প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ২৪০ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কার ৩৪৬। প্রথম
ইনিংসের ১০৬ রানের ব্যবধানটা ঘুচিয়ে এখন পর্যন্ত ৫২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ,
হাতে আছে ছয়টি উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। তামিম ইকবাল ও জহুরুল
হকের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৯১ রান। তবে শেষ বিকালে হঠাত্ জহুরুল ও
মাহমুদউল্লাহর ফিরে যাওয়া হতাশা ছড়িয়েছে বেশ ভালোমতোই।
টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ চার উইকেট হারিয়ে ১৫৮
রান। মমিনুল হক ৩৬ ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ৭ রানে অপরাজিত আছেন। ৫৯ রানের
দারুণ এক ইনিংস খেলে সবার আগে সাজঘরে ফেরেন তামিম। দলীয় ৯৬ রানে বোল্ড হন
ব্যক্তিগত ৪ রানে থাকা মোহাম্মদ আশরাফুল।
মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে দুটি উইকেটের পতন ঘটায় অস্বস্তিতে পড়ে যায়
বাংলাদেশ। মমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন জহুরুল। কিন্তু
৪৮ রান করে জহুরুল ফিরে যাওয়ার পরই নেমে আসে বিপর্যয়; ঠিক পরের বলেই রঙ্গনা
হেরাথের বলে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। জহুরুলের বিদায়ের ঠিক পরের বলেই বোল্ড
হয়ে ফেরেন তাঁর জায়গায় খেলতে আসা মাহমুদউল্লাহ।
৬ উইকেটে ২৯৪ রান নিয়ে আজ টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা।
আগের দিন ১২৭ রানে অপরাজিত থাকা কুমার সাঙ্গাকারা আজ ফিরে যান ব্যক্তিগত
১৩৯ রানে। লঙ্কানদের ইনিংসটাও বেশিদূর এগোয়নি। মধ্যাহ্নবিরতির আগেই
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ইতি টেনে দেন বাংলাদেশের বোলাররা।
উইকেটের বিচারে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সোহাগ গাজীই সবচেয়ে সফল। ১১১
রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি। এ ছাড়া রবিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন
ও আবুল হাসান প্রত্যেকেই দুটি করে উইকেট নেন।