Saturday, March 23, 2013

দিলশানের সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার সহজ জয়

দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে শ্রীলঙ্কাকে সহজ জয় এনে দিয়েছেন তিলকারত্নে দিলশান। জয়ের জন্য ৪১ ওভারে ২৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৫ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। ১০৮ বলে ১১৩ রানের ম্যাচজেতানো ইনিংস খেলে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন দিলশান। আর ৮ উইকেটের এই জয় দিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।
শুরু থেকেই ঝড়োগতির ব্যাটিং করে বাংলাদেশী বোলারদের নাজেহাল করে দিয়েছেন দুই লঙ্কান ওপেনার তিলকারত্নে দিলশান ও জানিথ পেরেরা। উদ্বোধনী জুটিতেই ১০৬ রান সংগ্রহ করে দলকে জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ১৩তম ওভারে বল হাতে প্রথম সফলতার দেখা পায় বাংলাদেশ। সোহাগ গাজীর শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান পেরেরা। তার আগে তিনি করেছিলেন ৪২ রান। তবে এরপরও তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছেন আরেক ওপেনার দিলশান। দ্বিতীয় উইকেটে কুমার সাঙ্গাকারাকে নিয়ে তিনি গড়েন ১২৮ রানের জুটি। ৩৫তম ওভারে রুবেল হোসেনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন সাঙ্গাকারা। তখন শ্রীলঙ্কা জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে ছিল। পরের ওভারেই জয় পেয়ে যায় লঙ্কানরা।
এর আগে দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ৮ উইকেটে ২৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। ১১২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল। ৫৯ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন নাসির হোসেন।
হাম্বানটোটায় বাংলাদেশের ইনিংস চলার সময় ফ্লাডলাইট সমস্যার কারণে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। তখন সেটা ঠিক হয়ে গেলেও বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার পর আবারও দেখা দেয় বিপত্তি। তবে শেষপর্যন্ত ফ্লাডলাইট সমস্যা কাটিয়ে খেলা পুনরায় শুরু হতে পারলেও ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে ফেলতে হয় নয় ওভার। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে শ্রীলঙ্কার সামনে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ৪১ ওভারে ২৩৮ রান।