হানিফকে লক্ষ্য করে গতকাল বোতল ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। আর সাহারা খাতুন ভাষণ দিতে গেলে 'না' বলে তাকে প্রত্যাখ্যান করেন তারা। বুধবার সন্ধ্যায় সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর সঙ্গেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে।
কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনরতরা বলছেন, 'সরকারের আপসের কারণেই এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তাই তাদের এখানে কোনো বক্তৃতা দেওয়ার অধিকার নেই।' তবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী এবং বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের সুযোগ পান। বিকালে শাহবাগ মোড়ে যান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল মঞ্চে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। মুহুর্মুহু স্লোগানে তিনি কোনো কথা বলার সুযোগ পাননি। একপর্যায়ে স্লোগানের মধ্যেই কিছু বলার চেষ্টা করলে হানিফকে লক্ষ্য করে পানির বোতল ছুড়ে মারা হয়। সঙ্গে আসা সহকারীরা তাকে ঘিরে ধরলে তিনি রক্ষা পান। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তখনই ওই এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হন মাহবুব-উল আলম হানিফ।
হানিফের আগে মঞ্চে উঠে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে গিয়েও পারেননি সাহারা খাতুন। তিনি দুপুরে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে ই-কমার্স মেলার উদ্বোধন করতে যান। সেই সুযোগে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উপস্থিত জনতার মুহুর্মুহু 'না' 'না' ধ্বনিতে সুযোগ পাননি সাহারা। পরে তিনি জাদুঘরে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ভিন্ন পথে ফিরে যান। তবে যাওয়ার আগে সবাইকে তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী সংহতি প্রকাশ করতে গেলে প্রতিবাদকারীদের মধ্য থেকে কেউ একজন তাকে উদ্দেশ করে বোতল ছুড়ে মারেন। পরে তিনি দ্রুত সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন। তখন স্লোগান ওঠে 'আপসনামার রায়, মানি না মানব না', 'রাজাকারের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান, মিষ্টি কথায় ভুলি না' ইত্যাদি।
এ প্রতিবাদ সমাবেশে অবশ্য সকালে আরও সংহতি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন, সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ। বুধবার শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সংহতি প্রকাশ করেন।