বিশ্বের কনটেইনারবাহী জাহাজের আকার বড় হচ্ছে। তবে কতটা বড় হচ্ছে, তার
বিবরণ দিলে বিষয়টা বিস্ময়ের মনে হতে পারে। বলা হচ্ছে, এশিয়ায় যে পরিমাণ
পণ্য উৎপাদিত হয় এবং ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ পণ্য ভোগ করা হয়,
তার বড় একটা অংশ নির্মিতব্য ‘ট্রিপল ই’ জাহাজে আনা-নেওয়া করা সম্ভব হতে
পারে।
ট্রিপল ই জাহাজের নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ডেনমার্কের মারসক লাইন। প্রতিষ্ঠানটির
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আইভিন্ড কোল্ডিং জানান, প্রাথমিকভাবে
১০টি জাহাজ নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে এর সব কটিই সাগরে ভাসানোর
কথা। এর একটি আগামী জুনে সাগরে ভাসবে। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার, প্রস্থ
৫৯ মিটার, উচ্চতা ৭৩ মিটার।
ট্রিপল ই জাহাজ তৈরি করতে ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের প্রায় আট গুণ ইস্পাত
ব্যবহার করা হয়েছে। আর জাহাজটি ২০ ফুটের (টিইইউ) ১৮ হাজার মালবাহী
কনটেইনার ধারণ করতে পারবে।
জাহাজের সেই কনটেইনারগুলোকে যদি নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে রাখা হয়,
তাহলে তা সেখানকার বিলবোর্ড ও সড়কবাতির খুঁটি, এমনকি ভবনের চেয়েও উঁচু
হয়ে যাবে। সহজ করে বলা যায়, জাহাজের ফাঁকা কনটেইনারগুলোর ভেতরে যে পরিমাণ
জায়গা থাকবে, তাতে অনায়াসে ৩৬ হাজার গাড়ি রাখা যাবে।
সত্তরের দশকেও ইউএলসিসি নামের ৪০০ মিটারের কনটেইনারবাহী জাহাজ নির্মাণ করা
হয়েছিল। তবে সাগরে চলাচলের এক দশক পূর্ণ করার আগেই সেগুলো বিকল হয়ে যায়।
অপেক্ষাকৃত ছোট কয়েকটি ইউএলসিসি এখনো চলাচল করছে।
২৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয় পোস্ট-পানামাম্যাক্স নামের কনটেইনারবাহী জাহাজ।
সেটি ২০ ফুটের (টিইইউ) চার হাজার ৩০০ কনটেইনার বহন করতে পারত। গত নভেম্বরে
সাগরে ভাসানো হয় মার্কো পলো নামের জাহাজ। এটি ১৬ হাজার ২০টি কনটেইনার
বহনে সক্ষম।