বিবাহিত নারীর সঙ্গে অনুচিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা পুরুষের জীবনে বিরল
নয়। তাঁরা প্রতিবেশী বা অন্য কারও স্ত্রীর প্রতি ঘটনাচক্রে দুর্বল হয়ে পড়তে
পারেন। কিন্তু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে এ ধরনের সম্পর্ক তৈরি থেকে
পুরুষেরা সাধারণত বিরত থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইসে অবস্থিত মিসৌরি
বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএমএসএল) একদল গবেষকের দাবি, সম্ভবত মানসিক গঠনের কারণেই
তাঁরা বন্ধুর প্রতি বিশ্বস্ততা বজায় রাখার ব্যাপারে সচেতন থাকেন।
ইউএমএসএল কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মার্ক
ফিনের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী বিভিন্ন পরিস্থিতিতে পুরুষের শরীরে
টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসরণের পরিমাণের তারতম্য নিয়ে গবেষণা করেন। মানসিক
অবস্থাভেদে পুরুষের শরীরে এই হরমোন নিঃসরণে তারতম্য হয়। হিউম্যান নেচার
সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্ভাব্য প্রেমিকা বা
শত্রুর স্ত্রীর সান্নিধ্যে অবস্থানকালে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন
নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। কিন্তু ঘনিষ্ঠ কোনো বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে
অবস্থানকালে টেস্টোস্টেরন নিঃসরণের পরিমাণ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। এমনকি
সুযোগ পেলেও বন্ধু এবং বন্ধুত্বের প্রতি শ্রদ্ধা অটুট রাখার স্বার্থে
অনুচিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া থেকে পুরুষ নিজেকে সংযত রাখেন। গোটা ব্যাপারটা
সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবেই নিয়ন্ত্রিত হয়।
গবেষকদের দাবি, মানুষের প্রকৃতিগত এই বিশ্বস্ত মানসিকতাকে কাজে লাগিয়ে
বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন বিরোধ
নিষ্পত্তির জন্য জাতিসংঘ বা ন্যাটোর মতো সংগঠনও মানুষের এই মনস্তাত্ত্বিক
কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে।