানান, “আগের মতো নাশকতার উদ্দেশ্যে গণজাগরন মঞ্চের পাশে দু’টি ককটেল ছোঁড়ে দুর্বৃত্তরা। এসময় ১টি ককটেল বিস্ফোরিত হয় এবং অপরটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।”
এ ঘটনার পরপরই একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে। পাশাপাশি পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী হরতাল বিরোধী মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে গণজাগরন মঞ্চের সংগঠক-সদস্য এবং সাধারণ মানুষ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তা এমএ জলিল বাংলানিউজকে বলেন, “কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে হরতালকারীরা এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয় নি।”
এর আগেও গণজাগরণ মঞ্চের মহাসমাবেশ চলাকালে মঞ্চের পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে
গোপালগঞ্জে স্কুলের টিফিন খেয়ে শতাধিক ছাত্রী অসুস্থ
গোপালগঞ্জ সরকারি বীণাপানি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে টিফিন খেয়ে শতাধিক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্কুলে দেওয়া টিফিন খেয়ে এসব ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
অসুস্থদের সরকারি-বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও ডিসি পুলের গাড়িতে করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে অসুস্থ ছাত্রীদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অসুস্থ ছাত্রীরা সবাই ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্কুলে দেওয়া টিফিন খেয়ে এসব ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
অসুস্থদের সরকারি-বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও ডিসি পুলের গাড়িতে করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে অসুস্থ ছাত্রীদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অসুস্থ ছাত্রীরা সবাই ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী বলে জানা গেছে।
হেফাজত নিষিদ্ধ না হলে ২৩ মে ঢাকা অবরোধ
২০ মে’র মধ্যে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ না করা হলে ২৩ মে ঢাকা অবরোধের
আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ ইমাম-ওলামা সমন্বয় ঐক্য পরিষদ নামের একটি সংগঠন
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘হেফাজত ইসলাম কর্তৃক পবিত্র কোরআন ও হাদিস জ্বালিয়ে মুসলিম উম্মার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ হানার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটামের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন-৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অনুমতি নিয়ে হেফাজতে ইসলাম বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেট, পুরানা পল্টন, গোলাপ শাহ মাজার, বঙ্গবন্ধু এ্যভিনিউতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলো।
ঐ এলাকার ফুটপাতে থাকা গরীব হকারদের দোকানপাট-ভ্যানগাড়ি ও বাসে আগুন দিয়ে এবং আইল্যান্ড ভেঙে নিজেদের দানবীয় শক্তির প্রমাণ দিয়েছে তারা। তাদের তাণ্ডব থেকে রেহাই পায়নি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক-রাজনৈতিক স্থাপনাও।
একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলাম যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তা দেশের সংবিধান পরিপন্থী।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এ ধরণের অপরাধ সংগঠিত করার জন্য হেফাজতে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরির, হরকাতুল জিহাদ, জামায়াত-শিবির এবং বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের একত্রিত করে ঢাকায় এনেছিলো।
এসব সংগঠনের সন্ত্রাসীদের দিয়েই হেফাজতে ইসলাম মধ্যযুগীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। পাশাপাশি তারা সুপরিকল্পিতভাবে কোরআন শরীফে আগুন দিয়ে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
তাই হেফাজতে ইসলামের সব কার্যক্রম বন্ধ এবং জামায়াতে ইসলামের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সরকারের এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ।
সরকারকে আল্টিমেটাম জানিয়ে তারা বলেন, আগামী ২০ মে’র মধ্যে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ না করা হলে, ২১ মে সারাদেশের সকল মসজিদে দোয়া, ২২ মে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ এবং ২৩ মে ঢাকা অবরোধ করা হবে।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব শাহ মো ওমর ফারুক, সদস্য নুর মোহাম্মদ, আহাদ আলী নিলফামারী, আরিফ উদ্দিন সোহরওয়ার্দী, ডা. আল ইমরান প্রমুখ।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘হেফাজত ইসলাম কর্তৃক পবিত্র কোরআন ও হাদিস জ্বালিয়ে মুসলিম উম্মার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ হানার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটামের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন-৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অনুমতি নিয়ে হেফাজতে ইসলাম বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেট, পুরানা পল্টন, গোলাপ শাহ মাজার, বঙ্গবন্ধু এ্যভিনিউতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলো।
ঐ এলাকার ফুটপাতে থাকা গরীব হকারদের দোকানপাট-ভ্যানগাড়ি ও বাসে আগুন দিয়ে এবং আইল্যান্ড ভেঙে নিজেদের দানবীয় শক্তির প্রমাণ দিয়েছে তারা। তাদের তাণ্ডব থেকে রেহাই পায়নি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক-রাজনৈতিক স্থাপনাও।
একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলাম যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তা দেশের সংবিধান পরিপন্থী।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এ ধরণের অপরাধ সংগঠিত করার জন্য হেফাজতে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরির, হরকাতুল জিহাদ, জামায়াত-শিবির এবং বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের একত্রিত করে ঢাকায় এনেছিলো।
এসব সংগঠনের সন্ত্রাসীদের দিয়েই হেফাজতে ইসলাম মধ্যযুগীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। পাশাপাশি তারা সুপরিকল্পিতভাবে কোরআন শরীফে আগুন দিয়ে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
তাই হেফাজতে ইসলামের সব কার্যক্রম বন্ধ এবং জামায়াতে ইসলামের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সরকারের এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ।
সরকারকে আল্টিমেটাম জানিয়ে তারা বলেন, আগামী ২০ মে’র মধ্যে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ না করা হলে, ২১ মে সারাদেশের সকল মসজিদে দোয়া, ২২ মে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ এবং ২৩ মে ঢাকা অবরোধ করা হবে।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব শাহ মো ওমর ফারুক, সদস্য নুর মোহাম্মদ, আহাদ আলী নিলফামারী, আরিফ উদ্দিন সোহরওয়ার্দী, ডা. আল ইমরান প্রমুখ।
‘রানা প্লাজা’র বেসমেন্ট থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার
সাভারে যুবলীগ নেতা সোহেল রানার ধসে পড়া ‘রানা প্লাজা’র বেসমেন্ট থেকে অস্ত্র, মাদক ও শিকল উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বেসমেন্টে রানার অফিস সংলগ্ন স্টোর রুমের কংক্রিট সরানোর সময় এসব মালামাল পায় বলে র্যাব জানায়।
র্যাব-৪ এর সাভার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর কে এম আরিফুল ইসলাম বলেন, বেসমেন্ট থেকে ১৫ ক্যান বিদেশি বিয়ার, ১৮ বোতল ফেন্সিডিল, তিনটি বড় রাম দা, চারটি চাপাতি এবং ১৩ ফুট লম্বা একটি শিকল উদ্ধার করা হয়েছে।
অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের এ ঘটনায় সাভার থানায় একটি মামলা হবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে গত ২ মে রাতে ধ্বংসস্তূপের সামনের অংশে একটি পিস্তল ও পাঁচটি গুলি পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, ধসে পড়া রানার প্লাজা’য় ভবনের মালিক সাভার পৌরসভা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানার রাজনৈতিক কার্যালয় ছিল। সেখানে একটি টর্চার সেল ছিল বলেও অনেকে অভিযোগ করেছে।
সোমবার দুপুরে বেসমেন্টে রানার অফিস সংলগ্ন স্টোর রুমের কংক্রিট সরানোর সময় এসব মালামাল পায় বলে র্যাব জানায়।
র্যাব-৪ এর সাভার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর কে এম আরিফুল ইসলাম বলেন, বেসমেন্ট থেকে ১৫ ক্যান বিদেশি বিয়ার, ১৮ বোতল ফেন্সিডিল, তিনটি বড় রাম দা, চারটি চাপাতি এবং ১৩ ফুট লম্বা একটি শিকল উদ্ধার করা হয়েছে।
অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের এ ঘটনায় সাভার থানায় একটি মামলা হবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে গত ২ মে রাতে ধ্বংসস্তূপের সামনের অংশে একটি পিস্তল ও পাঁচটি গুলি পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, ধসে পড়া রানার প্লাজা’য় ভবনের মালিক সাভার পৌরসভা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানার রাজনৈতিক কার্যালয় ছিল। সেখানে একটি টর্চার সেল ছিল বলেও অনেকে অভিযোগ করেছে।
হস্তান্তরের অপেক্ষায় ধ্বংসস্তূপ
রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ বুঝে নিতে প্রস্তুত স্থানীয় প্রশাসন। কাঁটাতারে
ঘিরে রাখা সংরক্ষিত এলাকাটিকে ঘিরে অপেক্ষা করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্যরা। মঙ্গলবার সকাল ছ’টায় জেলা প্রশাসনকে এই ধ্বংসস্তূপ বুঝিয়ে দেওয়ার
কথা ছিলো সেনাবানিহীর।
সকাল দশটাতেও অপেক্ষায় দেখা গেল তাদের। সোমবার রাতে সাঙ্গ হয়েছে উদ্ধার কাজ। শেষ হয়েছে টানা তিন সপ্তাহের লাশ টানার বিভীষিকা।
এরই মধ্যে উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত ভারী যন্ত্রপাতি সরিয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী। ভাঙা ইট-পলেস্তারা সরিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে আহত-নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দোয়া-মাহফিলের স্থান। ধ্বংসস্তূপ হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর নাগাদ মিলাদ হবে এখানে।
ঢাকা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। এরই অংশ হিসেবে আমরা ধ্বংসস্তূপের সামনে-পেছনেসহ চারদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। যতদিন ধ্বংসস্তূপের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা নিরাপত্তা দিয়ে যাবো।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, “মঙ্গলবার সকাল ৬টায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসনকে ধ্বংসস্তূপের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। এরই অংশ হিসেবে আমরা ইতোমধ্যে পুরো এলাকাটি কাঁটাতার দিয়ে ঘেরাও করে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে সর্বসাধারণের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।”
সকাল দশটাতেও অপেক্ষায় দেখা গেল তাদের। সোমবার রাতে সাঙ্গ হয়েছে উদ্ধার কাজ। শেষ হয়েছে টানা তিন সপ্তাহের লাশ টানার বিভীষিকা।
এরই মধ্যে উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত ভারী যন্ত্রপাতি সরিয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী। ভাঙা ইট-পলেস্তারা সরিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে আহত-নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দোয়া-মাহফিলের স্থান। ধ্বংসস্তূপ হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর নাগাদ মিলাদ হবে এখানে।
ঢাকা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। এরই অংশ হিসেবে আমরা ধ্বংসস্তূপের সামনে-পেছনেসহ চারদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। যতদিন ধ্বংসস্তূপের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা নিরাপত্তা দিয়ে যাবো।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, “মঙ্গলবার সকাল ৬টায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসনকে ধ্বংসস্তূপের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। এরই অংশ হিসেবে আমরা ইতোমধ্যে পুরো এলাকাটি কাঁটাতার দিয়ে ঘেরাও করে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে সর্বসাধারণের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।”
Monday, May 13, 2013
‘মহাসেন’ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি
ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ আঘাত হানলে তা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে
সরকার। উপকূলীয় এলাকায় মাঠে রয়েছে পঞ্চাশ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের জন্য জাতীয় দুর্যোগ সমন্বয় সেলসহ (এনডিআরসিসি)
বিভিন্ন দপ্তর রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা খোলা।
তবে এখনই আতঙ্কের কিছু নেই জানিয়ে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মহাসেনের গতিবিধি মঙ্গলবার বিস্তারিত জানা যাবে। এখনই আতঙ্কের কিছু নেই।
সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভা শেষে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম বলেন, “মহাসেন বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে কি-না তা বোঝা যাবে মঙ্গলবার। তবে আগে থেকেই আতঙ্কের কিছু নেই।”
ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্র থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে জানিয়ে শাহ আলম বলেন, “এ অবস্থায় আঘাত হানলে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১২০ কিলোমিটার।”
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মেছবা-উল আলম বলেন, “উপকূলীয় এলাকার বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে সতর্ক করা হয়েছে। এনডিআরসিসি আজ থেকে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “উপকূলীয় এলাকার ৩৫ উপজেলার ৩২২টি ইউনিয়নের তিন হাজার ২৯১টি ইউনিটের প্রায় পঞ্চাশ হাজার সেচ্ছাসেবক উপকূলবাসীকে সজাগ করতে মাঠে রয়েছে, যেন উপকূলবাসী খাদ্য ও পানীয় নিয়ে প্রস্তুত থাকে।”
সরকারের বিভিন্ন প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রেডিও-টিভিতে আবহাওয়া সতর্ক বার্তা প্রচার, প্রত্যেক উপজেলায় দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংস্থা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত। প্রয়োজনে তারা স্থানান্তর করতে পারবেন।”
সভায় জানানো হয়, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। মেডিকেল টিম গঠনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এছাড়া দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতার জন্য সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
দুর্যোগ পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও দুর্যোগের পরে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
‘মহাসেন’ পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আরও প্রয়োজনীয় পদেক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান সচিব।
সভায় মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন অধিদপ্তর ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে এখনই আতঙ্কের কিছু নেই জানিয়ে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মহাসেনের গতিবিধি মঙ্গলবার বিস্তারিত জানা যাবে। এখনই আতঙ্কের কিছু নেই।
সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভা শেষে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম বলেন, “মহাসেন বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে কি-না তা বোঝা যাবে মঙ্গলবার। তবে আগে থেকেই আতঙ্কের কিছু নেই।”
ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্র থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে জানিয়ে শাহ আলম বলেন, “এ অবস্থায় আঘাত হানলে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১২০ কিলোমিটার।”
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মেছবা-উল আলম বলেন, “উপকূলীয় এলাকার বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে সতর্ক করা হয়েছে। এনডিআরসিসি আজ থেকে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “উপকূলীয় এলাকার ৩৫ উপজেলার ৩২২টি ইউনিয়নের তিন হাজার ২৯১টি ইউনিটের প্রায় পঞ্চাশ হাজার সেচ্ছাসেবক উপকূলবাসীকে সজাগ করতে মাঠে রয়েছে, যেন উপকূলবাসী খাদ্য ও পানীয় নিয়ে প্রস্তুত থাকে।”
সরকারের বিভিন্ন প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রেডিও-টিভিতে আবহাওয়া সতর্ক বার্তা প্রচার, প্রত্যেক উপজেলায় দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংস্থা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত। প্রয়োজনে তারা স্থানান্তর করতে পারবেন।”
সভায় জানানো হয়, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। মেডিকেল টিম গঠনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এছাড়া দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতার জন্য সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
দুর্যোগ পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও দুর্যোগের পরে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
‘মহাসেন’ পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আরও প্রয়োজনীয় পদেক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান সচিব।
সভায় মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন অধিদপ্তর ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শাহজালালে ছয় কেজি সোনাসহ একজন আটক
হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চোরাচালানের সময় ৫৪টি সোনার
বারসহ দেলোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক সোনা চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছেন
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের(এপিবিএন) সদস্যরা।
সোমবার রাতে বিমানবন্দরের গ্রিন-চ্যানেলের বাইরে ক্যানোপি থেকে পালানোর সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এপিবিএন’র সিনিয়র এএসপি এহতেশাম-উল হক বাংলানিউজকে জানান, বাহরাইন থেকে এমিরেটসের এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সন্ধ্যায় শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন দেলোয়ার। গ্রিন চ্যানেল পার হয়ে ক্যানোপি এলাকা দিয়ে পালানোর সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এপিবিএন সদস্যরা তাকে আটক করেন। তার কাছে হাতব্যাগসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অভিনব কায়দায় ৫৪টি সোনার বার লুকানো ছিল। তাকে তল্লাশি করে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার করা সোনার পরিমাণ প্রায় ৬ কেজি। এর মূল্য আনুমানিক ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
সোমবার রাতে বিমানবন্দরের গ্রিন-চ্যানেলের বাইরে ক্যানোপি থেকে পালানোর সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এপিবিএন’র সিনিয়র এএসপি এহতেশাম-উল হক বাংলানিউজকে জানান, বাহরাইন থেকে এমিরেটসের এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সন্ধ্যায় শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন দেলোয়ার। গ্রিন চ্যানেল পার হয়ে ক্যানোপি এলাকা দিয়ে পালানোর সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এপিবিএন সদস্যরা তাকে আটক করেন। তার কাছে হাতব্যাগসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অভিনব কায়দায় ৫৪টি সোনার বার লুকানো ছিল। তাকে তল্লাশি করে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার করা সোনার পরিমাণ প্রায় ৬ কেজি। এর মূল্য আনুমানিক ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
Subscribe to:
Posts (Atom)