চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) পরিচালনার জন্য সৌদি আরবে একটি গোপন বিমানঘাঁটি
চালাচ্ছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক
খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
আরব উপদ্বীপে অবস্থানরত আল-কায়েদার সদস্যদের খুঁজে বের করতে দুই বছর ধরে
ইয়েমেনভিত্তিক এই বিমানঘাঁটি পরিচালিত হচ্ছে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে এই
ঘাঁটি থেকে নিক্ষিপ্ত ড্রোন হামলায় মার্কিন বংশোদ্ভূত ধর্মীয় নেতা আনোয়ার
আল-আওলাকি নিহত হন। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো তখন থেকে ওই ঘাঁটির খবর জানলেও তা
প্রকাশ করেনি।
খবরে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ইয়েমেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ওই
ঘাঁটির নির্মাণকাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কর্মকর্তারা পত্রিকাটিকে
জানান, আওলাকিকে হত্যা করতেই ঘাঁটিটি প্রথম ব্যবহার করে সিআইএ।
কর্মকর্তারা বলেন, তারপর থেকে আল-কায়েদার আরব উপদ্বীপে অবস্থানরত নেতাদের
ধরতে এবং হত্যা করতে সিআইএকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সিআইএর ড্রোন হামলা চালানোর
ক্ষেত্রে ইয়েমেন সরকারের অনুমতির প্রয়োজন নেই।
ওয়াশিংটন পোস্ট-এর ভিন্ন এক খবরে বলা হয়, গোপন বিমানঘাঁটি নির্মাণে প্রধান
মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন সৌদি আরবে দায়িত্ব পালনকারী সিআইএর সাবেক
প্রধান এবং প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সন্ত্রাসবাদবিরোধী উপদেষ্টা জন
ব্রেনান।
খবরে উল্লেখ করা হয়, সৌদি আরব হলো ইসলামের পবিত্রতম অনেক স্থাপনার
আবাসভূমি। মার্কিন বাহিনী মোতায়েন করার পর সেখানে ওসামা বিন লাদেনের মতো
বিশ্বাসঘাতকের দেখা মেলে।
মার্কিন বিচার বিভাগের একটি নথি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরপরই গোপন বিমানঘাঁটি
পরিচালনার খবরটি প্রকাশ পায়। নথিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে
অবস্থানকারী মার্কিন নাগরিক যারা আল-কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতা বলে অভিযুক্ত
ছিলেন, তাঁদের ব্যাপারে তদন্ত সংশ্লিষ্ট নথিতে এ তথ্য ছিল।
এদিকে এনবিসি নিউজের খবরে বলা হয়, নথিটি মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা ও বিচারিক কমিটির সদস্যদের কাছে দেওয়া হয়েছিল।
ড্রোন হামলা চালিয়ে আওলাকিকে হত্যার আগে নথিটি লেখা হয়। পাকিস্তান,
আফগানিস্তান ও ইয়েমেনে শতশত আল-কায়েদা সদস্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওবামার
অধীনে ড্রোন হামলা বাড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র