Sunday, March 24, 2013

ওয়ানডে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার

দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি শুরু হয়েছিল ২-২ ব্যবধানে সমতা নিয়ে। সেটি ছিল ওয়ানডে সিরিজের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণের ফাইনাল ম্যাচ। আর চূড়ান্ত এই লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ উইকেটের সহজ জয় দিয়ে ওয়ানডে সিরিজেও নিজেদের সেরা প্রমাণিত করেছে প্রোটিয়ারা। অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ছয় ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১১ বলে ৯৫ রানের চমত্কার এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স।
জয়ের জন্য ২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোভাবে করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ১১ ওভারের মধ্যে মাত্র ৩৪ রান জমা করতেই সাজঘরে ফেরেন কুইন্টন ডি কক ও কলিন ইনগ্রাম। তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে নেন হাশিম আমলা ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। দলীয় ৮৩ রানের মাথায় আমলাকে সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু এরপর প্রতিপক্ষকে আর কোন সুযোগ দেননি ডি ভিলিয়ার্স ও ফারহান বেহারডেন। ৩৬ বলে ৩৫ রানের একটি সময়োপযোগী ইনিংস খেলে বেহারডেন যখন সাজঘরে ফিরছিলেন, তখন দলের জয় প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল। জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ছিল ৭৮ বলে ৩৬ রান। সহজ এই কাজটি অনায়াসেই করে ফেলেন ডি ভিলিয়ার্স ও ডেভিড মিলার। পাকিস্তানের পক্ষে দুইটি উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ইরফান।
এর আগে এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। তবে শুরুটা প্রত্যাশামতো হয়নি। ৩১ রানের মধ্যেই দুটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে তৃতীয় উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কামরান আকমল ও ইউনুস খান।
কামরান-ইউনুস জুটিতে আসে ৬৬ রান। দলীয় সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন কামরান। ইউনুস আউট হন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক ও শোয়েব মালিকের সংগ্রহ যথাক্রমে ২৪ ও ২৮ রান। শেষের দিকে ২৬ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানের সংগ্রহ দুই শর ওপরে নিয়ে যান জুনায়েদ খান।
দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার রায়ান ম্যাকক্লারেন। ৩১ রান খরচায় তিনটি উইকেট শিকার করেন তিনি। দুটি উইকেট নেন মরনে মরকেল।
সিরিজের প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে জয় দিয়ে সিরিজের সমতা ফিরিয়েছিল পাকিস্তান।