জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল রবিবার রাতে ছাত্রলীগের দুই হলের নেতা-কর্মীদের
মধ্যে সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার
সকালে হলে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ। আটক ছাত্রলীগের তিন
নেতা-কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মী হওয়ার পরও শিবির বলে চালানোর
চেষ্টা করেছে ছাত্রলীগের একাংশ।
ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি দাবি করেছেন এরা পদপ্রাপ্ত কেও না।
এদের সাথে ছাত্রলীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই। উপচার্য ড. আনোয়ার হোসেনও
দাবি করেছেন আটককৃতরা ছাত্রলীগের কেউ নয়, তারা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী।
পুলিশের অভিযানের পর উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ওরা উপরে উপরে ছাত্রলীগ
কিন্তু ভেতরে শিবিরের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, গত রবিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের
মওলানা ভাসানী হল ও শহীদ রফিক জব্বার হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে
দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় ৯ ছাত্রলীগকর্মী গ্ররুতর আহত হন। আজ সোমবার
সকাল ৭টার দিকে আশুলিয়া থাকার ওসি বদরুল আলমের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে উভয় হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
এ সময় মওলানা ভাসানী হলের ১০৮ নম্বর কক্ষ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৬
রাউন্ড গুলিসহ আটক করে বোরহান উদ্দিন সুলতান ইমনকে। ইমনের স্বীকারোক্তি
অনুযায়ি মোরশেদুর রহমান নামের অপর ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
বোরহান উদ্দিন ইমন পুলিশকে বলেন, পিস্তলটি মোরশেদুর রহমানের। তবে মোরশেদ
এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন তিনি রাজনীতির স্বীকার।
একই সময়ে রফিক জব্বার হল থেকে রামদা ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে আবদুল
মাজেদ সীমান্ত নামে এক ছাত্রলীগকর্মীকে। সীমান্ত ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক
মিঠুন কুণ্ডুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত হল
কমিটিতে সীমান্ত সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছে বলেও একটি সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশের তল্লাশির নেতৃত্ব দেওয়া আশুলিয়া থানার ওসি বদরুল আলম কালের কণ্ঠকে
বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানের সময় একটি
বিদেশি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি, রামদা ও প্রচুর রড উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতদের রিমান্ডের জন্য আদালোতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।