শ্রীলঙ্কা সফরের দলে প্রথমে সুযোগই পাননি মোহাম্মদ আশরাফুল। শাহরিয়ার
নাফীসের চোট দলে জায়গা করে দিয়েছিল তাঁকে। শেষ মুহূর্তে পাওয়া সুযোগটির
সদ্ব্যবহার করতে একদমই সময় নিলেন না আশরাফুল। প্রিয় প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে গল টেস্টেই দিয়ে দিলেন নির্বাচকদের উপেক্ষার জবাবটা। হ্যাঁ, জবাবই।
লঙ্কানদের বিপক্ষে পঞ্চম ও ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিটি পূর্ণ করার পর
তাঁর অভিব্যক্তি জুড়ে থাকল অমন কিছুই। গল টেস্টের তৃতীয় দিনে আশরাফুল
অপরাজিত আছেন 155 রানে। কাল বিকেল থেকে এখন পর্যন্ত আশরাফুলের ব্যাটিংটা
যেন ঠিক তেমনই—যেমনটা তাঁর কাছে প্রত্যাশিত।
ফলোঅন এড়াতে আরও 10 রান দরকার বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার ৫৭০ রানের পাহাড়ে
চড়তে এখনো করতে হবে ২৭০ রান। এমন একটি কঠিন পরিস্থিতিতেও যেন আশরাফুলের
ব্যাটিং জুগিয়ে যাচ্ছে নির্ভরতা। বাকি সবকিছু বাদ, তিনি উইকেটে আরও
দীর্ঘক্ষণ থাকুন। এটাই এই মুহূর্তের প্রার্থনা। ফলোঅন-টলোঅন অনেক পরের
ব্যাপার।
আশরাফুলের সঙ্গে কাল বিকেল থেকেই দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন মমিনুল। অভিষিক্ত
এই তরুণ নিজের জাতটি পুরোমাত্রায় চিনিয়ে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার মাটিতে।
ধীরস্থির ব্যাটিংয়ের অনুপম প্রদর্শনীতে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫৫ রান।
অভিষেকে পাওয়া তাঁর এই ফিফটিটি আরও বড় হতে পারত, যদি নুয়ান কুলাসেকেরার আউট
সুইঙ্গারটি আর এক মুহূর্ত আগে বুঝতে পারতেন। অফস্টাম্পের বাইরে বেরিয়ে
যেতে থাকা বলটিতে মমিনুল খোঁচা না দিলে হয়তো স্বপ্নের পরিধিটা আরও বড় হতে
পারত।
মমিনুলের বিদায়ের পর উইকেটে আসা মাহমুদউল্লাহ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
রঙ্গনা হেরাথের বলে বাইরে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে নিজের বিপদ তো ডেকেছেনই,
দলকেও ফেলে গেছেন বিপদের মধ্যে।
এই মুহূর্তে মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর
রহিম। অধিনায়ক অপরাজিত আছেন 105 রান নিয়ে। ১২২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিটিও
স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে।
এই দুজন স্বপ্নের পরিধিকে কত বিস্তৃত করেন—এখন এটাই দেখার বিষয়।