ঢাকা: জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর
মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের কাস্টডিতে
থাকা সাঈদী বলেন,“মাননীয় আদালত আপনারা আপানাদের বিবেকধারা অনুযায়ী
ন্যায়বিচার করেননি। এ রায় দিয়ে আপনারা আপনাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। শাহবাগের কতিপয় নাস্তিক ও মুরতাদের চাপে আপনারা এ রায় দিয়েছেন।”
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা সাঈদীর কথা বলার শেষ হতে না হতেই ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত সরকার
সমর্থক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আনোয়ার হোসেন চিৎকার দিয়ে
সাঈদীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “কুত্তার বাচ্চা চুপ থাক।”
সঙ্গে
সঙ্গে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ইউসুফ হোসেন বাচ্চু বলেন, “ওই
রাজাকারের বাচ্চা চুপ কর।” এসময় তিনি কাঠগড়ায় থাকা সাঈদীর দিকে তেড়ে আসার
চেষ্টা করলে সরকার পক্ষের প্রসিকিউটররা তাকে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সরকার সমর্থকদের ট্রাইব্যুনালে দাঁড়িয়ে এমন আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরর সদস্যরা ট্রাইব্যুনালের ভিতরে অনাকাঙ্ক্ষিত
পরিস্থিতি এড়াতে দ্রুত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালের
হাজতখানায় নিয়ে যায়। পরে হাজতখানার সম্মুখভাগ পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে।
এর আগে বিচার শুরু আগে সাঈদীকে পোনে ১০টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রী কারাগার
থেকে নিয়ে আসা হয়। ১১টা ১০ মিনিটে তাকে ট্রাইব্যুনালের ভিতর আসামির
কাস্টডিতে নিয়ে বসানো হয়।
রায় পড়া শুরু হলো তিনি কখনো রায় শুনতে থাকেন, কখনো চোখ বন্ধ করে থাকেন। আবার কখনো হাতে থাকা কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে থাকেন
Thursday, February 28, 2013
সাঈদীকে ‘কুত্তার বাচ্চা’ বলায় ট্রাইব্যুনালে হট্টগোল
দুটি অভিযোগে সাঈদীর ফাঁসি
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার
হোসাইন সাঈদীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আট ও ১০ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় দেন।
এটি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তৃতীয় ও এই ট্রাইব্যুনাল থেকে দেওয়া প্রথম রায়। রায় ছিল ১২০ পৃষ্ঠার।
সাঈদী ছিলেন রাজাকার বাহিনীর সাধারণ সদস্য
বেলা ১১টা ১০ মিনিটে বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এজলাসে বসেন।
১২০ পৃষ্ঠার রায় পড়ার শুরুতেই বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর বলেন, ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পরিচয় সারা দেশের মানুষ জানেন। কিন্তু তাঁর বর্তমানের যে পরিচয়, সে পরিচয়ে আমরা কোনো বিচার করছি না। ১৯৭১ সালে তাঁর বয়স ছিল ৩০ বছর। সাক্ষীদের সাক্ষ্য থেকে জানা গেছে, তিনি রাজাকারদের কোনো কমান্ডার ছিলেন না। তিনি রাজাকার বাহিনীর একজন সাধারণ সদস্য ছিলেন। উর্দু ভাষা জানার কারণে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক তৈরি হয়। তাই তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে প্রতিটি অভিযানে অংশ নিতেন। তাঁর গ্রাম ছিল পিরোজপুরের সাউদখালিতে। তাঁর বিরুদ্ধে যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাঁরা ওই গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষ।
তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে ২৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৭ জন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আমরা রায় ঘোষণা করছি।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রায়ের প্রথম অংশ পড়ছেন বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
অ্যাম্বুলেন্সে করে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয় সাঈদীকে
সাঈদীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। সকাল নয়টা ৩৭ মিনিটে শিশু একাডেমীর পাশের ফটক দিয়ে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয় সাঈদীকে। এরপর তাঁকে ট্রাইব্যুনাল-১-এর হাজতখানায় রাখা হয়েছে। বেলা ১১টা নয় মিনিটে তাঁকে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় তোলা হয়।
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা
সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, হাইকোর্ট ভবন ও আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গোটা এলাকায় কোনো যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দোয়েল চত্বর এলাকা, কার্জন হল ও বঙ্গবাজার সংলগ্ন রাস্তা, কদম ফোয়ারা সংলগ্ন রাস্তা, মত্স্য ভবন ও প্রেসক্লাব এলাকার সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আটকে রাখা হয়েছে। পথচারীদের চলাচলও সংরক্ষিত করা হয়েছে। কেবল প্রেসক্লাব এলাকার রাস্তা দিয়েই পথচারীরা হেঁটে হাইকোর্ট এলাকায় যেতে পারছেন। পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে ট্রাইব্যুনালের দুটি ফটকেই প্রায় অর্ধশতাধিক র্যাব ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে হাইকোর্টের সামনে জড়ো হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্যরা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা।
মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এটি হবে প্রথম রায়।
ফিরে দেখা
২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রথম মামলা করা হয় সাঈদীর বিরুদ্ধে। এই মামলার বিচার শুরু হয় প্রথম, যুক্তি উপস্থাপনও শেষ হয় প্রথম। তবে ২০১২ সালের ২২ মার্চ গঠিত ট্রাইব্যুনাল-২ ইতিমধ্যে দুটি মামলার রায় দিয়েছেন। এর মধ্যে গত ২১ জানুয়ারি জামায়াতের সাবেক সদস্য আবুল কালাম আযাদকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। সাঈদীর বিরুদ্ধে রায় হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তৃতীয় রায়।
সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলেছে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষকে দুই দফায় যুক্তি উপস্থাপন করতে হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন অন্যান্য মামলার তুলনায় এটিতে সাক্ষীর সংখ্যাও বেশি।
ট্রাইব্যুনালের প্রথম মামলা: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গ্রেপ্তার হন। ওই বছরের ২১ জুলাই সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়। ২ নভেম্বর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষ সাঈদীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। ৩ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল তাঁর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন।
২০ অভিযোগ: আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ৩(২) ধারায় সাঈদীর বিরুদ্ধে যে ২০টি অভিযোগ গঠন করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা (জেনোসাইড) ও বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন এবং তাতে সহযোগিতা করা। মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোর মধ্যে রয়েছে হত্যা, অপহরণ, আটক রাখা, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন ও ধর্মান্তর করা এবং এ ধরনের অপরাধে সহযোগিতা করা।
সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তি উপস্থাপন: ২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষের ২৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ৮ এপ্রিল থেকে নয় কার্যদিবসে জবানবন্দি দেন রাষ্ট্রপক্ষের শেষ সাক্ষী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলালউদ্দিন। ৭ মে থেকে আসামিপক্ষ তাঁকে ৪৮ কার্যদিবস জেরা করে। ২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত আসামিপক্ষে ১৭ জন সাফাই সাক্ষ্য দেন। ৬ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় অপেক্ষাধীন (সিএভি) রাখা হয়।
কিন্তু স্কাইপে বিতর্কের জের ধরে ১১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান পদ থেকে বিচারপতি নিজামুল হক সরে দাঁড়ালে ১৩ ডিসেম্বর এই ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। আসামিপক্ষ পুনর্বিচারের আবেদন জানায়। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষের পুনর্বিচারের আবেদন খারিজ করলেও দুই পক্ষকে আবার মামলার সারসংক্ষেপ ও আইনি বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। সে অনুসারে দ্বিতীয় দফায় দুই পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ২৯ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল আবার রায় অপেক্ষাধীন (সিএভি) রাখেন।
এটি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তৃতীয় ও এই ট্রাইব্যুনাল থেকে দেওয়া প্রথম রায়। রায় ছিল ১২০ পৃষ্ঠার।
সাঈদী ছিলেন রাজাকার বাহিনীর সাধারণ সদস্য
বেলা ১১টা ১০ মিনিটে বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এজলাসে বসেন।
১২০ পৃষ্ঠার রায় পড়ার শুরুতেই বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর বলেন, ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পরিচয় সারা দেশের মানুষ জানেন। কিন্তু তাঁর বর্তমানের যে পরিচয়, সে পরিচয়ে আমরা কোনো বিচার করছি না। ১৯৭১ সালে তাঁর বয়স ছিল ৩০ বছর। সাক্ষীদের সাক্ষ্য থেকে জানা গেছে, তিনি রাজাকারদের কোনো কমান্ডার ছিলেন না। তিনি রাজাকার বাহিনীর একজন সাধারণ সদস্য ছিলেন। উর্দু ভাষা জানার কারণে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক তৈরি হয়। তাই তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে প্রতিটি অভিযানে অংশ নিতেন। তাঁর গ্রাম ছিল পিরোজপুরের সাউদখালিতে। তাঁর বিরুদ্ধে যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাঁরা ওই গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষ।
তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে ২৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৭ জন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আমরা রায় ঘোষণা করছি।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রায়ের প্রথম অংশ পড়ছেন বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
অ্যাম্বুলেন্সে করে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয় সাঈদীকে
সাঈদীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। সকাল নয়টা ৩৭ মিনিটে শিশু একাডেমীর পাশের ফটক দিয়ে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয় সাঈদীকে। এরপর তাঁকে ট্রাইব্যুনাল-১-এর হাজতখানায় রাখা হয়েছে। বেলা ১১টা নয় মিনিটে তাঁকে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় তোলা হয়।
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা
সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, হাইকোর্ট ভবন ও আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গোটা এলাকায় কোনো যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দোয়েল চত্বর এলাকা, কার্জন হল ও বঙ্গবাজার সংলগ্ন রাস্তা, কদম ফোয়ারা সংলগ্ন রাস্তা, মত্স্য ভবন ও প্রেসক্লাব এলাকার সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আটকে রাখা হয়েছে। পথচারীদের চলাচলও সংরক্ষিত করা হয়েছে। কেবল প্রেসক্লাব এলাকার রাস্তা দিয়েই পথচারীরা হেঁটে হাইকোর্ট এলাকায় যেতে পারছেন। পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে ট্রাইব্যুনালের দুটি ফটকেই প্রায় অর্ধশতাধিক র্যাব ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে হাইকোর্টের সামনে জড়ো হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্যরা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা।
মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এটি হবে প্রথম রায়।
ফিরে দেখা
২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রথম মামলা করা হয় সাঈদীর বিরুদ্ধে। এই মামলার বিচার শুরু হয় প্রথম, যুক্তি উপস্থাপনও শেষ হয় প্রথম। তবে ২০১২ সালের ২২ মার্চ গঠিত ট্রাইব্যুনাল-২ ইতিমধ্যে দুটি মামলার রায় দিয়েছেন। এর মধ্যে গত ২১ জানুয়ারি জামায়াতের সাবেক সদস্য আবুল কালাম আযাদকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। সাঈদীর বিরুদ্ধে রায় হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তৃতীয় রায়।
সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলেছে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষকে দুই দফায় যুক্তি উপস্থাপন করতে হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন অন্যান্য মামলার তুলনায় এটিতে সাক্ষীর সংখ্যাও বেশি।
ট্রাইব্যুনালের প্রথম মামলা: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গ্রেপ্তার হন। ওই বছরের ২১ জুলাই সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়। ২ নভেম্বর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষ সাঈদীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। ৩ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল তাঁর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন।
২০ অভিযোগ: আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ৩(২) ধারায় সাঈদীর বিরুদ্ধে যে ২০টি অভিযোগ গঠন করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা (জেনোসাইড) ও বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন এবং তাতে সহযোগিতা করা। মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোর মধ্যে রয়েছে হত্যা, অপহরণ, আটক রাখা, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন ও ধর্মান্তর করা এবং এ ধরনের অপরাধে সহযোগিতা করা।
সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তি উপস্থাপন: ২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষের ২৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ৮ এপ্রিল থেকে নয় কার্যদিবসে জবানবন্দি দেন রাষ্ট্রপক্ষের শেষ সাক্ষী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলালউদ্দিন। ৭ মে থেকে আসামিপক্ষ তাঁকে ৪৮ কার্যদিবস জেরা করে। ২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত আসামিপক্ষে ১৭ জন সাফাই সাক্ষ্য দেন। ৬ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় অপেক্ষাধীন (সিএভি) রাখা হয়।
কিন্তু স্কাইপে বিতর্কের জের ধরে ১১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান পদ থেকে বিচারপতি নিজামুল হক সরে দাঁড়ালে ১৩ ডিসেম্বর এই ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। আসামিপক্ষ পুনর্বিচারের আবেদন জানায়। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষের পুনর্বিচারের আবেদন খারিজ করলেও দুই পক্ষকে আবার মামলার সারসংক্ষেপ ও আইনি বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। সে অনুসারে দ্বিতীয় দফায় দুই পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ২৯ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল আবার রায় অপেক্ষাধীন (সিএভি) রাখেন।
Wednesday, February 27, 2013
সাঈদীর রায় বৃহস্পতিবার
আগামী কাল সাঈদীর রায় ঘোষনা করবে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একারনে প্রজন্ম চত্বরকে আহবান করা হচ্ছে আজ সন্ধ্যা থেকেই সবাই যেনো কোর্ট চত্বর এবং এর আশেপাশে অবস্থান নেয়।
এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি-৬৬
সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা স্টেট কলেজ, ঢাকা
Right Form of Verbs
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ তোমাদের জন্য ইংরেজি ২য় পত্রের ১ নম্বর প্রশ্ন অর্থাৎ Right Form of Verbs নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নে মোট ৫টি শূন্যস্থান সংবলিত একটি Passage (with clue/ without clue) দেওয়া থাকবে এবং নম্বর থাকবে ৫। উত্তর লেখার সময় passage-টি তোলার কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু উত্তর লিখলেই চলবে। আগে তোমরা নিজে চেষ্টা করবে। তারপর উত্তরের সঙ্গে তা মিলিয়ে নেবে।
Set-4
Complete the passage with suitable verbs from the list. Put them in the correct tense. Use the negative where necessary: 5
Be—reach—work—come—confine —dominate—succeed
Today women play an important role in all spheres of life. Once they were (a)—by men. They (b)—no longer (c)—within the four walls. They have (d)—out of kitchens and are (e)—hand in hand with man.
Set-4. Ans. try yourself
Set-5
Complete the passage with suitable verbs from the list. Put them in the correct tenses. Use the negatives where necessary. 5
result—add—enjoy—take—be— fall—reduce
Since the people of Bangladesh do not possess knowledge of health and (a)—much health care, malnutrition (b)—to the sufferings of the people. Most of the children of Bangladesh (c)—deprived of enough calories from the food (d)—by them. Lack of vitamin A (e)—in the eye-sight of many children.
Set-5: Ans. (a) do not take (b) adds (c) are (d) enjoyed (e) results
Set-6
Complete the passage with suitable verbs from the list. Put them in the correct tense. Use the negative where necessary: 5
Dare—desire—attain—be—may—
should—assist
Everyone (a)—success in life but very few can (b)—it. One of the main reasons for his failure is that many people (c)—take risks. We must remember that life (d)—not a bed of roses. It is full of troubles and problems. We (e)—face them with courage.
Set-6. Ans. Try Yourself
Set-7
Complete the passage with suitable verbs from the list. Put them in the correct tenses. Use the negatives where necessary. 5
read—think—weep—say— torture—pray—go
One day while I (a)—newspaper sitting in my room, a woman with her little baby in her lap came to me (b)—I could not recognize her first, and she introduced herself and complained against her husband (c)—that she severely (d)—by him. I heard everything and advised her (e)—to the court.
Set-7: Ans. (a) was reading (b) weeping (c) saying (d) had been tortured (e) to go.
Right Form of Verbs
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ তোমাদের জন্য ইংরেজি ২য় পত্রের ১ নম্বর প্রশ্ন অর্থাৎ Right Form of Verbs নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নে মোট ৫টি শূন্যস্থান সংবলিত একটি Passage (with clue/ without clue) দেওয়া থাকবে এবং নম্বর থাকবে ৫। উত্তর লেখার সময় passage-টি তোলার কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু উত্তর লিখলেই চলবে। আগে তোমরা নিজে চেষ্টা করবে। তারপর উত্তরের সঙ্গে তা মিলিয়ে নেবে।
Set-4
Complete the passage with suitable verbs from the list. Put them in the correct tense. Use the negative where necessary: 5
Be—reach—work—come—confine —dominate—succeed
Today women play an important role in all spheres of life. Once they were (a)—by men. They (b)—no longer (c)—within the four walls. They have (d)—out of kitchens and are (e)—hand in hand with man.
Set-4. Ans. try yourself
Set-5
Complete the passage with suitable verbs from the list. Put them in the correct tenses. Use the negatives where necessary. 5
result—add—enjoy—take—be— fall—reduce
Since the people of Bangladesh do not possess knowledge of health and (a)—much health care, malnutrition (b)—to the sufferings of the people. Most of the children of Bangladesh (c)—deprived of enough calories from the food (d)—by them. Lack of vitamin A (e)—in the eye-sight of many children.
Set-5: Ans. (a) do not take (b) adds (c) are (d) enjoyed (e) results
Set-6
Complete the passage with suitable verbs from the list. Put them in the correct tense. Use the negative where necessary: 5
Dare—desire—attain—be—may—
should—assist
Everyone (a)—success in life but very few can (b)—it. One of the main reasons for his failure is that many people (c)—take risks. We must remember that life (d)—not a bed of roses. It is full of troubles and problems. We (e)—face them with courage.
Set-6. Ans. Try Yourself
Set-7
Complete the passage with suitable verbs from the list. Put them in the correct tenses. Use the negatives where necessary. 5
read—think—weep—say— torture—pray—go
One day while I (a)—newspaper sitting in my room, a woman with her little baby in her lap came to me (b)—I could not recognize her first, and she introduced herself and complained against her husband (c)—that she severely (d)—by him. I heard everything and advised her (e)—to the court.
Set-7: Ans. (a) was reading (b) weeping (c) saying (d) had been tortured (e) to go.
নাম পাল্টাচ্ছে হেরাল্ড ট্রিবিউন
বিখ্যাত ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন-এর নাম
ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস-এ পরিবর্তিত হচ্ছে। পত্রিকাটির মালিক
প্রতিষ্ঠান নিউইয়র্ক টাইমস এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এই শরতেই পত্রিকাটির নামের ওই পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের পাঠকদের কাছে ৪০ বছর ধরে এটি আইএইচটি নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে আসছে।
নিজ ভাবমূর্তি সুসংহত করতে নিউইয়র্ক টাইমস-এর গ্রহণ করা বিভিন্ন পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ওই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এসব পরিকল্পনার অধীন চলতি মাসে বোস্টন গ্লোব পত্রিকা বিক্রি করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় নিউইয়র্ক টাইমস ।
নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক থম্পসন বলেছেন, পত্রিকাটিতে আরও নতুন সংবাদকর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। বিদেশে এর পাঠক জনপ্রিয়তা বাড়ানো তাঁদের লক্ষ্য।
বিবিসির সাবেক মহাপরিচালক থম্পসন গত বছরের নভেম্বরে নিউইয়র্ক টাইমস-এ যোগ দেন।
২০০৩ সালে আইএইচটির পূর্ণাঙ্গ মালিকানা লাভ করে নিউইয়র্ক টাইমস। ইতিপূর্বে পত্রিকাটির ৫০ শতাংশ মালিকানার অধিকারী ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা। আন্তর্জাতিক পত্রিকা আইএইচটি তার ১২৫ বছরের ইতিহাসে আরও কয়েকবার নাম পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়। পত্রিকাটি ১৮৮৭ সালে যাত্রা শুরু করে। বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রে এই শরতেই পত্রিকাটির নামের ওই পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের পাঠকদের কাছে ৪০ বছর ধরে এটি আইএইচটি নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে আসছে।
নিজ ভাবমূর্তি সুসংহত করতে নিউইয়র্ক টাইমস-এর গ্রহণ করা বিভিন্ন পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ওই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এসব পরিকল্পনার অধীন চলতি মাসে বোস্টন গ্লোব পত্রিকা বিক্রি করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় নিউইয়র্ক টাইমস ।
নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক থম্পসন বলেছেন, পত্রিকাটিতে আরও নতুন সংবাদকর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। বিদেশে এর পাঠক জনপ্রিয়তা বাড়ানো তাঁদের লক্ষ্য।
বিবিসির সাবেক মহাপরিচালক থম্পসন গত বছরের নভেম্বরে নিউইয়র্ক টাইমস-এ যোগ দেন।
২০০৩ সালে আইএইচটির পূর্ণাঙ্গ মালিকানা লাভ করে নিউইয়র্ক টাইমস। ইতিপূর্বে পত্রিকাটির ৫০ শতাংশ মালিকানার অধিকারী ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা। আন্তর্জাতিক পত্রিকা আইএইচটি তার ১২৫ বছরের ইতিহাসে আরও কয়েকবার নাম পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়। পত্রিকাটি ১৮৮৭ সালে যাত্রা শুরু করে। বিবিসি।
বিচার চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক এক সদস্যের কাছে
বিচার চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এই অভিযোগে গত সোমবার
কাপাসিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে কাপাসিয়ার সনমানিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক গৃহবধূ তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে বিচার চাইতে যান সনমানিয়া ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মাইন উদ্দিনের কাছে। তিনি অভিযোগ শোনার কথা বলে ওই গৃহবধূকে স্থানীয় আড়াল বাজারে নিজের দোকানের পেছনের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর ধর্ষণের কথা কাউকে না জানাতে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
ওই গৃহবধূ প্রথমে ঘটনাটি কাউকে না জানালেও পরে স্বামীকে খুলে বলেন। তাঁর স্বামী পরে ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও নারী সদস্যদের কাছে গিয়ে বিচার চান। কিন্তু বিচার না পেয়ে সোমবার ওই গৃহবধূ মাইন উদ্দিনের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন ।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটু ঝগড়াবিবাদ হতো। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমার স্ত্রী মাইন উদ্দিন মেম্বারের কাছে বিচার চাইতে যান। কিন্তু মেম্বার আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মাইন উদ্দিনের মুঠোফোনে কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনাটি শুনেছি। মাইন উদ্দিন মেম্বার ঘটনাটি আপস করে দিতে বলেছেন। আমি বলেছি, এসব বিষয়ে কোনো আপস করা যায় না। আইনগতভাবে যা হয়, তাই করা উচিত।’
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলওয়ার হোসেন বলেন, আসামি মাইন উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে কাপাসিয়ার সনমানিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক গৃহবধূ তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে বিচার চাইতে যান সনমানিয়া ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মাইন উদ্দিনের কাছে। তিনি অভিযোগ শোনার কথা বলে ওই গৃহবধূকে স্থানীয় আড়াল বাজারে নিজের দোকানের পেছনের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর ধর্ষণের কথা কাউকে না জানাতে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
ওই গৃহবধূ প্রথমে ঘটনাটি কাউকে না জানালেও পরে স্বামীকে খুলে বলেন। তাঁর স্বামী পরে ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও নারী সদস্যদের কাছে গিয়ে বিচার চান। কিন্তু বিচার না পেয়ে সোমবার ওই গৃহবধূ মাইন উদ্দিনের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন ।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটু ঝগড়াবিবাদ হতো। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমার স্ত্রী মাইন উদ্দিন মেম্বারের কাছে বিচার চাইতে যান। কিন্তু মেম্বার আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মাইন উদ্দিনের মুঠোফোনে কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনাটি শুনেছি। মাইন উদ্দিন মেম্বার ঘটনাটি আপস করে দিতে বলেছেন। আমি বলেছি, এসব বিষয়ে কোনো আপস করা যায় না। আইনগতভাবে যা হয়, তাই করা উচিত।’
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলওয়ার হোসেন বলেন, আসামি মাইন উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় এক কলেজছাত্রী (১৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ
ব্যাপারে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বপন কর্মকার (২৩)
নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্বপনের বাড়ি উপজেলার শিলুয়া চা-বাগানের ৮ নম্বর লাইন এলাকায়। মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে পড়েন। কলেজে আসা-যাওয়ার পথে স্বপন তাঁকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ছাত্রী। পথে একা পেয়ে স্বপন তাঁর মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলেন এবং পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় মুঠোফোনের ক্যামেরায় ছাত্রীটির আপত্তিকর ছবি তোলেন স্বপন। পরে তিনি ছাত্রীটিকে সেখানে ফেলে রেখে সটকে পড়েন।
ওই ছাত্রী গত রোববার স্বপনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই স্বপনকে গ্রেপ্তার করে। ওই ছাত্রীর বাবা জানান, ঘটনার পর তাঁর মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। লজ্জায় প্রথমে মুখ খোলেনি সে (ছাত্রী)। পরে সে ঘটনাটি জানায়। তাই মামলা করতে দেরি হয়েছে।
স্বপনের বাড়ি উপজেলার শিলুয়া চা-বাগানের ৮ নম্বর লাইন এলাকায়। মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে পড়েন। কলেজে আসা-যাওয়ার পথে স্বপন তাঁকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ছাত্রী। পথে একা পেয়ে স্বপন তাঁর মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলেন এবং পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় মুঠোফোনের ক্যামেরায় ছাত্রীটির আপত্তিকর ছবি তোলেন স্বপন। পরে তিনি ছাত্রীটিকে সেখানে ফেলে রেখে সটকে পড়েন।
ওই ছাত্রী গত রোববার স্বপনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই স্বপনকে গ্রেপ্তার করে। ওই ছাত্রীর বাবা জানান, ঘটনার পর তাঁর মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। লজ্জায় প্রথমে মুখ খোলেনি সে (ছাত্রী)। পরে সে ঘটনাটি জানায়। তাই মামলা করতে দেরি হয়েছে।
রাজশাহীতে শিশুছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি
তৃতীয় শ্রেণীর এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে রাজশাহী নগরের একটি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে গতকাল মঙ্গলবার পিটুনি দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, বেলা দেড়টার দিকে হঠাৎ একদল লোক এসে সহকারী শিক্ষক মাসুম বিল্লাহকে (২৭) মারধর শুরু করেন। তাঁদের কয়েকজন বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করেন, মাসুম তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে তার মায়ের কাছে এ অভিযোগ করে। বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ লোকজন বিদ্যালয়ে এসে মাসুমের ওপর হামলা চালান।
মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মোমিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ক্ষুব্ধ জনতা মাসুম বিল্লাহকে তাঁদের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, বেলা দেড়টার দিকে হঠাৎ একদল লোক এসে সহকারী শিক্ষক মাসুম বিল্লাহকে (২৭) মারধর শুরু করেন। তাঁদের কয়েকজন বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করেন, মাসুম তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে তার মায়ের কাছে এ অভিযোগ করে। বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ লোকজন বিদ্যালয়ে এসে মাসুমের ওপর হামলা চালান।
মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মোমিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ক্ষুব্ধ জনতা মাসুম বিল্লাহকে তাঁদের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সরকার আগুন নিয়ে খেলছে
ব্লগে আল্লাহ, মহানবী (সা.) ও ধর্মীয় অনুশাসনকে কটাক্ষ করার অভিযোগ তুলে এ
নিয়ে সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সরকার আগুন নিয়ে খেলছে।’
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। ‘পুলিশ-র্যাব ও ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ নৈরাজ্য ও নির্বিচারে মানুষ হত্যার’ প্রতিবাদে বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ইসলামী ঐক্যজোটের এক আলোচনা সভায়ও একই কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—সব ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে।’ তিনি বলেন, সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। বিষয়টি এত ভয়াবহ যে জাতীয় নিরাপত্তা পর্যন্ত হুমকির সম্মুখীন হয়ে গেছে। তারা যে বিষয়গুলো উসকে দিচ্ছে, তাতে দেশের বিভাজন সৃষ্টি করবে।
সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, কার স্বার্থে এই বিভাজন করছেন। কার স্বার্থে ব্যাংক-বিমা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার ইঙ্গিত দিচ্ছেন? এই ভয়াবহ খেলা থেকে সরে আসুন। জনগণকে জনগণের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেবেন না। এখনো সময় আছে। রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবে করুন।
ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ বিভাজনের রাজনীতি চায় না, শান্তি চায়। তাই তরুণসমাজকে বলতে চাই, প্রতিহিংসা, ফাঁসি আর জবাই করার রাজনীতি নয়। আমরা ভালোবাসা, সৌহার্দ্যের রাজনীতি চাই। জবাই করে, ফাঁসি দিয়ে সুন্দর বাংলাদেশ গড়া যাবে না।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকারের হুকুমে পুলিশ গত ১০ দিনে ৩০ জন সাধারণ মানুষকে বন্যপশুর মতো গুলি করে মেরেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের-বিপক্ষের শক্তিতে এবং ইসলামের পক্ষের-বিপক্ষের শক্তিতে বিভক্ত করছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। ‘পুলিশ-র্যাব ও ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ নৈরাজ্য ও নির্বিচারে মানুষ হত্যার’ প্রতিবাদে বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ইসলামী ঐক্যজোটের এক আলোচনা সভায়ও একই কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—সব ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে।’ তিনি বলেন, সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। বিষয়টি এত ভয়াবহ যে জাতীয় নিরাপত্তা পর্যন্ত হুমকির সম্মুখীন হয়ে গেছে। তারা যে বিষয়গুলো উসকে দিচ্ছে, তাতে দেশের বিভাজন সৃষ্টি করবে।
সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, কার স্বার্থে এই বিভাজন করছেন। কার স্বার্থে ব্যাংক-বিমা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার ইঙ্গিত দিচ্ছেন? এই ভয়াবহ খেলা থেকে সরে আসুন। জনগণকে জনগণের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেবেন না। এখনো সময় আছে। রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবে করুন।
ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ বিভাজনের রাজনীতি চায় না, শান্তি চায়। তাই তরুণসমাজকে বলতে চাই, প্রতিহিংসা, ফাঁসি আর জবাই করার রাজনীতি নয়। আমরা ভালোবাসা, সৌহার্দ্যের রাজনীতি চাই। জবাই করে, ফাঁসি দিয়ে সুন্দর বাংলাদেশ গড়া যাবে না।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকারের হুকুমে পুলিশ গত ১০ দিনে ৩০ জন সাধারণ মানুষকে বন্যপশুর মতো গুলি করে মেরেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের-বিপক্ষের শক্তিতে এবং ইসলামের পক্ষের-বিপক্ষের শক্তিতে বিভক্ত করছে।
পুলিশের এসআই পদে নিয়োগের পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে বহিরাগত ক্যাডেট এসআই (নি.) পুরুষ/মহিলা পদে
নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা ও অ্যাটিসিউড টেস্টের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও
তা অনিবার্য কারণবশত সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ২৭ ফেব্রুয়ারি
(বুধবার) তারিখের পরীক্ষা ১২ মার্চ এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা ১৩ মার্চ
অনুষ্ঠিত হবে।
কলকাতার শিয়ালদাহর সূর্যসেন মার্কেটে ভয়াবহ আগুন
কলকাতার
শিয়ালদাহ স্টেশন লাগোয়া এপিসি রোডে একটি চারতলা ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায়
বহু মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বেসরকারিভাবে
মৃতের সংখ্যা ১৯ বলে জানা গেলেও সরকারি হিসাব বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার এই সংখ্যা ১৩ বলে দাবি করলেও কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন ১৫ জনের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। তবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৬ জনের মৃতদেহ পৌঁছেছে। এর মধ্যে একজন মহিলা ও শিশু রয়েছে বলে মর্গ সূত্রে জানা গেছে।
আজ বুধবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে শিয়ালদাহ স্টেশন লাগোয়া সূর্যসেন মার্কেটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে দমকল বাহিনীর ২৫টি দল কাজ করেছে। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যেই ৩৫ নম্বর এপিসি বোস রোডের চার তলার এই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে এখনও পর্যন্ত স্টোর রুম থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা গেছে।
রাজ্য সরকারের দমকল মন্ত্রী জাভেদ খান বলেছেন, কলকাতা শহরে সাত লক্ষ ভবন অবৈধভাবে নির্মিত। এসব ভবনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চারতলার এই ভবনটি সূর্যসেন মার্কেট নামে পরিচিত। রাতে বহু দোকানদার এমনকি ভবঘুরেরাও মার্কেটের বারান্দায় রাত কাটান। মৃতদের পরিচয় এখনও প্রশাসন নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানান দমকল মন্ত্রী।
সূর্যসেন ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে জানান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বামফ্রন্টের সময় এমন বহু অবৈধ ভবন তৈরি হয়েছে। এগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। আগুনে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ১৯ জন। আহতদের এনআরএস, এসএসকেএমসহ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুপুরের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা রয়েছে। সকালে বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র সেখানে পরিদর্শনে যান। গত বছর দক্ষিণ কলকাতার আমরি হাসপাতালে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ১১৩ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে সূর্যসেন মার্কেটের পাশেই নন্দরাম মার্কেটেও ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার এই সংখ্যা ১৩ বলে দাবি করলেও কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন ১৫ জনের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। তবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৬ জনের মৃতদেহ পৌঁছেছে। এর মধ্যে একজন মহিলা ও শিশু রয়েছে বলে মর্গ সূত্রে জানা গেছে।
আজ বুধবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে শিয়ালদাহ স্টেশন লাগোয়া সূর্যসেন মার্কেটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে দমকল বাহিনীর ২৫টি দল কাজ করেছে। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যেই ৩৫ নম্বর এপিসি বোস রোডের চার তলার এই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে এখনও পর্যন্ত স্টোর রুম থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা গেছে।
রাজ্য সরকারের দমকল মন্ত্রী জাভেদ খান বলেছেন, কলকাতা শহরে সাত লক্ষ ভবন অবৈধভাবে নির্মিত। এসব ভবনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চারতলার এই ভবনটি সূর্যসেন মার্কেট নামে পরিচিত। রাতে বহু দোকানদার এমনকি ভবঘুরেরাও মার্কেটের বারান্দায় রাত কাটান। মৃতদের পরিচয় এখনও প্রশাসন নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানান দমকল মন্ত্রী।
সূর্যসেন ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে জানান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বামফ্রন্টের সময় এমন বহু অবৈধ ভবন তৈরি হয়েছে। এগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। আগুনে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ১৯ জন। আহতদের এনআরএস, এসএসকেএমসহ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুপুরের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা রয়েছে। সকালে বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র সেখানে পরিদর্শনে যান। গত বছর দক্ষিণ কলকাতার আমরি হাসপাতালে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ১১৩ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে সূর্যসেন মার্কেটের পাশেই নন্দরাম মার্কেটেও ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
নারীদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ মহানগর দিল্লি
ভারতে
নারীদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ মহানগর দিল্লি। পর্যটনবিষয়ক ওয়েবসাইট ট্রিপ
অ্যাডভাইজার পরিচালিত এক জরিপে এ চিত্র ফুটে উঠেছে। জরিপের ফল গত সোমবার
প্রকাশ করা হয়েছে।
কাজের জন্য বাইরে বের হন বা অবসরে চলাফেরা করেন-এমন নারীদের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, ৮৪ শতাংশ নারী দিলি্লতে একা চলাফেরায় নিরাপদ বোধ করেন না। মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইকে সবচেয়ে নিরাপদ নগরী মনে করেন নারীরা। সর্বোচ্চ ৩৪ শতাংশ নারীর কাছে মুম্বাই সবচেয়ে নিরাপদ শহর। ১২ শতাংশ নারীর ভোট পেয়ে গুজরাটের সবচেয়ে বড় শহর আহমেদাবাদ এবং কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু যৌথভাবে দ্বিতীয় নিরাপদ নগরীর স্থান দখল করেছে।
জরিপ অনুযায়ী, কাজের সুবাদে একা চলাচল করেন_এমন ৩৭ শতাংশ নারী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। আর দেশের বাইরে চলাচলের চেয়ে ভারতের অভ্যন্তরে চলাফেরা করতে ৯৪ শতাংশ নারীই নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও ৩৩ শতাংশ নারী জানান, তাঁরা নতুন কিংবা অপরিচিত কোনো শহরে গেলে আত্মরার প্রস্তুতি নিয়ে যান। আগ্নেয়াস্ত্র অথবা মরিচের স্প্রে (পিপার স্প্রে) সঙ্গে রাখেন তাঁরা। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
কাজের জন্য বাইরে বের হন বা অবসরে চলাফেরা করেন-এমন নারীদের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, ৮৪ শতাংশ নারী দিলি্লতে একা চলাফেরায় নিরাপদ বোধ করেন না। মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইকে সবচেয়ে নিরাপদ নগরী মনে করেন নারীরা। সর্বোচ্চ ৩৪ শতাংশ নারীর কাছে মুম্বাই সবচেয়ে নিরাপদ শহর। ১২ শতাংশ নারীর ভোট পেয়ে গুজরাটের সবচেয়ে বড় শহর আহমেদাবাদ এবং কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু যৌথভাবে দ্বিতীয় নিরাপদ নগরীর স্থান দখল করেছে।
জরিপ অনুযায়ী, কাজের সুবাদে একা চলাচল করেন_এমন ৩৭ শতাংশ নারী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। আর দেশের বাইরে চলাচলের চেয়ে ভারতের অভ্যন্তরে চলাফেরা করতে ৯৪ শতাংশ নারীই নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও ৩৩ শতাংশ নারী জানান, তাঁরা নতুন কিংবা অপরিচিত কোনো শহরে গেলে আত্মরার প্রস্তুতি নিয়ে যান। আগ্নেয়াস্ত্র অথবা মরিচের স্প্রে (পিপার স্প্রে) সঙ্গে রাখেন তাঁরা। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
হাঙরের হামলায় একজনের মৃত্যু
নিউজিল্যান্ডে সমুদ্রসৈকতে হাঙরের আক্রমণে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তবে
তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। অকল্যান্ড শহরের কাছে মুরিওয়াই সৈকতে আজ
বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসি অনলাইনের।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনার সময় ৪৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সাঁতার কাটছিলেন। হাঙরের আক্রমণ থেকে তাঁকে বাঁচাতে পুলিশ গুলি ছোড়ে।
টিভি এনজেডের খবরে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডে হাঙরের আক্রমণে নিহতের ঘটনা বিরল। ১৮৪৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত এ ধরনের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে মাত্র ১১টি। সর্বশেষ ১৯৭৬ সালে হাঙরের আক্রমণে একজনের মৃত্যু হয়।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, বড় হাঙরের আক্রমণে ওই ব্যক্তি মারা যায়। পানি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর সমুদ্রসৈকতটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনার সময় ৪৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সাঁতার কাটছিলেন। হাঙরের আক্রমণ থেকে তাঁকে বাঁচাতে পুলিশ গুলি ছোড়ে।
টিভি এনজেডের খবরে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডে হাঙরের আক্রমণে নিহতের ঘটনা বিরল। ১৮৪৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত এ ধরনের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে মাত্র ১১টি। সর্বশেষ ১৯৭৬ সালে হাঙরের আক্রমণে একজনের মৃত্যু হয়।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, বড় হাঙরের আক্রমণে ওই ব্যক্তি মারা যায়। পানি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর সমুদ্রসৈকতটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
Tuesday, February 26, 2013
সাগরতলের প্রাচীন মহাদেশ ‘মরিশিয়া’!
ভারত মহাসাগরের নীচে প্রাগৈতিহাসিক যুগের একটি ‘ক্ষুদ্র মহাদেশ’ রয়েছে বলে
সম্প্রতি দাবি করেছেন গবেষকেরা। মহাসাগরের লাভার নীচে ডুবে থাকা এ
মহাদেশটিকে ‘মরিশিয়া’ নামে ডাকতে শুরু করেছেন তাঁরা।
২৪ ফেব্রুয়ারি ‘নেচার জিওসায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধের গবেষকেরা ‘মরিশিয়া’র উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন। গবেষকেরা আশা করছেন যে, এ ধরনের আরও কয়েকটি ক্ষুদ্র মহাদেশের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে। ভারত মহাসাগরের দ্বীপ মরিশাস অঞ্চলের বিশেষ ধরনের বালু পরীক্ষা করে এ তথ্য জানিয়েছেন গবেষকেরা।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, মরিশিয়া নামের ওই ভূখণ্ড গঠিত হয়েছিল সম্ভবত ছয় কোটি ১০ লাখ থেকে আট কোটি ৩০ লাখ বছর আগে, ভারত থেকে মাদাগাস্কার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর। কালক্রমে ঘন লাভার স্তূপে চাপা পড়ে যায় মরিশিয়া।
বিজ্ঞানীরা মরিশাসের সৈকত থেকে সংগৃহীত বালি বিশ্লেষণ করে ৬৬ কোটি থেকে প্রায় ২০০ কোটি বছরের পুরোনো জিরকোনিয়াম মৌলের উপস্থিতি শনাক্ত করেন। মরিশাস দ্বীপের তলদেশে একটি ক্ষুদ্র মহাদেশের অস্তিত্ব নির্দেশ করছে জিরকোনিয়াম। গবেষকেরা ধারণা করছেন, আগ্নেয়গিরির সাম্প্রতিক ক্রিয়ার ফলে ওই জিরকোনিয়াম ভূপৃষ্ঠে উঠে এসেছে।
মরিশাসের সঙ্গে মরিশিয়ার সম্পর্ক
বর্তমান মরিশাসের সঙ্গে প্রাচীন ক্ষুদ্র মহাদেশ মরিশিয়ার সম্পর্ক রয়েছে। গবেষকেরা ধারণা করছেন, মরিশাস আগ্নেয়গিরি শৃঙ্খলের একটি অংশ। টেকটোনিক প্লেটের প্রান্তের দিকে এ আগ্নেয়গিরি শৃঙ্খল থাকে। তবে যে টেকটোনিক প্লেটের ওপর বর্তমান মরিশাস অবস্থান করছে তার প্রান্ত থেকে এর অবস্থান অনেকটাই দূরে। এর কারণ এখনও অজানা।
গবেষকেদের ভাষ্য, আমাদের পৃথিবী একাধিক পাত বা প্লেটের আবরণে মোড়ানো। একে বলে টেকটোনিক প্লেট। এ প্লেটের প্রান্তদেশের আগ্নেয়গিরিগুলোই পৃথিবীর ভূ-ভাগ তৈরি করেছে। তবে হাওয়াই দ্বীপের মতো কোনো টেকটোনিক প্লেটের মাঝামাঝি অঞ্চলে আগ্নেয়গিরি থাকলে তা লাভার উদিগরণ করে এবং টেকটোনিক প্লেটগুলো দুর্বল করে তাতে ভাঙন ধরায়।
গবেষকেদের ধারণা ১৭ কোটি বছর আগে পূর্ব গন্ডোয়ানা মহাদেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তাঁদের মতে, দক্ষিণ গোলার্ধে গন্ডোয়ানা নামে বিশাল একটি মহাদেশের অস্তিত্ব ছিল যা বিভক্ত হয়ে যায়। গন্ডোয়ানাকে গন্ডোয়ানাল্যান্ডও বলা হয়।
এদিকে, মরিশাসের সঙ্গে মরিশিয়ার সম্পর্ক প্রসঙ্গে নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ এব হার্জ জানিয়েছেন, ৯০ লাখ বছর আগে ভূ-উদিগরণে নির্গত শিলার ক্ষয়ের নিদর্শন হচ্ছে মরিশাসের সমুদ্র সৈকত। আর এই সমুদ্র সৈকতের বালিতেই পাওয়া গেছে জিরকোনিয়াম।
জিরকোনিয়াম দানার সন্ধান করতে গবেষকেরা স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে তৈরি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্রের ম্যাপ নিয়ে গবেষণা করেন। পৃথিবীর সব খানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সমান নয়। কোথাও খুব বেশি আবার কোথাও খুবই কম।
গবেষকেরা মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্রের মানচিত্র নিয়ে গবেষণা চালাতে গিয়েই ভারত মহাসাগরের তলদেশে ক্ষুদ্র মহাদেশটির অস্তিত্ব রয়েছে বলে জানতে পারেন। গবেষকেদের মতে, পুরোনো সেই মরিশিয়ার সঙ্গে বর্তমান মরিশাসের সম্পর্ক রয়েছে, যার নিদর্শন ওই জিরকোনিয়াম। গবেষকেরা মহা দেশীয় ফাটল বা চ্যুতি গবেষণা করে দেখেছেন। তাঁরা ধারণা করছেন, প্রায় ১০ কোটি বছর আগে ভারত মহাসাগর তৈরির সময় মাদাগাস্কারের সঙ্গে আলদা হয়ে যায় মরিশিয়া। আর সেই থেকেই আগ্নেয়গিরির লাভার নীচে চাপা পড়ে যেতে শুরু করে। গবেষকেরা মনে করছেন, এরকম ছোটো ছোটো অনেক মহাদেশের ক্ষেত্রেই এ ধরনের ঘটনা হয়তো ঘটেছে।
অবশ্য ভারত মহাসাগরে পানজিয়া নামের একটি বিশাল মহাদেশের অস্তিত্ব ছিল বলে বিজ্ঞানীরা এর আগেই দাবি করেছিলেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ‘নেচার জিওসায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধের গবেষকেরা ‘মরিশিয়া’র উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন। গবেষকেরা আশা করছেন যে, এ ধরনের আরও কয়েকটি ক্ষুদ্র মহাদেশের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে। ভারত মহাসাগরের দ্বীপ মরিশাস অঞ্চলের বিশেষ ধরনের বালু পরীক্ষা করে এ তথ্য জানিয়েছেন গবেষকেরা।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, মরিশিয়া নামের ওই ভূখণ্ড গঠিত হয়েছিল সম্ভবত ছয় কোটি ১০ লাখ থেকে আট কোটি ৩০ লাখ বছর আগে, ভারত থেকে মাদাগাস্কার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর। কালক্রমে ঘন লাভার স্তূপে চাপা পড়ে যায় মরিশিয়া।
বিজ্ঞানীরা মরিশাসের সৈকত থেকে সংগৃহীত বালি বিশ্লেষণ করে ৬৬ কোটি থেকে প্রায় ২০০ কোটি বছরের পুরোনো জিরকোনিয়াম মৌলের উপস্থিতি শনাক্ত করেন। মরিশাস দ্বীপের তলদেশে একটি ক্ষুদ্র মহাদেশের অস্তিত্ব নির্দেশ করছে জিরকোনিয়াম। গবেষকেরা ধারণা করছেন, আগ্নেয়গিরির সাম্প্রতিক ক্রিয়ার ফলে ওই জিরকোনিয়াম ভূপৃষ্ঠে উঠে এসেছে।
মরিশাসের সঙ্গে মরিশিয়ার সম্পর্ক
বর্তমান মরিশাসের সঙ্গে প্রাচীন ক্ষুদ্র মহাদেশ মরিশিয়ার সম্পর্ক রয়েছে। গবেষকেরা ধারণা করছেন, মরিশাস আগ্নেয়গিরি শৃঙ্খলের একটি অংশ। টেকটোনিক প্লেটের প্রান্তের দিকে এ আগ্নেয়গিরি শৃঙ্খল থাকে। তবে যে টেকটোনিক প্লেটের ওপর বর্তমান মরিশাস অবস্থান করছে তার প্রান্ত থেকে এর অবস্থান অনেকটাই দূরে। এর কারণ এখনও অজানা।
গবেষকেদের ভাষ্য, আমাদের পৃথিবী একাধিক পাত বা প্লেটের আবরণে মোড়ানো। একে বলে টেকটোনিক প্লেট। এ প্লেটের প্রান্তদেশের আগ্নেয়গিরিগুলোই পৃথিবীর ভূ-ভাগ তৈরি করেছে। তবে হাওয়াই দ্বীপের মতো কোনো টেকটোনিক প্লেটের মাঝামাঝি অঞ্চলে আগ্নেয়গিরি থাকলে তা লাভার উদিগরণ করে এবং টেকটোনিক প্লেটগুলো দুর্বল করে তাতে ভাঙন ধরায়।
গবেষকেদের ধারণা ১৭ কোটি বছর আগে পূর্ব গন্ডোয়ানা মহাদেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তাঁদের মতে, দক্ষিণ গোলার্ধে গন্ডোয়ানা নামে বিশাল একটি মহাদেশের অস্তিত্ব ছিল যা বিভক্ত হয়ে যায়। গন্ডোয়ানাকে গন্ডোয়ানাল্যান্ডও বলা হয়।
এদিকে, মরিশাসের সঙ্গে মরিশিয়ার সম্পর্ক প্রসঙ্গে নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ এব হার্জ জানিয়েছেন, ৯০ লাখ বছর আগে ভূ-উদিগরণে নির্গত শিলার ক্ষয়ের নিদর্শন হচ্ছে মরিশাসের সমুদ্র সৈকত। আর এই সমুদ্র সৈকতের বালিতেই পাওয়া গেছে জিরকোনিয়াম।
জিরকোনিয়াম দানার সন্ধান করতে গবেষকেরা স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে তৈরি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্রের ম্যাপ নিয়ে গবেষণা করেন। পৃথিবীর সব খানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সমান নয়। কোথাও খুব বেশি আবার কোথাও খুবই কম।
গবেষকেরা মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্রের মানচিত্র নিয়ে গবেষণা চালাতে গিয়েই ভারত মহাসাগরের তলদেশে ক্ষুদ্র মহাদেশটির অস্তিত্ব রয়েছে বলে জানতে পারেন। গবেষকেদের মতে, পুরোনো সেই মরিশিয়ার সঙ্গে বর্তমান মরিশাসের সম্পর্ক রয়েছে, যার নিদর্শন ওই জিরকোনিয়াম। গবেষকেরা মহা দেশীয় ফাটল বা চ্যুতি গবেষণা করে দেখেছেন। তাঁরা ধারণা করছেন, প্রায় ১০ কোটি বছর আগে ভারত মহাসাগর তৈরির সময় মাদাগাস্কারের সঙ্গে আলদা হয়ে যায় মরিশিয়া। আর সেই থেকেই আগ্নেয়গিরির লাভার নীচে চাপা পড়ে যেতে শুরু করে। গবেষকেরা মনে করছেন, এরকম ছোটো ছোটো অনেক মহাদেশের ক্ষেত্রেই এ ধরনের ঘটনা হয়তো ঘটেছে।
অবশ্য ভারত মহাসাগরে পানজিয়া নামের একটি বিশাল মহাদেশের অস্তিত্ব ছিল বলে বিজ্ঞানীরা এর আগেই দাবি করেছিলেন।
সরকার মহানবী (সা.)-এর অবমাননা বন্ধে বদ্ধপরিকর
সরকার ইসলাম ও মহানবী (সা.)-এর অবমাননা বন্ধে বদ্ধপরিকর। আজ মঙ্গলবার তথ্য
মন্ত্রণালয় খুদেবার্তার মাধ্যমে মুঠোফোন গ্রাহকদের এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই খুদেবার্তায় বলা হয়েছে, ‘মহানবী (সা.)কে অসম্মান করে মিথ্যা প্রকাশনা প্রচার ও অশান্তি তৈরির বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন।
ওই খুদেবার্তায় বলা হয়েছে, ‘মহানবী (সা.)কে অসম্মান করে মিথ্যা প্রকাশনা প্রচার ও অশান্তি তৈরির বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন।
ইমামকে হুমকি, ফারাবি পাঁচ দিনের রিমান্ডে
ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের জানাজা পরিচালনাকারী ইমামকে ফেসবুক ও ব্লগের
মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ফারাবি শফিউর
রহমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম অমিত কুমার দে ফারাবিকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আজ ফারাবিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল সোমবার ফারাবি শফিউর রহমান দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের জানাজা পরিচালনাকারী ইমামকে ফেসবুক ও ব্লগের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। পুলিশ সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারাবি জানিয়েছেন, তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ওই সংগঠনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তাঁকে গত রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকার একটি মেস থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ তাঁর ব্যবহূত ল্যাপটপও জব্দ করে।
অভিযোগ রয়েছে, শাহবাগ আন্দোলন ও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ফেসবুক ও ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিলেন ফারাবি। সর্বশেষ, রাজীবের জানাজা পরিচালনাকারী ইমামকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজীব হত্যা মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবি এখন পর্যন্ত রাজীব হত্যার সঙ্গে জড়িত কাউকেই শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, একটি চক্র ফেসবুকে বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। এ চক্রের সঙ্গে ফারাবির কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম অমিত কুমার দে ফারাবিকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আজ ফারাবিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল সোমবার ফারাবি শফিউর রহমান দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের জানাজা পরিচালনাকারী ইমামকে ফেসবুক ও ব্লগের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। পুলিশ সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারাবি জানিয়েছেন, তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ওই সংগঠনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তাঁকে গত রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকার একটি মেস থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ তাঁর ব্যবহূত ল্যাপটপও জব্দ করে।
অভিযোগ রয়েছে, শাহবাগ আন্দোলন ও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ফেসবুক ও ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিলেন ফারাবি। সর্বশেষ, রাজীবের জানাজা পরিচালনাকারী ইমামকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজীব হত্যা মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবি এখন পর্যন্ত রাজীব হত্যার সঙ্গে জড়িত কাউকেই শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, একটি চক্র ফেসবুকে বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। এ চক্রের সঙ্গে ফারাবির কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Monday, February 25, 2013
Google unveils its first touchscreen Chromebook Pixel
Google has unveiled its first touchscreen-enabled laptop.
The Chromebook Pixel runs Google's Chrome operating system and has been "largely built" by the web giant.
The laptop has Intel's Sandy Bridge processors, fast 4G LTE connectivity and a high-resolution screen aimed at challenging Apple's Retina Display.
Analysts say the move represents a fresh bid to build market share for Chromebooks against machines running Microsoft and Apple operating systems.
Unlike PCs that use installed software such as Microsoft Word, Chrome OS computers run their applications through the firm's web browser and store their files in the cloud.
The internet giant told the BBC the device was "largely built by Google, with components that are manufactured globally".
The laptop's display resolution is similar to the so-called Retina Display of Apple's MacBook range, aimed to have pixel density high enough for the human eye not to notice pixelation when looking at the screen at a typical viewing distance.
"This Chromebook has the highest pixel density (239 pixels per inch) of any laptop screen on the market today," said the company.
"Packed with 4.3 million pixels, the display offers sharp text, vivid colours and extra-wide viewing angles.
"With a screen this rich and engaging, you want to reach out and touch it — so we added touch for a more immersive experience."
Embracing the cloud
The first Chrome-powered laptop, built by Samsung, went on sale in June 2011. Chrome laptops that followed were made by Acer, Lenovo and HP.
But so far, Chromebooks have had difficulties challenging Windows-powered computers, said CCS Insight analyst Geoff Blaber.
"Chromebooks have struggled for relevance to date, stuck between comparably-priced but entertainment-centric tablets - many of which run Android - and more functional PCs," he said.
"[The new computer] won't transform its prospects but Google will hope it serves as a flagship device that has a halo effect for the broader portfolio."
Windows 8, Microsoft's latest operating system launched last year, has touchscreen capabilities.
Mr Blaber said: "Touch is now pervasive across every computing category from phones to high-end PCs.
"The challenge for the Chromebook is that computing is shifting towards tablets whilst most consumers lives are not yet fully embracing the cloud versus local storage.
The Chromebook Pixel runs Google's Chrome operating system and has been "largely built" by the web giant.
The laptop has Intel's Sandy Bridge processors, fast 4G LTE connectivity and a high-resolution screen aimed at challenging Apple's Retina Display.
Analysts say the move represents a fresh bid to build market share for Chromebooks against machines running Microsoft and Apple operating systems.
Unlike PCs that use installed software such as Microsoft Word, Chrome OS computers run their applications through the firm's web browser and store their files in the cloud.
The internet giant told the BBC the device was "largely built by Google, with components that are manufactured globally".
The laptop's display resolution is similar to the so-called Retina Display of Apple's MacBook range, aimed to have pixel density high enough for the human eye not to notice pixelation when looking at the screen at a typical viewing distance.
"This Chromebook has the highest pixel density (239 pixels per inch) of any laptop screen on the market today," said the company.
"Packed with 4.3 million pixels, the display offers sharp text, vivid colours and extra-wide viewing angles.
"With a screen this rich and engaging, you want to reach out and touch it — so we added touch for a more immersive experience."
Embracing the cloud
The first Chrome-powered laptop, built by Samsung, went on sale in June 2011. Chrome laptops that followed were made by Acer, Lenovo and HP.
But so far, Chromebooks have had difficulties challenging Windows-powered computers, said CCS Insight analyst Geoff Blaber.
"Chromebooks have struggled for relevance to date, stuck between comparably-priced but entertainment-centric tablets - many of which run Android - and more functional PCs," he said.
"[The new computer] won't transform its prospects but Google will hope it serves as a flagship device that has a halo effect for the broader portfolio."
Windows 8, Microsoft's latest operating system launched last year, has touchscreen capabilities.
Mr Blaber said: "Touch is now pervasive across every computing category from phones to high-end PCs.
"The challenge for the Chromebook is that computing is shifting towards tablets whilst most consumers lives are not yet fully embracing the cloud versus local storage.
The women’s movement, the next half-century
IN 1968, the Phillip Morris Company launched a memorable campaign to
sell Virginia Slims, a new brand of cigarettes targeting women, itself a
new phenomenon. It had a brand-new slogan: ‘You’ve come a long way,
baby.’ The company plastered it on billboards nationwide and put it in
TV ads that featured women of the early twentieth century being punished
for smoking. In all their advertising, smoking was equated with a set
of traits meant to capture the essence of women in a new era of equality
— independence, slimness, glamour, and liberation.
As it happened, the only equality this campaign ended up supporting involved lung cancer. Today, women and men die at similar rates from that disease.
Still, women have come a long way since the mid-twentieth century, and it’s worth considering just how far — and just how far we have to go.
Once upon a time
THESE days it may be hard for some to believe, but before the women’s movement burst on the scene in the late 1960s, newspapers published ads for jobs on different pages, segregated by gender. Employers legally paid women less than men for the same work. Some bars refused to serve women and all banks denied married women credit or loans, a practice which didn’t change until 1974. Some states even excluded women from jury duty.
Radio producers considered women’s voices too abrasive to be on the air and television executives believed that women didn’t have sufficient credibility to anchor the news. Few women ran big corporations or universities, or worked as fire-fighters and police officers. None sat on the Supreme Court, installed electrical equipment, climbed telephone poles, or owned construction companies. All hurricanes had female names, due to the widely held view that women brought chaos and destruction to society.
As late as 1970, Dr Edgar Berman, a consultant to presidents and to Medicare, proclaimed on television that women were too tortured by hormonal disturbances to assume the presidency. Few people ran into women professors, doctors, or lawyers. Everyone addressed a woman as either Miss or Mrs, depending on her marital status, and if a woman needed an abortion, legal nowhere in America, she risked her life searching among quacks in back alleys for a competent and compassionate doctor.
The public generally believed that rape victims had probably ‘asked for it’, most women felt too ashamed to report rape, and no language existed to make sense of what we now call domestic violence, sexual harassment, marital rape, or date rape. One simple phrase seemed to sum up the hidden injuries women suffered in silence: ‘That’s life’.
On August 27, 1970, in response to such injustice, 50,000 women marched down New York’s Fifth Avenue, announcing the birth of a new movement. They demanded three rights: legal abortion, universal childcare, and equal pay. These were preconditions for women’s equality with men at home and in the workplace. Astonishingly, they didn’t include the ending of violence against women among their demands — though the experience and fear of male violence was widespread — because women still suffered these crimes in silence.
Those three demands, and the fourth one that couldn’t yet be articulated, have yet to be met.
The hidden injuries of sex
AS THE women’s movement grew, women activists did, however, begin to ‘name’ their grievances. Once named, they could be identified, debated, and — with a growing feminist political voice — turned into policy or used to change the law.
It turned out that there were plenty of hidden injuries, which women activists discovered and publicized through consciousness-raising groups, pamphlets, and books. Rape, once a subject of great shame, became redefined as a physical assault that had little to do with lust. Date rape, for which there was plenty of experience but no name, opened up a national conversation about what constituted consensual sex. Few people had ever heard the words ‘marital rape’. (‘If you can’t rape your wife,’ California Senator Bob Wilson allegedly said, ‘then who can you rape?’) In this way, a new conversation began about the right of wives to have consensual sex and the nature of power relations within marriage.
From the very beginning, the mainstream media and the public labelled women activists as ‘lesbians’. Why else would they complain about male behaviour? Provoked by constant efforts to ‘tarnish’ all feminists as lesbians, activists chose to embrace the label, rather than exclude lesbians from the movement. In the process, they also began to write about and then discuss compulsory heterosexuality. Together with a burgeoning men’s gay movement, feminist lesbians and gay men formed the Gay Liberation Front in the 1969. Soon, lesbian feminists created an all-women’s group called the Lavender Menace.
The birth control pill and the sexual liberation movement of the mid-1960s gave women new freedoms. Grasping the limitations of such changes without abortion being legalised, feminists soon joined the medical abortion rights campaign of that era. Determined to repeal laws against abortion, in New York they testified before the state legislature and passed out copies of a ‘model abortion bill’: a blank piece of paper. Through ‘public speak-outs’, they openly discussed their own illegal abortions and explained why they had made such choices. In Chicago and San Francisco, activists created clandestine organisations to help women seek qualified doctors. Some feminists even learned how to perform abortions for those who could not find a competent doctor.
Then, in 1973, the Supreme Court handed down its famous Roe v Wade decision, which legalised abortion and ignited the abortion wars that still rage today. You could even say that this is where the culture wars of the coming decades really began, and you wouldn’t be wrong.
What had feminists started? In essence, they had begun to redefine one ‘custom’ after another as crimes. For instance, one of the greatest hidden injuries suffered by women in those years was the predatory sexual behaviour of male bosses. In 1975, a group of women at Cornell University coined the term sexual harassment. Previously, some women had called it ‘sexual blackmail’, but when legal scholar Catherine Mackinnon used the new phrase in the title of her 1979 book, Sexual Harassment of Working Women, both feminists and judges began using it in litigation against predatory bosses. After Anita Hill’s accusations against Supreme Court nominee Clarence Thomas in 1991, the phrase became a household term. In that same year, Congress added amendments to Title VII of the 1964 Civil Rights Act, accepting the feminist argument that sexual harassment violated a woman’s right to earn a living and work in a non-hostile atmosphere.
If the naming of sexual harassment changed the workplace, the reframing of wife-beating as domestic violence turned a custom into a felonious crime. At the same time, feminists spread a network of battered women’s shelters across the nation, offering havens from marital violence and possible death.
A half-century to go
IF THE women’s movement often surprised and sometimes blindsided men, it also radically expanded America’s democratic promise of equality. Women are now everywhere. No one is shocked in 2013 when a woman enters an operating room or a lecture hall. More than half the undergraduates at most universities are women.
Now, if your boss drives you crazy with sexual advances, you can report him for sexual harassment and sue him in court. If your husband beats you, he can be charged with a felony and, in most urban areas, you can escape to a battered women’s shelter. Women like Marissa Mayer, the CEO of Yahoo!, and Ruchi Sanghvi, head of operations at Dropbox, are some of the most powerful players in the new technology universe. Three women have served as secretary of state and one as national security advisor. Three women sit on the Supreme Court. Hillary Clinton almost became the first woman president and may still achieve that goal. Major magazines and newspapers have women executive editors and managing editors — even the New York Times, which waited until 1986 before reluctantly putting ‘Ms’ in front of women’s names on its pages. Hurricanes now bear male and female names. Women in the US military fight alongside men. They work as fire-fighters and police detectives, and when a female plumber shows up to fix an overflowing toilet, most people don’t panic.
Because so much has changed, many people, including young women, believe that the longest revolution is over, that we should stop complaining, be proud of our successes, and go home. Consider for a moment, though, the three demands made in 1970, and the fourth one that couldn’t even be articulated.
As anyone who’s been awake for the last decade knows, despite Roe v Wade, women can’t access abortion providers in many parts of the country. States have passed laws requiring pregnant women to watch ultrasound ‘pictures’ of their ‘babies’, and forced them to endure 24- or 48-hour waiting periods so that they can ‘rethink’ their abortion decisions. In May 2012, Utah established the longest waiting period in the nation: 72 hours. In that year, in fact, anti-abortion legislatures managed to pass 43 new laws that, in one way or another, restricted abortion.
In big cities, finding an abortion provider is often not difficult — unless of course you are poor (because the government won’t pay for abortions). Women in rural areas have, however, been hit particularly hard. They have to travel long distances, pay to stay in hotels while they ‘rethink’, and then, and only then, can they make the choice that was promised in 1973. So yes, women still have the right to legal abortion, but less and less access to abortion providers.
And what about child care? In 1971, Congress passed the Comprehensive Childcare Act (CCA), providing national day care to women who needed it. (Such a law wouldn’t have a chance today.) President Richard Nixon vetoed it that December. Using Cold War rhetoric, he argued that the legislation would harm the family and turn American women into their Soviet counterparts — that is, working drudges. His veto was also payback to his religious supporters in the South who opposed women working outside the home, and so using child care. It set childcare legislation back until, well, this very moment.
Ask any young working mother about the nightmare of finding day care for her infant or a space in a preschool for her child. Childcare, as feminists recognised, was a major precondition for women entering the labour force on an equal footing with men. Instead of comprehensive childcare, however, this country chose the more acceptable American way of dealing with problems, namely, that everyone find an individual solution. If you’re wealthy, you pay for a live-in nanny. If you’re middle class, you hire someone to arrive every day, ready to take care of your young children. Or you luck out and find a place in a good preschool — or a not-so-good one.
If you’re poor, you rely on a series of exhausted and generous grandparents, unemployed husbands, over-worked sisters, and goodhearted neighbours. Unlike every nation in Europe, we have no guaranteed preschool or after-school childcare, despite our endless political platitudes about how much we cherish our children. And sadly, childcare has remained off the national political agenda since 1971. It was never even mentioned during the 2012 presidential debates.
And let’s not forget women’s wages. In 1970, women earned, on average, 59 per cent of men’s wages. More than four decades later, the figure is 77 per cent. When a university recently invited me to give a keynote address at a conference, they asked what fee I expected. I wasn’t quite sure how to respond. The best advice I got — from my husband — was: ‘Just tell them to give you 77% of whatever they’re paying the male keynote speaker.’ That response resulted in a generous honorarium.
But what about all the women — widowed, divorced, or single — who can’t draw on a second income from a man? How can we claim we’ve reached the 1970 equal pay demand when 70 per cent of the nation’s poor are women and children? This isn’t about glass ceilings. What concerns me are all the women glued to the sticky floor of dead-end jobs that provide no benefits and no health insurance, women who, at the end of each month, have to decide whether to pay the electricity bill or feed their children.
As an activist and historian, I’m still shocked that women activists (myself included) didn’t add violence against women to those three demands back in 1970. Fear of male violence was such a normal part of our lives that it didn’t occur to us to highlight it — not until feminists began, during the 1970s, to publicize the wife-beating that took place behind closed doors and to reveal how many women were raped by strangers, the men they dated, or even their husbands.
Nor did we see how any laws could end it. As Rebecca Solnit wrote in a powerful essay recently, one in five women will be raped during her lifetime and gang rape is pandemic around the world. There are now laws against rape and violence toward women. There is even a UN international resolution on the subject. In 1993, the World Conference on Human Rights in Vienna declared that violence against girls and women violated their human rights. After much debate, member nations ratified the resolution and dared to begin calling supposedly time-honoured ‘customs’ — wife beating, honour killings, dowry deaths, genital mutilation — what they really are: brutal and gruesome crimes. Now, the nations of the world had a new moral compass for judging one another’s cultures. In this instance, the demands made by global feminists trumped cultural relativism, at least when it involved violence against women.
Still, little enough has changed. Such violence continues to keep women from walking in public spaces. Rape, as feminists have always argued, is a form of social control, meant to make women invisible and shut them in their homes, out of public sight. That’s why activists created ‘take back the night’ protests in the late 1970s. They sought to reclaim the right to public space without fear of rape.
The daytime brutal rape and killing of a 23-year-old in India last December prompted the first international protest around violence against women. Maybe that will raise the consciousness of some men. But it’s hard to feel optimistic when you realise how many rapes are still regularly being committed globally.
So, yes, we’ve come a long way, but without achieving full access to legal abortion, comprehensive childcare, or equal pay — those three demands from so many decades ago. Nor have we won the right to enjoy public space without fearing violence, rape, or worse.
I always knew this was the longest revolution, one that would take a century or more to unfold. It’s upended most of our lives, and significantly improved so many of them. Nothing will ever be the same. Yet there’s still such a long way to go. I doubt I’ll see full gender equality in my lifetime.
TomDispatch.com, February 21. Ruth Rosen, a former columnist for the Los Angeles Times and the San Francisco Chronicle, is professor emerita of history at the University of California at Davis and a scholar in residence
at UC Berkeley.
As it happened, the only equality this campaign ended up supporting involved lung cancer. Today, women and men die at similar rates from that disease.
Still, women have come a long way since the mid-twentieth century, and it’s worth considering just how far — and just how far we have to go.
Once upon a time
THESE days it may be hard for some to believe, but before the women’s movement burst on the scene in the late 1960s, newspapers published ads for jobs on different pages, segregated by gender. Employers legally paid women less than men for the same work. Some bars refused to serve women and all banks denied married women credit or loans, a practice which didn’t change until 1974. Some states even excluded women from jury duty.
Radio producers considered women’s voices too abrasive to be on the air and television executives believed that women didn’t have sufficient credibility to anchor the news. Few women ran big corporations or universities, or worked as fire-fighters and police officers. None sat on the Supreme Court, installed electrical equipment, climbed telephone poles, or owned construction companies. All hurricanes had female names, due to the widely held view that women brought chaos and destruction to society.
As late as 1970, Dr Edgar Berman, a consultant to presidents and to Medicare, proclaimed on television that women were too tortured by hormonal disturbances to assume the presidency. Few people ran into women professors, doctors, or lawyers. Everyone addressed a woman as either Miss or Mrs, depending on her marital status, and if a woman needed an abortion, legal nowhere in America, she risked her life searching among quacks in back alleys for a competent and compassionate doctor.
The public generally believed that rape victims had probably ‘asked for it’, most women felt too ashamed to report rape, and no language existed to make sense of what we now call domestic violence, sexual harassment, marital rape, or date rape. One simple phrase seemed to sum up the hidden injuries women suffered in silence: ‘That’s life’.
On August 27, 1970, in response to such injustice, 50,000 women marched down New York’s Fifth Avenue, announcing the birth of a new movement. They demanded three rights: legal abortion, universal childcare, and equal pay. These were preconditions for women’s equality with men at home and in the workplace. Astonishingly, they didn’t include the ending of violence against women among their demands — though the experience and fear of male violence was widespread — because women still suffered these crimes in silence.
Those three demands, and the fourth one that couldn’t yet be articulated, have yet to be met.
The hidden injuries of sex
AS THE women’s movement grew, women activists did, however, begin to ‘name’ their grievances. Once named, they could be identified, debated, and — with a growing feminist political voice — turned into policy or used to change the law.
It turned out that there were plenty of hidden injuries, which women activists discovered and publicized through consciousness-raising groups, pamphlets, and books. Rape, once a subject of great shame, became redefined as a physical assault that had little to do with lust. Date rape, for which there was plenty of experience but no name, opened up a national conversation about what constituted consensual sex. Few people had ever heard the words ‘marital rape’. (‘If you can’t rape your wife,’ California Senator Bob Wilson allegedly said, ‘then who can you rape?’) In this way, a new conversation began about the right of wives to have consensual sex and the nature of power relations within marriage.
From the very beginning, the mainstream media and the public labelled women activists as ‘lesbians’. Why else would they complain about male behaviour? Provoked by constant efforts to ‘tarnish’ all feminists as lesbians, activists chose to embrace the label, rather than exclude lesbians from the movement. In the process, they also began to write about and then discuss compulsory heterosexuality. Together with a burgeoning men’s gay movement, feminist lesbians and gay men formed the Gay Liberation Front in the 1969. Soon, lesbian feminists created an all-women’s group called the Lavender Menace.
The birth control pill and the sexual liberation movement of the mid-1960s gave women new freedoms. Grasping the limitations of such changes without abortion being legalised, feminists soon joined the medical abortion rights campaign of that era. Determined to repeal laws against abortion, in New York they testified before the state legislature and passed out copies of a ‘model abortion bill’: a blank piece of paper. Through ‘public speak-outs’, they openly discussed their own illegal abortions and explained why they had made such choices. In Chicago and San Francisco, activists created clandestine organisations to help women seek qualified doctors. Some feminists even learned how to perform abortions for those who could not find a competent doctor.
Then, in 1973, the Supreme Court handed down its famous Roe v Wade decision, which legalised abortion and ignited the abortion wars that still rage today. You could even say that this is where the culture wars of the coming decades really began, and you wouldn’t be wrong.
What had feminists started? In essence, they had begun to redefine one ‘custom’ after another as crimes. For instance, one of the greatest hidden injuries suffered by women in those years was the predatory sexual behaviour of male bosses. In 1975, a group of women at Cornell University coined the term sexual harassment. Previously, some women had called it ‘sexual blackmail’, but when legal scholar Catherine Mackinnon used the new phrase in the title of her 1979 book, Sexual Harassment of Working Women, both feminists and judges began using it in litigation against predatory bosses. After Anita Hill’s accusations against Supreme Court nominee Clarence Thomas in 1991, the phrase became a household term. In that same year, Congress added amendments to Title VII of the 1964 Civil Rights Act, accepting the feminist argument that sexual harassment violated a woman’s right to earn a living and work in a non-hostile atmosphere.
If the naming of sexual harassment changed the workplace, the reframing of wife-beating as domestic violence turned a custom into a felonious crime. At the same time, feminists spread a network of battered women’s shelters across the nation, offering havens from marital violence and possible death.
A half-century to go
IF THE women’s movement often surprised and sometimes blindsided men, it also radically expanded America’s democratic promise of equality. Women are now everywhere. No one is shocked in 2013 when a woman enters an operating room or a lecture hall. More than half the undergraduates at most universities are women.
Now, if your boss drives you crazy with sexual advances, you can report him for sexual harassment and sue him in court. If your husband beats you, he can be charged with a felony and, in most urban areas, you can escape to a battered women’s shelter. Women like Marissa Mayer, the CEO of Yahoo!, and Ruchi Sanghvi, head of operations at Dropbox, are some of the most powerful players in the new technology universe. Three women have served as secretary of state and one as national security advisor. Three women sit on the Supreme Court. Hillary Clinton almost became the first woman president and may still achieve that goal. Major magazines and newspapers have women executive editors and managing editors — even the New York Times, which waited until 1986 before reluctantly putting ‘Ms’ in front of women’s names on its pages. Hurricanes now bear male and female names. Women in the US military fight alongside men. They work as fire-fighters and police detectives, and when a female plumber shows up to fix an overflowing toilet, most people don’t panic.
Because so much has changed, many people, including young women, believe that the longest revolution is over, that we should stop complaining, be proud of our successes, and go home. Consider for a moment, though, the three demands made in 1970, and the fourth one that couldn’t even be articulated.
As anyone who’s been awake for the last decade knows, despite Roe v Wade, women can’t access abortion providers in many parts of the country. States have passed laws requiring pregnant women to watch ultrasound ‘pictures’ of their ‘babies’, and forced them to endure 24- or 48-hour waiting periods so that they can ‘rethink’ their abortion decisions. In May 2012, Utah established the longest waiting period in the nation: 72 hours. In that year, in fact, anti-abortion legislatures managed to pass 43 new laws that, in one way or another, restricted abortion.
In big cities, finding an abortion provider is often not difficult — unless of course you are poor (because the government won’t pay for abortions). Women in rural areas have, however, been hit particularly hard. They have to travel long distances, pay to stay in hotels while they ‘rethink’, and then, and only then, can they make the choice that was promised in 1973. So yes, women still have the right to legal abortion, but less and less access to abortion providers.
And what about child care? In 1971, Congress passed the Comprehensive Childcare Act (CCA), providing national day care to women who needed it. (Such a law wouldn’t have a chance today.) President Richard Nixon vetoed it that December. Using Cold War rhetoric, he argued that the legislation would harm the family and turn American women into their Soviet counterparts — that is, working drudges. His veto was also payback to his religious supporters in the South who opposed women working outside the home, and so using child care. It set childcare legislation back until, well, this very moment.
Ask any young working mother about the nightmare of finding day care for her infant or a space in a preschool for her child. Childcare, as feminists recognised, was a major precondition for women entering the labour force on an equal footing with men. Instead of comprehensive childcare, however, this country chose the more acceptable American way of dealing with problems, namely, that everyone find an individual solution. If you’re wealthy, you pay for a live-in nanny. If you’re middle class, you hire someone to arrive every day, ready to take care of your young children. Or you luck out and find a place in a good preschool — or a not-so-good one.
If you’re poor, you rely on a series of exhausted and generous grandparents, unemployed husbands, over-worked sisters, and goodhearted neighbours. Unlike every nation in Europe, we have no guaranteed preschool or after-school childcare, despite our endless political platitudes about how much we cherish our children. And sadly, childcare has remained off the national political agenda since 1971. It was never even mentioned during the 2012 presidential debates.
And let’s not forget women’s wages. In 1970, women earned, on average, 59 per cent of men’s wages. More than four decades later, the figure is 77 per cent. When a university recently invited me to give a keynote address at a conference, they asked what fee I expected. I wasn’t quite sure how to respond. The best advice I got — from my husband — was: ‘Just tell them to give you 77% of whatever they’re paying the male keynote speaker.’ That response resulted in a generous honorarium.
But what about all the women — widowed, divorced, or single — who can’t draw on a second income from a man? How can we claim we’ve reached the 1970 equal pay demand when 70 per cent of the nation’s poor are women and children? This isn’t about glass ceilings. What concerns me are all the women glued to the sticky floor of dead-end jobs that provide no benefits and no health insurance, women who, at the end of each month, have to decide whether to pay the electricity bill or feed their children.
As an activist and historian, I’m still shocked that women activists (myself included) didn’t add violence against women to those three demands back in 1970. Fear of male violence was such a normal part of our lives that it didn’t occur to us to highlight it — not until feminists began, during the 1970s, to publicize the wife-beating that took place behind closed doors and to reveal how many women were raped by strangers, the men they dated, or even their husbands.
Nor did we see how any laws could end it. As Rebecca Solnit wrote in a powerful essay recently, one in five women will be raped during her lifetime and gang rape is pandemic around the world. There are now laws against rape and violence toward women. There is even a UN international resolution on the subject. In 1993, the World Conference on Human Rights in Vienna declared that violence against girls and women violated their human rights. After much debate, member nations ratified the resolution and dared to begin calling supposedly time-honoured ‘customs’ — wife beating, honour killings, dowry deaths, genital mutilation — what they really are: brutal and gruesome crimes. Now, the nations of the world had a new moral compass for judging one another’s cultures. In this instance, the demands made by global feminists trumped cultural relativism, at least when it involved violence against women.
Still, little enough has changed. Such violence continues to keep women from walking in public spaces. Rape, as feminists have always argued, is a form of social control, meant to make women invisible and shut them in their homes, out of public sight. That’s why activists created ‘take back the night’ protests in the late 1970s. They sought to reclaim the right to public space without fear of rape.
The daytime brutal rape and killing of a 23-year-old in India last December prompted the first international protest around violence against women. Maybe that will raise the consciousness of some men. But it’s hard to feel optimistic when you realise how many rapes are still regularly being committed globally.
So, yes, we’ve come a long way, but without achieving full access to legal abortion, comprehensive childcare, or equal pay — those three demands from so many decades ago. Nor have we won the right to enjoy public space without fearing violence, rape, or worse.
I always knew this was the longest revolution, one that would take a century or more to unfold. It’s upended most of our lives, and significantly improved so many of them. Nothing will ever be the same. Yet there’s still such a long way to go. I doubt I’ll see full gender equality in my lifetime.
TomDispatch.com, February 21. Ruth Rosen, a former columnist for the Los Angeles Times and the San Francisco Chronicle, is professor emerita of history at the University of California at Davis and a scholar in residence
at UC Berkeley.
Four killed as police, Islamists trade fire
At least
four villagers and pro-hartal activists were shot dead and more than 15
people sustained bullet wounds in bloody fighting between Islamists and
law enforcers at Gobinddhal village under Singair upazila of Manikganj
on Sunday.
Of the bullet-injured, village girl Helena Aktar, 18, was fighting for life at the intensive care unit of Enam Medical College Hospital at Savar though it was primarily reported that she had died.
About 55 people, including 21 policemen, were injured in the fighting, locals and police said.
Singair police officer-in-charge Liaquat Ali, who sustained critical injuries, was shifted to Square Hospital in Dhaka, said Manikganj superintendent of police Mohammad Ali Mia.
Some locals alleged that law enforcers and ruling party men had opened fire ‘indiscriminately’ on demonstrators demanding punishment of the bloggers whom the Islamists accused of maligning Islam and its Prophet(SM), a charge the bloggers denied.
A number of Islamist parties and groups enforced the countrywide dawn-to-dusk hartal on the day also in protest at the killing of four of their activists in Friday’s violence.
The hartal was supported by the Bangladesh Nationalist Party.
Jahangir Hossain of Gobinddhal said that the violence erupted after police and ruling party men had attacked pro-hartal activists.
Shahidul, a pro-hartal activist, alleged that ruling party men had shot dead two of the four deceased after snatching them away from the law enforcers.
Both police and local leaders of Awami League denied the allegations saying the villagers were killed when the Islamists fired on the law enforcers.
‘The police fired 269 gunshots and more than 150 rubber bullets in self- defense after several hundred villagers attacked us with firearms, other lethal weapons and bamboo sticks,’ the additional superintendent of police of Manikganj, Mizanur Rahman, told New Age.
‘The area is dominated by radical Islamists, not only Jamaat. You can call the village a Pakistani neighbourhood where nine madrassahs are located. So you can guess the mentality of the villagers,’ he said.
At least 21 police personnel were injured while police arrested 14 people and process were under way for filing three cases in this connection, he said.
Protesting at the killings, ‘Ulema Mashaikh O Towhidi Janata’ called a daylong general strike in Manikganj district for today.
Besides, leaders of seven Islamist parties, which enforced the nationwide shutdown on Sunday, denounced the killing of villagers in police firing and announced demonstrations for today and Friday across the country in protest.
They also gave an ‘ultimatum’ to some national dailies, including Prothom Alo, The Daily Star, Kaler Kantha, Samakal and Ekattor television, to shun ‘atheist mindset’ by next Thursday.
‘Otherwise, we will urge the countrymen on next Friday to boycott the products of the groups and companies running those newspapers, including Transcom group, City group, Meghna group and Bashundhara group,’ said Khalafat Andolan organising secretary Fakhrul Islam who announced the programme.
Twenty-four people, including blogger Ahmed Rajib Haider, were killed in violence all over the country since the Shahbagh protests began on February 5 to press death penalty for the war criminals of 1971.
Some witnesses said the trouble at Gobindhhal began when pro-hartal pickets blocked the Manikganj-Singair road but faced obstruction from Awami League activists led by its Singair upazila secretary Abdul Majed.
Moments later, the Islamists regrouped and pounced on Majed leaving him injured. He was admitted to the upazila health complex.
As the news of the attack spread, AL activists rushed to the spot and vandalised the local office of BNP and some nearby shops.
In the face of the counter-attack, the Islamists urged the villagers through the PA system of different local mosques to resist the police and AL activists.
Hearing the call, several hundred armed villagers, both men and women, came out and attacked the police and ruling party men triggering a fierce gunfight.
The deceased were identified by locals and relatives as Alamgir Hossain, 35, Nasir Uddin, 27, Nazimuddin, 26, BNP’s Singair municipality unit disaster and relief secretary, and Shah Alam, imam of a local mosque.
Locals said the law enforcers had fired gunshots even by entering into houses where the pro-hartal activists had taken shelters, leaving Helena Aktar injured. New Age correspondents found the tin-made walls of Aktar’s house riddled with bullets.
Police shot Nasir Uddin, brother-in-law of Helena Aktar, when he was going to the hospital where the girl was admitted, according to the accounts of some villagers.
On-duty doctors at the hospital declared Nasir dead.
Besides, the pro-hartal activists said that the ruling party men had snatched away Nazimuddin and Shah Alam from the custody of police in front of Proshika office and shot them dead when they were being taken to the local police station on charge of attack on law enforcers.
The general strike in other places of the country, including Dhaka, passed off peacefully barring stray incidents with relatively less presence of pickets on the streets.
The ruling Awami League and its associate bodies brought out anti-hartal processions in the capital and different district towns. The main opposition BNP and Jamaat-e-Islami extended support to the shutdown but there was no visible presence of their activists on the streets.
Shahbagh protesters brought out processions in the capital on the day calling upon the people to reject the hartal and in protest against the burning of the national flag, vandalism of shaheed minars and desecration of mosques by Islamists on Friday.
Educational institutions and most businesses remained closed during the shutdown. Traffic was thinner than usual in the capital and long route buses were off the road.
Police were seen idling away their time as there were virtually no pickets on the streets. Some pickets set a human hauler ablaze at Jatrabari early in the morning.
At about the same time, another group of pickets exploded several crude bombs at Janapath intersection. At about 7:15 am, the hartal supporters brought out a procession in the city’s Shahjahanpur area but police dispersed them.
In Gazipur, hartal supporters vandalised three buses at Bhogra bypass intersection in the morning.
In Natore, Islamists brought out processions and staged demonstrations burning tyres on Natore-Bogra highway at Haguria in the morning.
In Joypurhat, pickets torched a microbus carrying newspapers on Joypurhat-Bogra highway at about 7:00am.
In Bogra, police fired in the air to disperse processions of Olama-Mashayekh Parishad at Khandar and Godarpara of the town in the morning. Police also fired 19 rounds of rubber bullets to bring the situation under control when hartal supporters blocked Naogaon-Bogra highway.
In Laxmipur, three people, including Chhatra League activists Mohan and Russell, were injured in an attack by Islamists at Dalal Bazar of sadar upazila in the morning.
The pickets damaged three vehicles in front of Alia Madrassah and on Mia Road at about 7:00am while police detained three people.
In Jhenaidah town, police arrested two activists of Jamaat-e-Islami.
In Khulna, the general strike affected life as most shops remained closed and vehicles were off the road. Awami League activists brought out a procession led by city mayor Talukder Abdul Khaleque in the morning. The marchers stormed the office of Jamaat’s labour wing Sramik Kalyan Federation at Khalishpur. They burned furniture and books in the office.
At Moulvibazar, police arrested Abdul Karim, president of Moulvibazar Government College unit of Chhatra Shibir, at court road of the town on during hartal hours.
In Chittagong, Mostaque Ahmed, additional deputy commissioner of police, said pickets had set a human hauler on fire at Andarkillah in the morning.
AFM Nizam Uddin, assistant superintendent of police, said hartal supporters had halted a city-bound train from Nazirhat near Hathazari station, but the police removed the barricade after an hour.
The Chittagong Port sources said handling of containers at the port jetties was as usual during the hartal hours. But delivery of containers from the port was affected a little.
In Sylhet, a few Jamaat-Shibir activists brought out sudden processions from Bagbari, Upa-Shahar and Payra area in the city early in the morning.
In Brahmanbaria, pickets put barricades on Dhaka-Sylhet highway on Brahmanbaria bypass road. Ruling party activists damaged two ATM booths and a branch office of Islami Bank in the town.
Of the bullet-injured, village girl Helena Aktar, 18, was fighting for life at the intensive care unit of Enam Medical College Hospital at Savar though it was primarily reported that she had died.
About 55 people, including 21 policemen, were injured in the fighting, locals and police said.
Singair police officer-in-charge Liaquat Ali, who sustained critical injuries, was shifted to Square Hospital in Dhaka, said Manikganj superintendent of police Mohammad Ali Mia.
Some locals alleged that law enforcers and ruling party men had opened fire ‘indiscriminately’ on demonstrators demanding punishment of the bloggers whom the Islamists accused of maligning Islam and its Prophet(SM), a charge the bloggers denied.
A number of Islamist parties and groups enforced the countrywide dawn-to-dusk hartal on the day also in protest at the killing of four of their activists in Friday’s violence.
The hartal was supported by the Bangladesh Nationalist Party.
Jahangir Hossain of Gobinddhal said that the violence erupted after police and ruling party men had attacked pro-hartal activists.
Shahidul, a pro-hartal activist, alleged that ruling party men had shot dead two of the four deceased after snatching them away from the law enforcers.
Both police and local leaders of Awami League denied the allegations saying the villagers were killed when the Islamists fired on the law enforcers.
‘The police fired 269 gunshots and more than 150 rubber bullets in self- defense after several hundred villagers attacked us with firearms, other lethal weapons and bamboo sticks,’ the additional superintendent of police of Manikganj, Mizanur Rahman, told New Age.
‘The area is dominated by radical Islamists, not only Jamaat. You can call the village a Pakistani neighbourhood where nine madrassahs are located. So you can guess the mentality of the villagers,’ he said.
At least 21 police personnel were injured while police arrested 14 people and process were under way for filing three cases in this connection, he said.
Protesting at the killings, ‘Ulema Mashaikh O Towhidi Janata’ called a daylong general strike in Manikganj district for today.
Besides, leaders of seven Islamist parties, which enforced the nationwide shutdown on Sunday, denounced the killing of villagers in police firing and announced demonstrations for today and Friday across the country in protest.
They also gave an ‘ultimatum’ to some national dailies, including Prothom Alo, The Daily Star, Kaler Kantha, Samakal and Ekattor television, to shun ‘atheist mindset’ by next Thursday.
‘Otherwise, we will urge the countrymen on next Friday to boycott the products of the groups and companies running those newspapers, including Transcom group, City group, Meghna group and Bashundhara group,’ said Khalafat Andolan organising secretary Fakhrul Islam who announced the programme.
Twenty-four people, including blogger Ahmed Rajib Haider, were killed in violence all over the country since the Shahbagh protests began on February 5 to press death penalty for the war criminals of 1971.
Some witnesses said the trouble at Gobindhhal began when pro-hartal pickets blocked the Manikganj-Singair road but faced obstruction from Awami League activists led by its Singair upazila secretary Abdul Majed.
Moments later, the Islamists regrouped and pounced on Majed leaving him injured. He was admitted to the upazila health complex.
As the news of the attack spread, AL activists rushed to the spot and vandalised the local office of BNP and some nearby shops.
In the face of the counter-attack, the Islamists urged the villagers through the PA system of different local mosques to resist the police and AL activists.
Hearing the call, several hundred armed villagers, both men and women, came out and attacked the police and ruling party men triggering a fierce gunfight.
The deceased were identified by locals and relatives as Alamgir Hossain, 35, Nasir Uddin, 27, Nazimuddin, 26, BNP’s Singair municipality unit disaster and relief secretary, and Shah Alam, imam of a local mosque.
Locals said the law enforcers had fired gunshots even by entering into houses where the pro-hartal activists had taken shelters, leaving Helena Aktar injured. New Age correspondents found the tin-made walls of Aktar’s house riddled with bullets.
Police shot Nasir Uddin, brother-in-law of Helena Aktar, when he was going to the hospital where the girl was admitted, according to the accounts of some villagers.
On-duty doctors at the hospital declared Nasir dead.
Besides, the pro-hartal activists said that the ruling party men had snatched away Nazimuddin and Shah Alam from the custody of police in front of Proshika office and shot them dead when they were being taken to the local police station on charge of attack on law enforcers.
The general strike in other places of the country, including Dhaka, passed off peacefully barring stray incidents with relatively less presence of pickets on the streets.
The ruling Awami League and its associate bodies brought out anti-hartal processions in the capital and different district towns. The main opposition BNP and Jamaat-e-Islami extended support to the shutdown but there was no visible presence of their activists on the streets.
Shahbagh protesters brought out processions in the capital on the day calling upon the people to reject the hartal and in protest against the burning of the national flag, vandalism of shaheed minars and desecration of mosques by Islamists on Friday.
Educational institutions and most businesses remained closed during the shutdown. Traffic was thinner than usual in the capital and long route buses were off the road.
Police were seen idling away their time as there were virtually no pickets on the streets. Some pickets set a human hauler ablaze at Jatrabari early in the morning.
At about the same time, another group of pickets exploded several crude bombs at Janapath intersection. At about 7:15 am, the hartal supporters brought out a procession in the city’s Shahjahanpur area but police dispersed them.
In Gazipur, hartal supporters vandalised three buses at Bhogra bypass intersection in the morning.
In Natore, Islamists brought out processions and staged demonstrations burning tyres on Natore-Bogra highway at Haguria in the morning.
In Joypurhat, pickets torched a microbus carrying newspapers on Joypurhat-Bogra highway at about 7:00am.
In Bogra, police fired in the air to disperse processions of Olama-Mashayekh Parishad at Khandar and Godarpara of the town in the morning. Police also fired 19 rounds of rubber bullets to bring the situation under control when hartal supporters blocked Naogaon-Bogra highway.
In Laxmipur, three people, including Chhatra League activists Mohan and Russell, were injured in an attack by Islamists at Dalal Bazar of sadar upazila in the morning.
The pickets damaged three vehicles in front of Alia Madrassah and on Mia Road at about 7:00am while police detained three people.
In Jhenaidah town, police arrested two activists of Jamaat-e-Islami.
In Khulna, the general strike affected life as most shops remained closed and vehicles were off the road. Awami League activists brought out a procession led by city mayor Talukder Abdul Khaleque in the morning. The marchers stormed the office of Jamaat’s labour wing Sramik Kalyan Federation at Khalishpur. They burned furniture and books in the office.
At Moulvibazar, police arrested Abdul Karim, president of Moulvibazar Government College unit of Chhatra Shibir, at court road of the town on during hartal hours.
In Chittagong, Mostaque Ahmed, additional deputy commissioner of police, said pickets had set a human hauler on fire at Andarkillah in the morning.
AFM Nizam Uddin, assistant superintendent of police, said hartal supporters had halted a city-bound train from Nazirhat near Hathazari station, but the police removed the barricade after an hour.
The Chittagong Port sources said handling of containers at the port jetties was as usual during the hartal hours. But delivery of containers from the port was affected a little.
In Sylhet, a few Jamaat-Shibir activists brought out sudden processions from Bagbari, Upa-Shahar and Payra area in the city early in the morning.
In Brahmanbaria, pickets put barricades on Dhaka-Sylhet highway on Brahmanbaria bypass road. Ruling party activists damaged two ATM booths and a branch office of Islami Bank in the town.
City corpns built no public toilets in 10 years
None of the two city corporations of Dhaka built any public toilets in
the last one decade in the city while its population continued to swell
during the period.
The existing toilets are too inadequate to serve the city people, observed environmentalists, adding that many pedestrians are forced to defecate by roadside and thus pollute the environment.
According to official enumeration, there are only 37 public toilets under the Dhaka North City Corporation and 61 under the Dhaka South City Corporation while the total population now stands at about 1.5 crore.
Most of the public toilets are unhygienic while some are being used for washing cars, selling water for eateries and storing goods, toilet users have alleged.
In front of Mohakhali DCC kitchen market public toilet, one Minhaz Uddin said for more than an hour he was searching for a toilet.
‘When I got it, there was no water inside and its floor and surroundings were unusable and filthy,’ said Minhaz, who came from Mymeningh.
In front of the Muktangan public toilet, people were seen taking water by jars for a nearby a restaurant.
The surroundings of Gulishtan public toilets were so unhygienic and filthy that people avoid using the toilets.
Faruq Sheikh, a nearby shop owner, said water of the toilets is used to wash vehicles and at night it turns a heaven for drug addicts.
Azimpur public toilet’s caretaker raised a partition inside the toilet to live in and he is living there for many years.
The condition of the public toilets is so dirty that city dwellers, especially women and children, refrain from using them until they get back to their houses or offices, said Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University Nephrology assistant professor AH Hamid Ahmed.
He told New Age that holding stool for long time causes infection in the bladder wall, leading to complications in the entire urinary system.
Public toilets are not only causing health hazards but also polluting the city roadsides.
Slum dwellers and floating people use open spaces for defecation, mostly for lack of awareness and sometimes for being unable to pay the charges, polluting the environment, said Bangladesh Paribesh Andolan secretary general Abdul Matin.
He said the existing public toilets need to be maintained properly and the government should ensure this service.
Dhaka North City Corporation chief estate officer Fosiullah told New Age that the existing public toilets were built at least 10 years ago and the toilets which were not facing court’s injunction were being maintained and repaired by the city corporations.
Acknowledging the shortage of public toilets for the city dwellers, Fosiullah said they were planning to build new toilets in crowded areas, especially near foot bridges of the capital.
The existing toilets are too inadequate to serve the city people, observed environmentalists, adding that many pedestrians are forced to defecate by roadside and thus pollute the environment.
According to official enumeration, there are only 37 public toilets under the Dhaka North City Corporation and 61 under the Dhaka South City Corporation while the total population now stands at about 1.5 crore.
Most of the public toilets are unhygienic while some are being used for washing cars, selling water for eateries and storing goods, toilet users have alleged.
In front of Mohakhali DCC kitchen market public toilet, one Minhaz Uddin said for more than an hour he was searching for a toilet.
‘When I got it, there was no water inside and its floor and surroundings were unusable and filthy,’ said Minhaz, who came from Mymeningh.
In front of the Muktangan public toilet, people were seen taking water by jars for a nearby a restaurant.
The surroundings of Gulishtan public toilets were so unhygienic and filthy that people avoid using the toilets.
Faruq Sheikh, a nearby shop owner, said water of the toilets is used to wash vehicles and at night it turns a heaven for drug addicts.
Azimpur public toilet’s caretaker raised a partition inside the toilet to live in and he is living there for many years.
The condition of the public toilets is so dirty that city dwellers, especially women and children, refrain from using them until they get back to their houses or offices, said Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University Nephrology assistant professor AH Hamid Ahmed.
He told New Age that holding stool for long time causes infection in the bladder wall, leading to complications in the entire urinary system.
Public toilets are not only causing health hazards but also polluting the city roadsides.
Slum dwellers and floating people use open spaces for defecation, mostly for lack of awareness and sometimes for being unable to pay the charges, polluting the environment, said Bangladesh Paribesh Andolan secretary general Abdul Matin.
He said the existing public toilets need to be maintained properly and the government should ensure this service.
Dhaka North City Corporation chief estate officer Fosiullah told New Age that the existing public toilets were built at least 10 years ago and the toilets which were not facing court’s injunction were being maintained and repaired by the city corporations.
Acknowledging the shortage of public toilets for the city dwellers, Fosiullah said they were planning to build new toilets in crowded areas, especially near foot bridges of the capital.
BDR tragedy day today
The nation will recall with heavy hearts today the carnage that took
place at the headquarters of Bangladesh Rifles, later renamed Border
Guard Bangladesh, four years ago.
At least 75 people, 57 of them army officers, mostly on deputation to BDR, lost their lives in the 36-hour mutiny by troops when celebrations of BDR Week was in progress at Peelkhana Durbar Hall on February 25, 2009.
Relatives and officers will lay wreaths today at the graves of army officers and their family members who were killed by the mutineers.
Officials on behalf of the president and prime minister, families of the slain officers, their colleagues and admirers will place flowers at the graves and offer prayers at Banani Military Graveyard in the capital at about 10:00am.
Special prayers will be offered at mosques at the headquarters of the army and BGB.
Social and political organisations will also observe the fourth anniversary of the great tragedy.
The then BDR director general Major General Shakil Ahmed and his wife were among those slain in the carnage. The mutiny ended on the following day with the surrender of the rebels.
The BGB in a press statement on Sunday said that special prayers would be offered at its four regional headquarters and all battalions.
On Tuesday, the special prayer will be held at Durbar Hall, now renamed as Bir Uttam Fazlur Rahman Khandaker Auditorium, at about 4:30pm, it said.
National People’s Party at a programme at the National Press Club on Sunday urged the government to observe the day as ‘national morning day.’
At least 75 people, 57 of them army officers, mostly on deputation to BDR, lost their lives in the 36-hour mutiny by troops when celebrations of BDR Week was in progress at Peelkhana Durbar Hall on February 25, 2009.
Relatives and officers will lay wreaths today at the graves of army officers and their family members who were killed by the mutineers.
Officials on behalf of the president and prime minister, families of the slain officers, their colleagues and admirers will place flowers at the graves and offer prayers at Banani Military Graveyard in the capital at about 10:00am.
Special prayers will be offered at mosques at the headquarters of the army and BGB.
Social and political organisations will also observe the fourth anniversary of the great tragedy.
The then BDR director general Major General Shakil Ahmed and his wife were among those slain in the carnage. The mutiny ended on the following day with the surrender of the rebels.
The BGB in a press statement on Sunday said that special prayers would be offered at its four regional headquarters and all battalions.
On Tuesday, the special prayer will be held at Durbar Hall, now renamed as Bir Uttam Fazlur Rahman Khandaker Auditorium, at about 4:30pm, it said.
National People’s Party at a programme at the National Press Club on Sunday urged the government to observe the day as ‘national morning day.’
এইচএসসি ২০১৩ প্রস্তুতি ইংরেজি প্রথম পত্র
Read the passage below and answer the questions 1-4:
Ismail Hossain is an affluent man now. Through hard work and devotion, he has managed to turn the wheels of fortune. He was an unemployed youth of an impoverished family from Ekdala village in Natore Sadar Thana. Through new knowledge, hard work and perseverance he has brought prosperity to his family. Ismail Hossain, son of Zohar Ali, studied up to class eight. Poverty then forced him to look for work. He worked as a labourer before he joined the training programme of the Natore Horticulture Centre (NHC) and has remained associated with it since then.
The officer-in-charge of NHC said that Ismail seemed to be an en thusiastic and energetic youth during the selection of villages under NHC�s command area. Ismail first received training in cultivation. Then he got a lease of land in his village and applied his new and improved knowledge for cultivating vegetables. He earned take 25,000 as profit that year. In the same way he made a profit of taka one lakh by cultivating quality cauliflowers the next year. Later he bought some land and used it entirely to cultivate cauliflowers. He has also been raising hybrid cows for milk as well as to produce manure.
Ismail�s lot has changed radically. He said with a satisfactory smile, ''I am very happy to be self-sufficient now.'' I had nothing of my own before, but now I have so much. It has been possible through my hard labour and systemic cultivation. The credit also goes to the NHC of course, he added. The officer-in-charge of NHC said, ''I feel very proud of Ismail Hossain. He deserves national recognition for his outstanding success.''
1. Choose the right word/expression to complete each sentence.
(a) At present, Ismail Hossain is rich/poor/idle man.
(b) Poverty dispelled/compelled/curtailed him to look for work.
(c) Ismail Hossain looked for work for his satisfaction/poverty/family.
(d) Ismail got a lease of land before his traing/after his training/during his training.
(e) Ismail has been able to change his fortune for his hard labour/the Natore Horituclute Centre/hard labour and the Natore Horitucluter Centre.
2. True/False. If false, give the correct information.
a) Ismail Hossain left school of his own accord.
b) Ismail earned take 100000 as profit for the first time.
c) Ismail has raised hybrid cows only for milk.
d) The officer in charge of NHC feels jealous of Ismail�s success.
e) Ismail�s family was poor.
3. Fill in the gaps with the correct form of the words in brackets.
a) Before he got a lease of land, he (receive) __ training.
b) He bought some land in order to use it for (cultivate) __ cauliflowers.
c) His fortune (change) __ for his hard labour.
d) He was (pride) __ of his success in life.
e) He proved that he was a (self-make) __ man.
Answers
1. (a) rich (b) compelled (c) poverty (d) after his training (e) hard labour and the Natore Horticulture Centre.
2. (a) False: Ismail Hossain left school because of his poverty.
(b) False: Ismail earned Tk 25000 as profit for the first time.
(c) False: Ismail has raised hybrid cows not only for milk but also for manure.
(d) False: The officer in charge of NHC feels proud of Ismail�s success.
(e) True.
3. (a) received (b) cultivating (c) has been changed/is changed (d) proud (e) self-made.
মুহম্মদ মাছুম বিল্লাহ
সাবেক অধ্যাপক
সিলেট, মির্জাপুর ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ
এবং রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ
Ismail Hossain is an affluent man now. Through hard work and devotion, he has managed to turn the wheels of fortune. He was an unemployed youth of an impoverished family from Ekdala village in Natore Sadar Thana. Through new knowledge, hard work and perseverance he has brought prosperity to his family. Ismail Hossain, son of Zohar Ali, studied up to class eight. Poverty then forced him to look for work. He worked as a labourer before he joined the training programme of the Natore Horticulture Centre (NHC) and has remained associated with it since then.
The officer-in-charge of NHC said that Ismail seemed to be an en thusiastic and energetic youth during the selection of villages under NHC�s command area. Ismail first received training in cultivation. Then he got a lease of land in his village and applied his new and improved knowledge for cultivating vegetables. He earned take 25,000 as profit that year. In the same way he made a profit of taka one lakh by cultivating quality cauliflowers the next year. Later he bought some land and used it entirely to cultivate cauliflowers. He has also been raising hybrid cows for milk as well as to produce manure.
Ismail�s lot has changed radically. He said with a satisfactory smile, ''I am very happy to be self-sufficient now.'' I had nothing of my own before, but now I have so much. It has been possible through my hard labour and systemic cultivation. The credit also goes to the NHC of course, he added. The officer-in-charge of NHC said, ''I feel very proud of Ismail Hossain. He deserves national recognition for his outstanding success.''
1. Choose the right word/expression to complete each sentence.
(a) At present, Ismail Hossain is rich/poor/idle man.
(b) Poverty dispelled/compelled/curtailed him to look for work.
(c) Ismail Hossain looked for work for his satisfaction/poverty/family.
(d) Ismail got a lease of land before his traing/after his training/during his training.
(e) Ismail has been able to change his fortune for his hard labour/the Natore Horituclute Centre/hard labour and the Natore Horitucluter Centre.
2. True/False. If false, give the correct information.
a) Ismail Hossain left school of his own accord.
b) Ismail earned take 100000 as profit for the first time.
c) Ismail has raised hybrid cows only for milk.
d) The officer in charge of NHC feels jealous of Ismail�s success.
e) Ismail�s family was poor.
3. Fill in the gaps with the correct form of the words in brackets.
a) Before he got a lease of land, he (receive) __ training.
b) He bought some land in order to use it for (cultivate) __ cauliflowers.
c) His fortune (change) __ for his hard labour.
d) He was (pride) __ of his success in life.
e) He proved that he was a (self-make) __ man.
Answers
1. (a) rich (b) compelled (c) poverty (d) after his training (e) hard labour and the Natore Horticulture Centre.
2. (a) False: Ismail Hossain left school because of his poverty.
(b) False: Ismail earned Tk 25000 as profit for the first time.
(c) False: Ismail has raised hybrid cows not only for milk but also for manure.
(d) False: The officer in charge of NHC feels proud of Ismail�s success.
(e) True.
3. (a) received (b) cultivating (c) has been changed/is changed (d) proud (e) self-made.
মুহম্মদ মাছুম বিল্লাহ
সাবেক অধ্যাপক
সিলেট, মির্জাপুর ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ
এবং রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ
ফেইসবুকে বিনা মূল্যে ভয়েস কল
আইফোন
ও আইপ্যাড ব্যবহারকারীদের জন্য বিনা মূল্যে 'ভয়েস কল' সুযোগ চালু করল
ফেইসবুক। এ জন্য 'ফেইসবুক ৫.৫' নামের নতুন একটি অ্যাপ্লিকেশনও বাজারে
ছেড়েছে তারা। ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করেই এ সুবিধা পাওয়া
যাবে। তাই কথা বলা যাবে বিনা মূল্যেই। অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে অনলাইনে
থাকা ফেইসবুক বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলা যাবে। এ জন্য অ্যাপ্লিকেশনটিতে থাকছে
বিশেষ ধরনের আইকন 'ফ্রি কল'।
প্রাথমিকভাবে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার আইফোন ব্যবহারকারীরা এ সুবিধা পাবেন। কিছুদিনের মধ্যে সব ব্যবহারকারীর জন্যই সেবাটি চালু হবে।
প্রাথমিকভাবে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার আইফোন ব্যবহারকারীরা এ সুবিধা পাবেন। কিছুদিনের মধ্যে সব ব্যবহারকারীর জন্যই সেবাটি চালু হবে।
এবার মাইক্রোসফটে সাইবার হামলা
ফেইসবুক
ও অ্যাপলের পর হ্যাকাররা এবার আক্রমণ করল বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার
নির্মাতা মাইক্রোসফট কার্যালয়ের কয়েকটি কম্পিউটারে। হামলার সত্যতা স্বীকার
করেছে মাইক্রোসফট।
এক ব্লগ বার্তায় মাইক্রোসফট জানায়, আমাদের অল্প কিছু কম্পিউটারে সাইবার হামলায় আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ম্যাক কম্পিউটারও আছে। তবে হ্যাকাররা গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য চুরি করতে পারেনি। হামলায় কারা জড়িত, জানার চেষ্টা চলছে।
ফেইসবুক ও অ্যাপলে হামলার সঙ্গে মাইক্রোসফটে হামলার মিল পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে ফেইসবুক ও অ্যাপল কার্যালয়ের কয়েকটি কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের শিকার হয়। পূর্ব ইউরোপের কয়েক হ্যাকার এ হামলার কথা স্বীকার করে।
এক ব্লগ বার্তায় মাইক্রোসফট জানায়, আমাদের অল্প কিছু কম্পিউটারে সাইবার হামলায় আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ম্যাক কম্পিউটারও আছে। তবে হ্যাকাররা গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য চুরি করতে পারেনি। হামলায় কারা জড়িত, জানার চেষ্টা চলছে।
ফেইসবুক ও অ্যাপলে হামলার সঙ্গে মাইক্রোসফটে হামলার মিল পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে ফেইসবুক ও অ্যাপল কার্যালয়ের কয়েকটি কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের শিকার হয়। পূর্ব ইউরোপের কয়েক হ্যাকার এ হামলার কথা স্বীকার করে।
বাংলাদেশ থেকে ৩০ হাজার শ্রমিক নেবে বাহরাইন
সরকার
টু সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন খুব শিগগির প্রায় ৩০
হাজার শ্রমিক নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক
কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, অল্প
সময়ের মধ্যেই মালয়েশিয়ার মতো সরকারিভাবে ওইসব শ্রমিক নেওয়া হবে। বাহরাইনে
যেতে একজন শ্রমিকের খরচ পড়বে ৫০ হাজার টাকার কম। গতকাল রবিবার প্রবাসী
কল্যাণ ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান। এর আগে গ্রিসের জনশৃঙ্খলা ও
নাগরিক অধিকার রক্ষামন্ত্রী নিকোলাস ডেনিয়াসের সঙ্গে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ
বিষয়ে বৈঠক করেন তিনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান,
জিটুজি পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে আগ্রহী বাহরাইন সরকার। এ কারণে
সরেজমিনে দেখতে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও
অদক্ষ এই দুই ধরনের শ্রমিকই তারা নেবে বলে জানান তিনি।
Sunday, February 24, 2013
£1000 Earn every week
This is the right time to earn £1000 per week . LEO give u Royalty income. Next 100 week u will be get it .
what is the way ?
1. Join in LEO with any package.
LEO Packages name & price : 1. Lion code --- £ 10
2. Lion code + --- £ 20
3. Startup ------ £125
4. Business------£500
5. Professional ---£1000
2. Invite ur all friends to join in LEO .
3. Sell product package to suit their needs
( 100% money received from the selected products sales is used to pay out for Royalty bonus during this "100 power weeks" promotion )
4. This promotion will be start in JUNE 2013 but if u want to earn £1000 per week ,this is time u grow ur team in the world .
Join with Us . Ronak
Atique Rahman
LEO package & product website : webshop
Click here & download : 100 week income plan
Contact : Atique Rahman
skype : boundola
phone : +8801917749618
mail : boundola@ gmail.com
what is the way ?
1. Join in LEO with any package.
LEO Packages name & price : 1. Lion code --- £ 10
2. Lion code + --- £ 20
3. Startup ------ £125
4. Business------£500
5. Professional ---£1000
2. Invite ur all friends to join in LEO .
3. Sell product package to suit their needs
( 100% money received from the selected products sales is used to pay out for Royalty bonus during this "100 power weeks" promotion )
4. This promotion will be start in JUNE 2013 but if u want to earn £1000 per week ,this is time u grow ur team in the world .
Join with Us . Ronak
Atique Rahman
LEO package & product website : webshop
Click here & download : 100 week income plan
Contact : Atique Rahman
skype : boundola
phone : +8801917749618
mail : boundola@ gmail.com
নারী বেশি কথা বলে কেন?
নারীর মস্তিষ্কে বিশেষ ‘ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোটিন’ বেশি পরিমাণে থাকে। এ জন্য
তারা পুরুষের তুলনায় বেশি কথা বলে। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞান ও মনস্তত্ত্ব গবেষকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
জার্নাল অব নিউরোসায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীর মস্তিষ্কে ফক্সপিটু নামের ‘ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোটিন’ বেশি থাকে। নারীরা প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার শব্দ উচ্চারণ করে। এ সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অন্তত ১৩ হাজার বেশি।
সংশ্লিষ্ট গবেষক মার্গারেট ম্যাককার্থি বলেন, বিশেষ প্রোটিনের উপস্থিতির কারণে প্রাণীর লৈঙ্গিক পার্থক্যবিষয়ক গবেষণা এটিই প্রথম। এতে নারী-পুরুষের মস্তিষ্ক ও আচরণগত ব্যবধানের বিষয়টি আগের তুলনায় স্পষ্ট হয়েছে। পর্যবেক্ষণে নারীর মস্তিষ্কে ফক্সপিটুর অধিক মাত্রা এবং প্রভাব প্রমাণিত হয়েছে। স্নায়ুজীববিদ্যার ভিত্তিতে স্তন্যপায়ী প্রাণীর কথা বলার ধরন বিবেচনায় এই গবেষণার ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে। টেলিগ্রাফ।
জার্নাল অব নিউরোসায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীর মস্তিষ্কে ফক্সপিটু নামের ‘ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোটিন’ বেশি থাকে। নারীরা প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার শব্দ উচ্চারণ করে। এ সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অন্তত ১৩ হাজার বেশি।
সংশ্লিষ্ট গবেষক মার্গারেট ম্যাককার্থি বলেন, বিশেষ প্রোটিনের উপস্থিতির কারণে প্রাণীর লৈঙ্গিক পার্থক্যবিষয়ক গবেষণা এটিই প্রথম। এতে নারী-পুরুষের মস্তিষ্ক ও আচরণগত ব্যবধানের বিষয়টি আগের তুলনায় স্পষ্ট হয়েছে। পর্যবেক্ষণে নারীর মস্তিষ্কে ফক্সপিটুর অধিক মাত্রা এবং প্রভাব প্রমাণিত হয়েছে। স্নায়ুজীববিদ্যার ভিত্তিতে স্তন্যপায়ী প্রাণীর কথা বলার ধরন বিবেচনায় এই গবেষণার ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে। টেলিগ্রাফ।
বখাটের হাতে প্রাণ গেল ছাত্রীর?
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় হালিমা আক্তার নামের একটি মেয়েকে এক বখাটে
পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বালিথুবা ইউনিয়নের
মানিকরাজ গ্রামে গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। নিহত হালিমা স্থানীয় একটি
মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, মানিকরাজ গ্রামের হালিমাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন পাশের বাড়ির মহসিন মিঝি। মহসিনের অশোভন প্রস্তাবে হালিমা সাড়া না দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হন। ওই দিন বিকেলে হালিমাকে বাড়ির পাশে একা পেয়ে বেদম মারধর করে রাস্তায় পাশে ফেলে রাখেন মহসিন। খবর পেয়ে হালিমার আত্মীয়স্বজন তাকে উদ্ধার করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে হালিমা মারা যায়।
হালিমার ভাই দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘পাশের বাড়ির বখাটে মহসিনের অশোভন প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মহসিন আমার বোনকে বেদম মারধর করেন। এ ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নেয় মহসিনের পক্ষের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শুক্রবার রাতে হালিমার লাশ উদ্ধার করে।’
ঘটনার পর থেকে মহসিন পলাতক রয়েছেন। তাই চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, মানিকরাজ গ্রামের হালিমাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন পাশের বাড়ির মহসিন মিঝি। মহসিনের অশোভন প্রস্তাবে হালিমা সাড়া না দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হন। ওই দিন বিকেলে হালিমাকে বাড়ির পাশে একা পেয়ে বেদম মারধর করে রাস্তায় পাশে ফেলে রাখেন মহসিন। খবর পেয়ে হালিমার আত্মীয়স্বজন তাকে উদ্ধার করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে হালিমা মারা যায়।
হালিমার ভাই দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘পাশের বাড়ির বখাটে মহসিনের অশোভন প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মহসিন আমার বোনকে বেদম মারধর করেন। এ ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নেয় মহসিনের পক্ষের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শুক্রবার রাতে হালিমার লাশ উদ্ধার করে।’
ঘটনার পর থেকে মহসিন পলাতক রয়েছেন। তাই চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Saturday, February 23, 2013
অশ্বিনের ঘূর্ণি আর ক্লার্কের বীরত্ব
'প্রিয়'
মাঠে 'প্রিয়' প্রতিপক্ষ! ১০০তম টেস্টের মাইলফলক ছোঁয়া। মঞ্চটা প্রস্তুতই
ছিল তাঁর জন্য। তবে ফেরাটা রাঙিয়ে নিতে পারেননি হরভজন সিং। কিন্তু সেসব
রোমাঞ্চও উজ্জীবিত করতে পারেনি 'ভাজ্জি'কে। চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনটা
কেটেছে তাঁর একেবারে সাদামাটা, উইকেট পাননি একটাও। হরভজনের 'সেঞ্চুরি'র
ম্যাচের প্রথম দিনের আলোটা কেড়ে নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও মাইকেল
ক্লার্ক। ঘূর্ণি বলের অনুপম প্রদর্শনীতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের
নাকানি-চুবানি খাইয়ে ৮৮ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন এই অফ স্পিনার। অশ্বিনের
স্পিন ভেল্কির জবাবে হার না মানা ঝকঝকে অপরাজিত সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়াকে
ম্যাচে সমান্তরালেই রেখেছেন ক্লার্ক। পর্তুগিজ বংশোদ্ভূত অলরাউন্ডার
হেনরিকস মোয়েজেসও বিখ্যাত ব্যাগি গ্রিন মাথায় পরে প্রথম দিনেই রেখেছেন নিজ
প্রতিভার স্বাক্ষর। ক্লার্কের সেঞ্চুরি ও মোয়েজেসের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭
উইকেটে ৩১৬ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
আরেকবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলটে টেনে নিতে পারায় উচ্ছ্বসিত হওয়ারই কথা ক্লার্কের। রিকি পন্টিংয়ের হাত থেকে অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাঁর ব্যাটে রীতিমতো রূপকথার ফর্ম। চেন্নাইয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক স্কোর গড়ার পথে মোট টেস্ট রানে ছাড়িয়ে গেছেন কিংবদন্তি স্যার ডন ব্রাডম্যানকে। অশ্বিনের ঘূর্ণিতে নাকাল হয়ে ১৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও এভাবে দিনটা শেষ করতে পেরে খুশিই থাকার কথা ক্লার্কের! হেনরিকসের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটেও ঠিক ১৫৩ রান যোগ করেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
দিনটা অন্য রকম হতে পারত ভারতেরও। অশ্বিন ছাড়া ক্লার্ক বাহিনীর ওপর ছড়ি ঘোরাতে পারেনি তাদের আর কোনো বোলারই। রঙির পোশাকে দ্যুতি ছড়ালেও সাদা জার্সি গায়ে দিয়েই যেন ছন্দটা হারিয়ে ফেলেন ভুবনেশ্বর কুমার। নতুন বলে ধার ছিল না ইশান্ত শর্মার বোলিংয়েও। দুই স্পিনার হরভজন ও রবীন্দ্র জাদেজাও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। কাজের কাজ যা করেছেন ওই অশ্বিনই, অস্ট্রেলিয়ার হারানো সাতটি উইকেটের ছয়টিই তামিলনাড়ুর এই ছেলের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েও অস্ট্রেলিয়ার রানের গতিটাও তাই সচল ছিল সব সময়। ওয়ানডে স্টাইলে শুরুটা করেছিলেন এড কাওয়ান ও ডেভিড ওয়ার্নার। অশ্বিন আক্রমণে এসেই ৮ রানের মধ্যে তুলে নেন কাওয়ান ও হিউজেসকে। স্লিপে ১৮ রানের সময় বীরেন্দর শেবাগের হাতে জীবন পাওয়া ওয়ার্নারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শেন ওয়াটসন। জোড়া উইকেট হারানোর পরও রানের গতি ধরে রেখে লাঞ্চের আগের সময়টা নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন তাঁরা, ২ উইকেটে ১২৬ রানে লাঞ্চে যায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের বিরতি ছন্দপতন ঘটায় তাঁদের খেলায়! বিরতির পর খেলা শুরু হলে স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান যোগ না করেই সাজঘরে ফেরে ওয়াটসন, ৫ রান পরে তাঁকে অনুসরণ করেন হাফ সেঞ্চুরিয়ান ওয়ার্নারও। অশ্বিনের স্পিনের বিপক্ষে বেশিক্ষণ টিককে পারেননি ম্যাথু ওয়েডও। দারুণ শুরুর পরও হতাশার সাগরে তলিয়ে যেতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। অভিষিক্ত হেনরিকসের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ১৫০ রানের বেশি পার্টনারশিপ গড়ে ওই বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তুলেছেন ওই ক্লার্কই। ক্রিকইনফো
সংক্ষিপ্ত স্কোর : অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস : ৩১৬/৭ (কাওয়ান ২৯, ওয়ার্নার, ৫৯, হিউজ ৬, ওয়াটসন ২৮, ক্লার্ক ১০৩*, ওয়েড ১২, হেনরিকস ৬৮, স্টার্ক ৩, সিডল ১*; অশ্বিন ৬/৮৮, জাদেজা ১/৫৬)।
আরেকবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলটে টেনে নিতে পারায় উচ্ছ্বসিত হওয়ারই কথা ক্লার্কের। রিকি পন্টিংয়ের হাত থেকে অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাঁর ব্যাটে রীতিমতো রূপকথার ফর্ম। চেন্নাইয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক স্কোর গড়ার পথে মোট টেস্ট রানে ছাড়িয়ে গেছেন কিংবদন্তি স্যার ডন ব্রাডম্যানকে। অশ্বিনের ঘূর্ণিতে নাকাল হয়ে ১৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও এভাবে দিনটা শেষ করতে পেরে খুশিই থাকার কথা ক্লার্কের! হেনরিকসের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটেও ঠিক ১৫৩ রান যোগ করেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
দিনটা অন্য রকম হতে পারত ভারতেরও। অশ্বিন ছাড়া ক্লার্ক বাহিনীর ওপর ছড়ি ঘোরাতে পারেনি তাদের আর কোনো বোলারই। রঙির পোশাকে দ্যুতি ছড়ালেও সাদা জার্সি গায়ে দিয়েই যেন ছন্দটা হারিয়ে ফেলেন ভুবনেশ্বর কুমার। নতুন বলে ধার ছিল না ইশান্ত শর্মার বোলিংয়েও। দুই স্পিনার হরভজন ও রবীন্দ্র জাদেজাও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। কাজের কাজ যা করেছেন ওই অশ্বিনই, অস্ট্রেলিয়ার হারানো সাতটি উইকেটের ছয়টিই তামিলনাড়ুর এই ছেলের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েও অস্ট্রেলিয়ার রানের গতিটাও তাই সচল ছিল সব সময়। ওয়ানডে স্টাইলে শুরুটা করেছিলেন এড কাওয়ান ও ডেভিড ওয়ার্নার। অশ্বিন আক্রমণে এসেই ৮ রানের মধ্যে তুলে নেন কাওয়ান ও হিউজেসকে। স্লিপে ১৮ রানের সময় বীরেন্দর শেবাগের হাতে জীবন পাওয়া ওয়ার্নারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শেন ওয়াটসন। জোড়া উইকেট হারানোর পরও রানের গতি ধরে রেখে লাঞ্চের আগের সময়টা নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন তাঁরা, ২ উইকেটে ১২৬ রানে লাঞ্চে যায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের বিরতি ছন্দপতন ঘটায় তাঁদের খেলায়! বিরতির পর খেলা শুরু হলে স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান যোগ না করেই সাজঘরে ফেরে ওয়াটসন, ৫ রান পরে তাঁকে অনুসরণ করেন হাফ সেঞ্চুরিয়ান ওয়ার্নারও। অশ্বিনের স্পিনের বিপক্ষে বেশিক্ষণ টিককে পারেননি ম্যাথু ওয়েডও। দারুণ শুরুর পরও হতাশার সাগরে তলিয়ে যেতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। অভিষিক্ত হেনরিকসের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ১৫০ রানের বেশি পার্টনারশিপ গড়ে ওই বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তুলেছেন ওই ক্লার্কই। ক্রিকইনফো
সংক্ষিপ্ত স্কোর : অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস : ৩১৬/৭ (কাওয়ান ২৯, ওয়ার্নার, ৫৯, হিউজ ৬, ওয়াটসন ২৮, ক্লার্ক ১০৩*, ওয়েড ১২, হেনরিকস ৬৮, স্টার্ক ৩, সিডল ১*; অশ্বিন ৬/৮৮, জাদেজা ১/৫৬)।
জায়নামাজে আগুন, টাইলস ভাঙচুর
জুমার
নামাজ আদায় শেষ না করেই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ভেতরে তাণ্ডব
চালিয়েছে জামায়াত-শিবির ও তাদের সমর্থক ১২ দলের নেতা-কর্মীরা। মসজিদের
ভেতরে জায়নামাজে (কার্পেট আকারে বিছানো) এবং সংরক্ষিত ধর্মীয় গ্রন্থে আগুন
দিয়েছে তারা। মসজিদের টাইলস ও আসবাবপত্র ভেঙে পুলিশের দিকে ছুড়ে মেরেছে।
শাহবাগের আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিজেদের পছন্দমতো ফতোয়া দেওয়ার জন্য
খতিবের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এতে কাজ না হওয়ায় মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে
স্লোগান দিয়েছে। এ কারণে সাধারণ মুসল্লিরাও ঠিকমতো জুমার নামাজ আদায় করতে
পারেনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল জুমার নামাজের সুযোগ নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জড়ো হয় ১২ দলের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের লোকজন। তাদের টার্গেট ছিল বিশাল মিছিল নিয়ে শাহবাগ দখল করা। এ কারণে সাধারণ মুসল্লির চেয়ে গতকাল বায়তুল মোকাররমে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদেরই উপস্থিতি ছিল বেশি। নামাজের আগে থেকেই মসজিদের ভেতরে তারা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। প্রজন্ম চত্বরের তরুণদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়ার দাবিতে রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়া শুরু হলে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় মসজিদের ভেতরে। এক পর্যায়ে তারা মসজিদের জায়নামাজ ও ইসলামী গ্রন্থে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা কোনোমতে নামাজ আদায় করে মসজিদ ত্যাগ করে।
আব্দুর রহমান ও মজিবুর রহমান নামের দুজন মুসল্লি কালের কণ্ঠকে জানান, জুমার নামাজ আদায় করার জন্য তাঁরা দুপুর ১২টার দিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসেন। এ সময় গেটে তাঁদের তল্লাশি করে পুলিশ। ভেতরে ঢুকে তাঁরা দেখেন, মসজিদে জামায়াত-শিবির ও তাদের সমর্থকরা খুবই তৎপর। সংঘর্ষকারীরা নামাজ না পড়েই নানা ধরনের অপতৎপরতা শুরু করে। তারা খতিবকে দিয়ে প্রজন্ম চত্বরের সমাবেশের ব্লগারদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করে। এতে খতিব রাজি না হলে হট্টগোল শুরু করে তারা। এক পর্যায়ে মসজিদের ভেতরেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররম কেন্দ্রীয় মসজিদের চারদিকে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের কড়া নজরদারি ছিল। তল্লাশি করেই মুসল্লিদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই মসজিদের ভেতরে হট্টগোল শোনা যায়। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, মসজিদের ভেতরে আগুন দিয়েছে কিছু লোকজন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার নাজমুল আলম বলেন, গতকাল সকাল থেকে মসজিদের ভেতরে জামায়াত-শিবির ও তাদের সমর্থক ১২ দলের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধসহ শাহবাগের আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের উসকানি সৃষ্টির চেষ্টা করে। এসব কর্মকাণ্ড সাধারণ মুসল্লি ও মসজিদের খতিবসহ অন্যরা মেনে না নেওয়ায় তারা মসজিদেই আগুন জ্বালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং মসজিদে দাঁড়িয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের গালাগাল দেওয়া শুরু করে। মসজিদের দামি টাইলস ভেঙে তারা পুলিশকে ছুড়ে মারে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল জুমার নামাজের সুযোগ নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জড়ো হয় ১২ দলের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের লোকজন। তাদের টার্গেট ছিল বিশাল মিছিল নিয়ে শাহবাগ দখল করা। এ কারণে সাধারণ মুসল্লির চেয়ে গতকাল বায়তুল মোকাররমে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদেরই উপস্থিতি ছিল বেশি। নামাজের আগে থেকেই মসজিদের ভেতরে তারা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। প্রজন্ম চত্বরের তরুণদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়ার দাবিতে রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়া শুরু হলে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় মসজিদের ভেতরে। এক পর্যায়ে তারা মসজিদের জায়নামাজ ও ইসলামী গ্রন্থে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা কোনোমতে নামাজ আদায় করে মসজিদ ত্যাগ করে।
আব্দুর রহমান ও মজিবুর রহমান নামের দুজন মুসল্লি কালের কণ্ঠকে জানান, জুমার নামাজ আদায় করার জন্য তাঁরা দুপুর ১২টার দিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসেন। এ সময় গেটে তাঁদের তল্লাশি করে পুলিশ। ভেতরে ঢুকে তাঁরা দেখেন, মসজিদে জামায়াত-শিবির ও তাদের সমর্থকরা খুবই তৎপর। সংঘর্ষকারীরা নামাজ না পড়েই নানা ধরনের অপতৎপরতা শুরু করে। তারা খতিবকে দিয়ে প্রজন্ম চত্বরের সমাবেশের ব্লগারদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করে। এতে খতিব রাজি না হলে হট্টগোল শুরু করে তারা। এক পর্যায়ে মসজিদের ভেতরেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররম কেন্দ্রীয় মসজিদের চারদিকে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের কড়া নজরদারি ছিল। তল্লাশি করেই মুসল্লিদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই মসজিদের ভেতরে হট্টগোল শোনা যায়। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, মসজিদের ভেতরে আগুন দিয়েছে কিছু লোকজন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার নাজমুল আলম বলেন, গতকাল সকাল থেকে মসজিদের ভেতরে জামায়াত-শিবির ও তাদের সমর্থক ১২ দলের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধসহ শাহবাগের আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের উসকানি সৃষ্টির চেষ্টা করে। এসব কর্মকাণ্ড সাধারণ মুসল্লি ও মসজিদের খতিবসহ অন্যরা মেনে না নেওয়ায় তারা মসজিদেই আগুন জ্বালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং মসজিদে দাঁড়িয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের গালাগাল দেওয়া শুরু করে। মসজিদের দামি টাইলস ভেঙে তারা পুলিশকে ছুড়ে মারে।
নারীবেষ্টিত গাদ্দাফি
উদ্ভট তথ্য এবং তত্ত্বের উদ্ভাবক ছিলেন লিবিয়ার চার দশকেরও বেশি সময়ের
শাসক কর্নেল গাদ্দাফি। পোশাকের ক্ষেত্রে তার রুচি ছিল বিচিত্র। সবসময় থাকত
একদল নারী দেহরক্ষীর নিরাপত্তায়। নিজেকে তিনি অভিহিত করতেন আরব নেতাদের
নেতা, আফ্রিকার রাজাদের রাজা এবং মুসলমানদের ইমাম বলে। তার প্রতাপ ও দাপটে
আফ্রিকার অনেক রাষ্ট্রপ্রধান কাঁপতেন। বৈচিত্র্যে ভরা ছিল তার জীবন। তরুণ
সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পশ্চিমা সমর্থিত রাজা
প্রথম ইদ্রিসকে হটিয়ে ১৯৬৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর ক্ষমতা দখল করেন গাদ্দাফি।
জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্রের ধুয়া তোলে তরুণ গাদ্দাফি নিজেকে দ্রুতই
প্রতিষ্ঠা করেন এক বিপ্লবী, অভাবনীয় এবং বর্ণাঢ্য নেতা হিসেবে। নিজেকে
মিসরের প্রেসিডেন্ট এবং আরব জাতীয়তাবাদের নেতা গামাল আবদেল নাসেরের
অনুসারী হিসেবে প্রচার করেন। প্রচার করেন নিজের ক্ষমতা ও শক্তি। কখনো তিনি
নিজেকে দাবি করতেন মাও সে তুং, স্টালিন কিংবা হিটলারের ভক্ত বলে। ১৯৪২ সালে
সারতের কাছাকাছি এক মরুভূমিতে বেদুইন তাঁবুতে জন্ম গাদ্দাফির। পশ্চিমারা
আরবের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধে লিপ্ত এমন কথা বলে ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিনের
মধ্যেই পশ্চিমাদের খেপিয়ে তোলেন তিনি। গাদ্দাফির নেতৃত্বে লিবিয়া
আন্তর্জাতিকভাবে প্রথম একঘরে হয় ১৯৮৮ সালে স্কটল্যান্ডের লকারবির আকাশে
আমেরিকার বিমানে হামলার পর। দীর্ঘদিন পশ্চিমা অবরোধে থাকার পর ওই হামলায়
ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হওয়ায় অবশেষে ২০০৩ সালে
পশ্চিমাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো হয়। এরপর থেকে নতুনভাবে শুরু করেন
রাজনৈতিক মিশন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে গাদ্দাফি আফ্রিকান ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ সময় আরবের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার সাধনায়
লিপ্ত হন তিনি। যে ইসলামকে ভিত্তি করে তিনি তার মসনদ ধরে রেখেছিলেন সেই
ইসলামেরই ধ্বজাধারী আরেক গোষ্ঠী তালেবানকে তিনি বিক্ষোভের মদদদানের অভিযোগ
তোলেন। সামনা-সামনি তাকে দেখলে যে কেউ চমকে উঠত। প্রায়ই রংচঙে ঢিলেঢালা
পোশাক পরতেন তিনি। আমাজনিয়ান স্টাইলে সজ্জিত উচ্চপর্যায়ের দেহরক্ষী
পরিবেষ্টিত থাকতেন। যখন উর্দি পড়তেন তখন তার জামা, কাঁধ ও টুপি থাকত
সোনালি সুতায় কাজ করা এবং মেডেলে সজ্জিত। সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন
ব্রিটেন থেকে। লিখেছিলেন 'গ্রিন বুক' নামের একটি বই। তবে গাদ্দাফি সবসময়
ভালোবাসতেন নারীসঙ্গ। তার পাগলামির আরেক নিদর্শন ছিল ঐতিহ্যবাহী বেদুইন
তাঁবু। রাষ্ট্রীয় অতিথিদের তাঁবুর নিচেই আপ্যায়িত করতে পছন্দ করতেন তিনি।
এমনকি বিদেশ সফরেও বাদ যেত না তাঁবু ও নারী। ২০০৭ সালে
প্যারিস সফরে সঙ্গে নিয়ে যান তাঁবু। সেই সঙ্গে নারী দেহরক্ষীর এক বিশাল বহর। সেখানের সরকারি অতিথি ভবনের বাগানে টানানো হয় তার ২০০ বর্গফুটের তাঁবুটি। ২০০৯ সালে ইতালি সফরে গিয়ে সৃষ্টি করেন এক বিতর্ক। তিনি বলেন, 'ইউরোপের সবার ধর্ম হওয়া উচিত ইসলাম।' ২০০৫ সালে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ কয়েকজন আরব নেতা ও ফিলিস্তিনিদের তিনি 'ইডিয়ট' বলে সম্বোধন করেন। প্রয়াত সৌদি বাদশাহ ফাহাদের মুখের ওপর একবার সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়েছিলেন তিনি। গাদ্দাফি হাতে সাদা গ্লাভস পরতেন যাতে 'জনগণের রক্তরঞ্জিত কয়েকজন
আরব নেতার হাত তাকে স্পর্শ করতে না হয়।' অথচ জনগণের রক্তে নিজের হাতই রঞ্জিত করেছেন তিনি। এসব উদ্ভট তথ্য ও উপাত্তের উদ্ভাবক হিসেবে সবসময়ই ইতিহাসের পাতায় জায়গা পাবেন গাদ্দাফি।
প্যারিস সফরে সঙ্গে নিয়ে যান তাঁবু। সেই সঙ্গে নারী দেহরক্ষীর এক বিশাল বহর। সেখানের সরকারি অতিথি ভবনের বাগানে টানানো হয় তার ২০০ বর্গফুটের তাঁবুটি। ২০০৯ সালে ইতালি সফরে গিয়ে সৃষ্টি করেন এক বিতর্ক। তিনি বলেন, 'ইউরোপের সবার ধর্ম হওয়া উচিত ইসলাম।' ২০০৫ সালে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ কয়েকজন আরব নেতা ও ফিলিস্তিনিদের তিনি 'ইডিয়ট' বলে সম্বোধন করেন। প্রয়াত সৌদি বাদশাহ ফাহাদের মুখের ওপর একবার সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়েছিলেন তিনি। গাদ্দাফি হাতে সাদা গ্লাভস পরতেন যাতে 'জনগণের রক্তরঞ্জিত কয়েকজন
আরব নেতার হাত তাকে স্পর্শ করতে না হয়।' অথচ জনগণের রক্তে নিজের হাতই রঞ্জিত করেছেন তিনি। এসব উদ্ভট তথ্য ও উপাত্তের উদ্ভাবক হিসেবে সবসময়ই ইতিহাসের পাতায় জায়গা পাবেন গাদ্দাফি।
বিশ্বের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে : ক্রাউলি
মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ার যোসেফ ক্রাউলি বলেছেন, সবার
দৃষ্টিই এখন বাংলাদেশের দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনসহ সারা বিশ্ব
বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ২১
ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ এশিয়ানদের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। খবর এনার।
কংগ্রেসম্যান ক্রাউলি মনে করেন, নিজেদের উন্নয়নের স্বার্থেই দক্ষিণ
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হওয়া দরকার। পারস্পরিক সম্পর্ক
সুসংহত হলে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের সুফলও দ্রুত আসবে। ক্রাউলি বলেন,
'বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই দলের সমঝোতা প্রয়োজন। গণতন্ত্রের
স্বার্থে দুই পক্ষকেই নমনীয় হতে হবে।' তিনি আরও বলেন, 'জিএসপি সুবিধা যাতে
অব্যাহত থাকে, সে চেষ্টা আমার রয়েছে। তবে শুল্কমুক্তভাবে বাংলাদেশের তৈরি
পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ব্যাপারে তেমন কোনো তদবির পরিলক্ষিত হচ্ছে
না।'
এক বক্তৃতায় দেড় কোটি টাকা
প্রতিটি বক্তৃতার জন্য সম্মানী হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দেড় কোটি
টাকা দেওয়া হবে হিলারি ক্লিনটনকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে
তিনি যে বেতন পেতেন তার চেয়েও বেশি পাবেন এখন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে যারা সবচেয়ে বেশি অর্থ পেয়ে থাকেন, তাদের
তালিকায় নাম লেখালেন তিনি। এজেন্সি 'হ্যারি ওয়াকার' তার প্রতিনিধিত্ব
করবে। এ সংগঠনটি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও হিলারির স্বামী বিল
ক্লিনটনেরও প্রতিনিধিত্ব করে আসছে।
ব্রিটেনের বেশির ভাগ মানুষ গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে না
সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ব্রিটেনের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের দেশটির
সংবাদ মাধ্যমের প্রতি কোনো আস্থা নেই। সেখানকার সাধারণ মানুষ মনে করেন,
সংবাদ মাধ্যমগুলো সত্য খবর প্রকাশের চেয়ে মুনাফা অর্জনকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে
থাকে।আইপিএসওএস/এমওআরআই সমগ্র ব্রিটেনে এ জরিপ চালিয়েছে এবং এতে ১০১৮ জন
প্রাপ্তবয়স্ক ব্রিটিশ নাগরিক অংশগ্রহণ করেছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মাত্র
২১ শতাংশ বলেছেন, তারা ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের সত্যনিষ্ঠ বলে
মনে করেন।
Friday, February 22, 2013
রাজধানীতে অশ্লীল ছবি ও পোস্টার
রাজধানীর গুলিস্তান শপিং কমপ্লেঙ্ থেকে বুধবার রাতে বিপুল পরিমাণ অশ্লীল
ছবির রিল, পোস্টার, ফটোসেটসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারা হলেন
সাজ্জাদ হোসেন, ইকবাল হোসেন মিলন, আবু তাহের, সুরুজ সরদার, শাজাহান ও
বিশ্বনাথ সাহা। তাদের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা হয়েছে। র্যাব-৩ এর
কমান্ডার অতিরিক্ত ডিআইজি মলি্লক ফখরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে গুলিস্তান
শপিং কমপ্লেঙ্রে ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন ছায়াছবির
অশ্লীল দৃশ্য সংবলিত ২৫১ ক্যান রিল, ১০ হাজার পোস্টার, ৪০০টি ফটোসেট উদ্ধার
করা হয়। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ওই ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্যাপ্টেন
এনামুল হকের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে বলে জানান
তিনি।
বইমেলায়ও জনস্রোত
একুশের চেতনায় প্রাণের বইমেলা গতকাল তার চিরাচরিত
রূপ ফিরে পায়। মাতৃভাষার চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে মেলায় আসেন অগণিত
আবালবৃদ্ধবনিতা। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, আ ম রি বাংলা ভাষাসহ নানা ধরনের
স্লোগানে অঙ্কিত লাল-সবুজের পোশাক আর আলপনায় গোটা মেলা প্রাঙ্গণে ছিল
একুশের আবহ। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে এবারের মেলায় একাত্তরের
চেতনাও প্রতিফলিত হয়েছে। সকালে শহীদ মিনার থেকেই জনস্রোত নেমেছিল মেলা
প্রাঙ্গণে। সারিবদ্ধ হয়ে মেলায় ঢুকার পাশাপাশি স্টলগুলোতে ছিল উপচে পড়া
ভিড়। শহীদ মিনারের বেদিতে শহীদদের পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন শেষে অনেকেই ছুটে
আসেন বইমেলায়। সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ছিল বইপ্রেমীদের উপচে পড়া
ভিড়। বিক্রি বাড়ায় প্রকাশকদের মুখে ছিল হাসি। তবে বরাবরের মতো এবারও
নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের বই বেশি বিক্রি হয়েছে। অন্যপ্রকাশের স্টলে
হুমায়ূন আহমেদের 'দেয়াল' কিনতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।
২৩৪৭ নতুন বই : প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২১ দিনে মেলায় ২৩৪৭টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। গতবার এ সময়ে প্রকাশ হয়েছিল ২৭৯২টি। সে হিসাবে গতবারের তুলনায় এবার ৪৪৫টি বই কম প্রকাশ হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালে ২২৭৩টি, ২০১০ সালে ২৬৩০টি, ২০০৯ সালে ২১৯৭টি, ২০০৮ সালে ১৯৫৫টি, ২০০৭ সালে ১৪৬৪টি ও ২০০৬ সালে ১৬৬০টি প্রকাশ হয়। এ বছর প্রকাশের দিক থেকে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে কবিতার বই (৫৭৫টি)। এ ছাড়া গল্প ৩০৮, উপন্যাস ৪২৪, প্রবন্ধ ১৫৯, গবেষণা ৩২, ছড়া ৭৩, শিশুসাহিত্য ৮২, জীবনী/ স্মৃতিচারণ ৭৩, রচনাবলি ১, ভাষা আন্দোলন/ মুক্তিযুদ্ধ ৪৭, নাটক ১৪, গণিত/ বিজ্ঞান ৪২, ভ্রমণ ৪১, ইতিহাস ৩২, রাজনীতি ১৬, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য ২১, কম্পিউটার ২, রম্য/ ধাঁধা ৪৯, ধর্মীয় ১৭, অনুবাদ ২৭, অভিধান ১, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ও গোয়েন্দা ১৯ এবং অন্যান্য বিষরের ওপর ২৮৭টি বই।
গতকাল নজরুল মঞ্চে ১৩টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। এর মধ্যে আবদুস সোবহান সিকদারের 'দুই পাখি এক বনে'; আবদুর রউফের 'পর্বতকন্যা' ও গীতালী হাসানের 'বিগ ফাইভ আর পাখির দেশে' অন্যতম। এদিকে ২২৫টি নতুন বই এসেছে। এর মধ্যে গল্প ৩৯, উপন্যাস ৩৬, প্রবন্ধ ১৫, কবিতা ৫২, গবেষণা ৪, ছড়া ১০, শিশুসাহিত্য ৬, জীবনী ৬, মুক্তিযুদ্ধ ২, নাটক ১, বিজ্ঞান ৩, ভ্রমণ ৪, ইতিহাস ২, রাজনীতি ১, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য ৪, কম্পিউটার ১, রম্য/ধাঁধা ৫, ধর্মীয় ২, অনুবাদ ২, অভিধান ১ এবং অন্যান্য বিষয়ের ওপর ২৯টি। সকালে মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত স্বরচিত কবিতা পাঠের আসরে সভাপতিত্ব করেন কবি আসাদ চৌধুরী। সন্ধ্যার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাড়া জাগানো 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি' কবিতার কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। পরে সংগীত পরিবেশন করেন ফকির আলমগীর, আবদুল জব্বার, তিমির নন্দী, নমিতা ঘোষ, মহাদেব ঘোষ, শ্রেয়সী রায়, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, আবদুল হালিম খান ও দীপঙ্কর মণ্ডল
২৩৪৭ নতুন বই : প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২১ দিনে মেলায় ২৩৪৭টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। গতবার এ সময়ে প্রকাশ হয়েছিল ২৭৯২টি। সে হিসাবে গতবারের তুলনায় এবার ৪৪৫টি বই কম প্রকাশ হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালে ২২৭৩টি, ২০১০ সালে ২৬৩০টি, ২০০৯ সালে ২১৯৭টি, ২০০৮ সালে ১৯৫৫টি, ২০০৭ সালে ১৪৬৪টি ও ২০০৬ সালে ১৬৬০টি প্রকাশ হয়। এ বছর প্রকাশের দিক থেকে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে কবিতার বই (৫৭৫টি)। এ ছাড়া গল্প ৩০৮, উপন্যাস ৪২৪, প্রবন্ধ ১৫৯, গবেষণা ৩২, ছড়া ৭৩, শিশুসাহিত্য ৮২, জীবনী/ স্মৃতিচারণ ৭৩, রচনাবলি ১, ভাষা আন্দোলন/ মুক্তিযুদ্ধ ৪৭, নাটক ১৪, গণিত/ বিজ্ঞান ৪২, ভ্রমণ ৪১, ইতিহাস ৩২, রাজনীতি ১৬, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য ২১, কম্পিউটার ২, রম্য/ ধাঁধা ৪৯, ধর্মীয় ১৭, অনুবাদ ২৭, অভিধান ১, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ও গোয়েন্দা ১৯ এবং অন্যান্য বিষরের ওপর ২৮৭টি বই।
গতকাল নজরুল মঞ্চে ১৩টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। এর মধ্যে আবদুস সোবহান সিকদারের 'দুই পাখি এক বনে'; আবদুর রউফের 'পর্বতকন্যা' ও গীতালী হাসানের 'বিগ ফাইভ আর পাখির দেশে' অন্যতম। এদিকে ২২৫টি নতুন বই এসেছে। এর মধ্যে গল্প ৩৯, উপন্যাস ৩৬, প্রবন্ধ ১৫, কবিতা ৫২, গবেষণা ৪, ছড়া ১০, শিশুসাহিত্য ৬, জীবনী ৬, মুক্তিযুদ্ধ ২, নাটক ১, বিজ্ঞান ৩, ভ্রমণ ৪, ইতিহাস ২, রাজনীতি ১, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য ৪, কম্পিউটার ১, রম্য/ধাঁধা ৫, ধর্মীয় ২, অনুবাদ ২, অভিধান ১ এবং অন্যান্য বিষয়ের ওপর ২৯টি। সকালে মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত স্বরচিত কবিতা পাঠের আসরে সভাপতিত্ব করেন কবি আসাদ চৌধুরী। সন্ধ্যার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাড়া জাগানো 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি' কবিতার কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। পরে সংগীত পরিবেশন করেন ফকির আলমগীর, আবদুল জব্বার, তিমির নন্দী, নমিতা ঘোষ, মহাদেব ঘোষ, শ্রেয়সী রায়, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, আবদুল হালিম খান ও দীপঙ্কর মণ্ডল
Subscribe to:
Posts (Atom)