Friday, March 29, 2013

বিন লাদেনকে কে গুলি করেছিলেন?

গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন নৌবাহিনীর বিশেষ শাখা নেভি সিলের এক সদস্যের দীর্ঘ একটি সাক্ষাৎকার এস্কয়ার সাময়িকীতে ছাপা হয়। এতে নেভি সিলের ওই সদস্য দাবি করেছিলেন, তিনিই আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনকে গুলি করে হত্যা করেছেন। কিন্তু সিএনএনের জাতীয় নিরাপত্তা ও আল-কায়েদা বিশেষজ্ঞ পিটার বারগেন নেভি সিলের ওই সদস্যের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, নেভি সিলের অন্য আরেক সদস্য বিন লাদেনকে প্রথমে গুলি করেন। আর এতেই তিনি মারাত্মক আহত হন।
২০১১ সালের ১ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে নিহত হন বিন লাদেন। পরে তাঁর লাশ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
নেভি সিলের ওই সদস্য দাবি করেছিলেন, অ্যাবোটাবাদের আস্তানায় তিনিই প্রথম বিন লাদেনের কক্ষে প্রবেশ করেন এবং তাঁর মাথায় দুটি গুলি করেন। কিন্তু এস্কয়ার সাময়িকীতে ছাপানো এই সাক্ষাৎকারে নেভি সিলের অন্য সদস্যরা আপত্তি জানান। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই সদস্যের এই বক্তব্যে। শুধু তাই নয়, বিন লাদেনকে গুলি করে দাম্ভিকতা প্রকাশ করায় ওই সদস্যকে নেভি সিল থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়।
সিল টিম-৬-এর একজন সদস্য বারগেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, নেভি সিলের তিন সদস্য প্রথমে অ্যাবোটাবাদের কম্পাউন্ডের ওপরতলায় যান। এঁদের মধ্যে ‘গুলিবর্ষণকারী’ ও ‘পয়েন্টম্যান’ও ছিলেন।
বারগেন বলেন, ‘পয়েন্টম্যানই’ প্রথমে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে যান এবং সেখানে গিয়ে দেখতে পান, বিন লাদের তাঁর শয়নকক্ষের দরজা দিয়ে চারদিকে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছেন। পরে বিন লাদেনকে তিনিই প্রথম গুলি করেন। এতে আল-কায়েদার নেতা মারাত্মক জখম হন।
বারগেন বলেন, এরপর ‘পয়েন্টম্যান’ দ্রুত ওই কক্ষে অবস্থান করা দুই নারীকে জাপটে ধরেন। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, ওই দুই নারীর শরীরে আত্মঘাতী হামলার বিস্ফোরক রয়েছে। তাই বিস্ফোরণ ঘটানোর আগেই তাঁদের নিজ কব্জায় নেন ‘পয়েন্টম্যান’। এরপর অন্য দুই কমান্ডো কক্ষে ঢুকে বিন লাদেনের বুকে গুলি করে তাঁকে হত্যা করেন।