ঢাকা: জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর
মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের কাস্টডিতে
থাকা সাঈদী বলেন,“মাননীয় আদালত আপনারা আপানাদের বিবেকধারা অনুযায়ী
ন্যায়বিচার করেননি। এ রায় দিয়ে আপনারা আপনাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। শাহবাগের কতিপয় নাস্তিক ও মুরতাদের চাপে আপনারা এ রায় দিয়েছেন।”
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা সাঈদীর কথা বলার শেষ হতে না হতেই ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত সরকার
সমর্থক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আনোয়ার হোসেন চিৎকার দিয়ে
সাঈদীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “কুত্তার বাচ্চা চুপ থাক।”
সঙ্গে
সঙ্গে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ইউসুফ হোসেন বাচ্চু বলেন, “ওই
রাজাকারের বাচ্চা চুপ কর।” এসময় তিনি কাঠগড়ায় থাকা সাঈদীর দিকে তেড়ে আসার
চেষ্টা করলে সরকার পক্ষের প্রসিকিউটররা তাকে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সরকার সমর্থকদের ট্রাইব্যুনালে দাঁড়িয়ে এমন আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরর সদস্যরা ট্রাইব্যুনালের ভিতরে অনাকাঙ্ক্ষিত
পরিস্থিতি এড়াতে দ্রুত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালের
হাজতখানায় নিয়ে যায়। পরে হাজতখানার সম্মুখভাগ পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে।
এর আগে বিচার শুরু আগে সাঈদীকে পোনে ১০টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রী কারাগার
থেকে নিয়ে আসা হয়। ১১টা ১০ মিনিটে তাকে ট্রাইব্যুনালের ভিতর আসামির
কাস্টডিতে নিয়ে বসানো হয়।
রায় পড়া শুরু হলো তিনি কখনো রায় শুনতে থাকেন, কখনো চোখ বন্ধ করে থাকেন। আবার কখনো হাতে থাকা কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে থাকেন