বাংলাদেশের স্বনামধন্য সংগীতব্যক্তিত্ব আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ভাই মিরাজ
উদ্দিন আহমেদের মরদেহ গতকাল শনিবার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। কুড়িল
উড়ালসড়কের নিচে রেললাইনের ওপরে লাশটি পড়ে ছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক সোহেল মাহমুদ
সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মিরাজকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বুলবুল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে
জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ প্রথম আলো ডটকমকে
বলেন, যে জায়গায় লাশটি পাওয়া গেছে, সেটি রেলওয়ে পুলিশের আওতাভুক্ত।
কুড়িল উড়ালসড়কের নিচে রেললাইনের পাশে নীল শার্ট পরা এক ব্যক্তির লাশ
পড়ে থাকতে দেখে আশপাশের লোকজন কমলাপুর রেলওয়ে থানায় যোগাযোগ করে। পরে
রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা রাত সোয়া একটার দিকে ঘটনাস্থলে যান।
কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর মৃত ব্যক্তির
পকেটে থাকা মোবাইল ফোনটি বেজে ওঠে। পুলিশ সদস্যরা ফোনের কল ধরে ওই ব্যক্তির
পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হন। জানতে পারেন, তাঁর নাম মিরাজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ভাই।
খিলক্ষেত থানার ওসি ফারুক আহমেদ জানান, মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করে রাত
চারটার দিকে খিলক্ষেত থানায় নেওয়া হয়। কেউ তাঁকে মেরে এখানে ফেলে গেছে
বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের দাবি, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে করা মামলায়
নিহতের ভাই সাক্ষী ছিলেন। এ কারণে তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে তাঁরা মনে
করছেন। মিরাজ গাড়ির ব্যবসা করতেন। অবিবাহিত মিরাজ মিরপুরে বোনের বাসায়
থাকতেন।
নিহত মিরাজের পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত না করার অনুরোধ জানানো হয়।
তবে পুলিশ মিরাজের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
মর্গে পাঠিয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক সোহেল মাহমুদ আজ
দুপুর দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মিরাজের মাথার ডান পাশে আঘাতের
চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁর নাকের হাড় ভাঙা। ঠোঁট কালো ও রক্ত জমাট বাঁধা।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আরও
পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ভাইয়ের মৃত্যুতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।