সকালের আলো ফুটতে না ফুটতেই রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে প্রতিবাদী আন্দোলনকারীদের সমাগম বাড়তে শুরু করেছে। নেমেছে জনতার ঢল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এ কর্মসূচি পালনে জড়ো হয়েছেন সর্বস্তরের শত শত মানুষ।
রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও এই আন্দোলনে শামিল হতে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শাহবাগ মোড়ে তীরন্দাজ নাট্যদলের কর্মীরা প্রতিবাদী পথনাটক মঞ্চস্থ করেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কুশপুত্তলিকায় জুতাপেটা ও পরে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান শাহবাগে গিয়ে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা যা করতে পারিনি, এ তরুণ প্রজন্মই তা করে দেখাবে। সে বিশ্বাস আমাদের আছে। এবং তারা তা করে দেখিয়েছে।’
বিকেল তিনটার দিকে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘রক্তের দামে কেনা এই বাংলাদেশ। আজ যখন তোমাদের দেখি, তখন মনে হয়—আমি এক নতুন বাংলাদেশ রেখে যাচ্ছি। এই অগ্রগতি কেউ রুখতে পারবে না। রাজাকারেরা ফাঁসিতে ঝুলবে। জামায়াত শিবির নিশ্চিহ্ন হবে।’
জানা গেছে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ইডেন কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক ফুটবালার ও ক্রিকেটাররাও এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নিয়েছেন।
প্রতিবাদের রাত: রায় প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার বিকেলেই শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেছিল ব্লগার ও ফেসবুক অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষ তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। সন্ধ্যায় প্রজ্বলিত মোমবাতি ও মশালের আলোয় শাহবাগে সৃষ্টি হয় প্রতিবাদী আবহ। বিক্ষোভকারীরা কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবি করে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। ছিল প্রতিবাদী গান ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
রাত
একটার দিকে ওই দিনের মতো কর্মসূচি শেষ করে বুধবার সকাল সাতটায় আবার
শাহবাগে জড়ো হওয়ার ঘোষণা দেন উদ্যোক্তারা। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা
সাধারণ মানুষ এই সময় জানান, তাঁরা সারা রাত এখানেই থাকবেন। রাতেই কাদের
মোল্লার প্রতীকী ফাঁসি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর পর আরও
কয়েক দফায় তাঁকে প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হয়। এ সময় তরুণ-তরুণীদের কণ্ঠে
ধ্বনিত হয় প্রতিবাদী গান।মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এ কর্মসূচি পালনে জড়ো হয়েছেন সর্বস্তরের শত শত মানুষ।
রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও এই আন্দোলনে শামিল হতে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শাহবাগ মোড়ে তীরন্দাজ নাট্যদলের কর্মীরা প্রতিবাদী পথনাটক মঞ্চস্থ করেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কুশপুত্তলিকায় জুতাপেটা ও পরে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান শাহবাগে গিয়ে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা যা করতে পারিনি, এ তরুণ প্রজন্মই তা করে দেখাবে। সে বিশ্বাস আমাদের আছে। এবং তারা তা করে দেখিয়েছে।’
বিকেল তিনটার দিকে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘রক্তের দামে কেনা এই বাংলাদেশ। আজ যখন তোমাদের দেখি, তখন মনে হয়—আমি এক নতুন বাংলাদেশ রেখে যাচ্ছি। এই অগ্রগতি কেউ রুখতে পারবে না। রাজাকারেরা ফাঁসিতে ঝুলবে। জামায়াত শিবির নিশ্চিহ্ন হবে।’
জানা গেছে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ইডেন কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক ফুটবালার ও ক্রিকেটাররাও এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নিয়েছেন।
প্রতিবাদের রাত: রায় প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার বিকেলেই শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেছিল ব্লগার ও ফেসবুক অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষ তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। সন্ধ্যায় প্রজ্বলিত মোমবাতি ও মশালের আলোয় শাহবাগে সৃষ্টি হয় প্রতিবাদী আবহ। বিক্ষোভকারীরা কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবি করে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। ছিল প্রতিবাদী গান ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে অনেক ছাত্র পেপার-কম্বল নিয়ে জড়ো হন শাহবাগে। দুটি বড় পর্দায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত হয়ে রাতভর চলে প্রতিবাদী গান।
যানবাহন চলাচলে বাধা
প্রতিবাদ আন্দোলনের কারণে যান চলাচল বন্ধ রাখতে চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে, আজিজ সুপার মার্কেট, রূপসী বাংলা হোটেলের সামনে ও শিশুপার্কের সামনে কাঁটাতারের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে জানান, আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাস্তায় এ বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল না করতে রাজধানীবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।