কলকাতার
শিয়ালদাহ স্টেশন লাগোয়া এপিসি রোডে একটি চারতলা ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায়
বহু মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বেসরকারিভাবে
মৃতের সংখ্যা ১৯ বলে জানা গেলেও সরকারি হিসাব বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার এই সংখ্যা ১৩ বলে দাবি করলেও কলকাতার মেয়র শোভন
চট্টোপাধ্যায় বলেছেন ১৫ জনের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। তবে কলকাতা
মেডিক্যাল কলেজের মর্গে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৬ জনের মৃতদেহ পৌঁছেছে।
এর মধ্যে একজন মহিলা ও শিশু রয়েছে বলে মর্গ সূত্রে জানা গেছে।
আজ বুধবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে শিয়ালদাহ স্টেশন লাগোয়া সূর্যসেন মার্কেটে
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে দমকল বাহিনীর ২৫টি দল কাজ করেছে।
সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যেই ৩৫ নম্বর এপিসি বোস রোডের চার তলার এই ভবনের আগুন
নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে এখনও পর্যন্ত স্টোর রুম থেকে কালো ধোঁয়া
বেরোতে দেখা গেছে।
রাজ্য সরকারের দমকল মন্ত্রী জাভেদ খান বলেছেন, কলকাতা শহরে সাত লক্ষ ভবন
অবৈধভাবে নির্মিত। এসব ভবনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চারতলার এই ভবনটি সূর্যসেন মার্কেট নামে পরিচিত। রাতে বহু দোকানদার এমনকি
ভবঘুরেরাও মার্কেটের বারান্দায় রাত কাটান। মৃতদের পরিচয় এখনও প্রশাসন
নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানান দমকল মন্ত্রী।
সূর্যসেন ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে জানান
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বামফ্রন্টের সময় এমন বহু অবৈধ ভবন
তৈরি হয়েছে। এগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। আগুনে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন
১৯ জন। আহতদের এনআরএস, এসএসকেএমসহ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে।
দুপুরের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সকালে বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র সেখানে পরিদর্শনে যান।
গত বছর দক্ষিণ কলকাতার আমরি হাসপাতালে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ১১৩ জনের মৃত্যু
হয়। এর আগে সূর্যসেন মার্কেটের পাশেই নন্দরাম মার্কেটেও ভয়াবহ আগুনের ঘটনায়
বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে।