Saturday, April 16, 2011

তরমুজ কাহিনী

গ্রীষ্মের শুরু থেকেই বাজারে স্তূপাকারে সাজানো থাকে তরমুজ। জ্ঞানীর বচনে তরমুজকে বলা হয় ফলের রাজা। এ ফল ত্বক ভেজা রাখে। তরমুজ ভিটামিন 'এ' ও 'সি'-সমৃদ্ধ ফল। এর ৯৭ ভাগই জলীয় অংশ। গরমে ক্রমাগত ঘাম হওয়ার জন্য যে জলীয় অংশ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, তা পূরণ করতে সাহায্য করে তরমুজ। তাছাড়া তরমুজের আরও অনেক গুণ আছে। সমপ্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে তরমুজ শরীরে উত্তেজক হিসেবেও কাজ করে। কাঁঠাল আরেকটি পুষ্টিকর ফল। বাজারে প্রথমে কাঁচা কাঁঠাল ও পরে পাকা কাঁঠাল পাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে বেশ ভালো, পুষ্টিকর আর সুস্বাদু। পাকা কাঁঠালে আছে শর্করা, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। অনেক এলাকার মানুষ ভাতের বিকল্প পাকা কাঁঠাল খেয়ে থাকে। আর কাঁঠালের বিচিও খেতে যেমন স্বাদ তেমনি পুষ্টিগুণে অনন্য। লিচুর মৌসুম খুব বেশি সময় স্থায়ী হয় না। সুস্বাদু ফল হিসেবে এর জনপ্রিয়তাও অনেক বেশি। লিচু একটি উৎকৃষ্ট ফল। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ। তাই দাম বেশি হলেও যতটা সামর্থ্যে কুলায় লিচু খাওয়া উচিত।
গ্রীষ্মকালীন ফলের রাজা আম। পুরো বর্ষাজুড়েই বাজারে আমের আমদানি থাকে। তাছাড়া এ ফল সারাবছরই পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম পাকা আমে ১০০-১,৫০০ আইইউ ভিটামিন 'এ' থাকে। জামে লৌহ থাকে সবচেয়ে বেশি। বলা হয় জাম খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। আরেকটি ভিটামিন 'সি'যুক্ত ফল হলো আনারস। সর্দি-কাশি ও জ্বর হলে আনারস খেলে উপকার হয় এবং জ্বরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনে। গরম দুপুরে শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবণসমৃদ্ধ এক গ্লাস বেলের শরবত খেলে কার না প্রাণ জুড়ায়! কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেলের জুড়ি নেই। ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম কলায় থাকে ১৫৩ কিলোক্যালরি শক্তি ও শর্করা।

No comments: