বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নতুন মুখের সন্ধানে নেমেছে। জেমি সিডন্সের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন কোচ খুঁজে বেড়াচ্ছে বোর্ড। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক কোনো ক্রিকেটার নতুন কোচের দায়িত্ব পেতে পারেন। তবে এ মুহূর্তে বিদেশি কাউকে না পেলে আপাতত দেশি কাউকে কোচের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে খালেদ মাহমুদ সুজন ও মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নামই জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। বেসরকারি এক চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুজন বলেছেন, কোচ হতে তার কোনো আপত্তি নেই। তবে বোর্ড তাকে দায়িত্ব দিতে চাইলে কিছু শর্ত জুড়ে দেবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানিয়েছে, চুক্তির মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদি না হলে সুজন কোচের অফার পেলে তা প্রত্যাখ্যান করবেন।
এ তো গেল কোচের কথা। জাতীয় দলের সিলেকশন কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। পুরোপুরিভাবে এ কমিটি ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগের কমিটির চিফ সিলেক্টর রফিকুল আলম ও তার সহযোগী জাহিদ রাজ্জাক মাসুমের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ যে বাড়ানো হচ্ছে না তা নিশ্চিত। অবশ্য অন্য সদস্য আকরাম খানের সঙ্গে নতুন করে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। রফিকুল আলমের পরিবর্তে আকরামকে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও এ ধরনের আভাস দিয়েছেন। আকরামের সহযোগী হিসেবে সাবেক তিন অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাসুদ পাইলট ও হাবিবুল বাশারের নামও শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বোর্ডের বেশ ক'জন পরিচালকের আপত্তির কারণে আকরাম খানকে প্রধান নির্বাচক পদে না রাখার সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে। কথা হচ্ছে, আকরাম যদি চিফ সিলেক্টরের দায়িত্ব না পান তাহলে কি তিনি তার জুনিয়র কারও নেতৃত্ব মেনে নেবেন? এ ব্যাপারে আকরাম সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য না করলেও তার এক ঘনিষ্ঠজন জানিয়েছেন, চিফ না হলে আকরামের সিলেকশন কমিটিতে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। এদিকে বিসিবির দায়িত্বশীল এক সূত্র জানিয়েছে, তারা চিফ সিলেক্টর পদে আরও সিনিয়র কাউকে খুঁজছেন। ইতোমধ্যে আশির দশকে জাতীয় দলের ক্রিকেটার জাহাঙ্গীর শাহ বাদশার সঙ্গে বোর্ড সভাপতি আলাপও করেছেন। বাদশাকে নিয়ে বোর্ড পরিচালকদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। কেননা দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ক্রিকেটের একেবারে বাইরে। অন্য সাবেকরা নিয়মিত খেলা দেখতে মাঠে হাজির হলেও তাকে মাঠে দেখা যায় না। বিশেষ করে জাতীয় দলের বর্তমান অনেক ক্রিকেটারই বাদশা যে ক্রিকেটার ছিলেন তা জানেনই না। এ ধরনের ক্রিকেট-বিচ্ছিন্ন এক লোককে দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হবে না বলে বেশ ক'জন পরিচালকই বোর্ড সভাপতির কাছে সুপারিশ করেছেন। আর কমিটিতে সহযোগী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে এক পাইলট ছাড়া বোর্ড নাকি কারও সঙ্গে আলাপই করেনি। অর্থাৎ নতুন কমিটিতে পাইলট যে থাকছেন তা অনেকটা নিশ্চিতই বলা যায়।
No comments:
Post a Comment