হরতালে সড়ক অবরোধের জন্য গত দুই দিনে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের দুই
পাশের শত শত সরকারি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এসব গাছ কেটে ফেলায় পরিবেশ
বিপর্যয়সহ সামাজিক বনায়নের সঙ্গে জড়িত সদস্যরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
হচ্ছেন। গাছ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে
অভিযোগ উঠেছে।
বন বিভাগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ বন বিভাগের আওতায়
জেলার বিভিন্ন সড়কে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পে প্রায় ১০ বছর আগে গাছগুলো
লাগানো হয়। এসব গাছের জন্য গ্রামের দরিদ্র জনগণকে সদস্য করা হয়। গাছ থেকে
উপার্জিত অর্থ বন বিভাগ ও সামাজিক বনায়নের সদস্যরা পান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা হরতাল সফল করতে সড়ক
অবরোধের জন্য জেলার সদর, উল্লাপাড়া, বেলকুচি, কাজীপুর, রায়গঞ্জসহ বিভিন্ন
উপজেলার সড়ক-মহাসড়কের দুই পাশের শত শত গাছ কেটে রাস্তায় ফেলেছেন। এর মধ্যে
সদর উপজেলার পুরাতন বগুড়া সড়কের বহুলী ইউনিয়নের আলমপুর থেকে আলকদিয়া
পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার; বহুলী বাজার থেকে ছোনগাছা সড়কের প্রায় দুই
কিলোমিটার; নলকা সড়কের চণ্ডীদাসগাতীতে প্রায় অধা কিলোমিটার;
সিরাজগঞ্জ-বেলকুচি সড়কের সয়দাবাদে; বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের উল্লাপাড়া পূর্ব
দেলুয়া, বালসাবাড়ী ও কাঁঠালতলা; রায়গঞ্জ-নিমগাছী সড়কের ভূঁইয়াগাতীসহ
বিভিন্ন স্থানে গাছ কেটে অবরোধ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির হরতাল
চলাকালেও গাছ কেটে সড়কে ফেলা হয়।
সিরাজগঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মাদ হোসেন বলেন, কত গাছ কাটা হয়েছে,
সে বিষয়ে এখনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। সামাজিক বনায়নের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয়
সদস্যদের গাছ সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের
বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।