পাঁচ বছর আগে কিডনি রোগে স্বামী মারা যাওয়ার পর শামেলা বেগম মেয়ে নিয়ে বিপদে পড়েছিলেন। সম্বল বলতে স্বামীর রেখে যাওয়া ফুটপাতে একটি চায়ের দোকান। সংসারের হাল ধরতে সেই চায়ের দোকানে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। কিন্তু সমাজের মানুষ সেটিকে ভালো চোখে দেখেনি। ফলে চায়ের ব্যবসাও বন্ধ করে দিতে হয় কিছু দিন পর। ঘরে মেয়ে, মা-বাবা ও নিজের আহার জোগাড় করতে বাসা-বাড়িতেও কাজ করেন কিছু দিন। কিন্তু সংসার চলছিল না। এরপর শামেলা ফুটপাতে পিঠা বিক্রি শুরু করেন। কোনো রকমে পিঠা বিক্রি করেই চলত শামেলার সংসার। একসময় শামেলার সাহায্যে এগিয়ে আসে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বেনিফিসিয়ারিজ ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম (বিএফএফ)। শামেলাকে দেওয়া হয় পিঠা রাখার বাক্স ও নগদ কিছু টাকা। সে টাকা দিয়ে শামেলা নতুন উদ্যমে শুরু করেন পিঠা বিক্রি। প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকার পিঠা বিক্রি করতে থাকেন।
একসময় বিক্রি আরও বেড়ে যায়। শামেলার সংসারে দুঃখ ঘুচতে থাকে। পিঠা বিক্রি করে কিছু টাকাও জমিয়েছেন। শহরের চুনাঘাটা বেড়িবাঁধের সরকারি জায়গায় কোনো রকমে মাথা গুঁজে থাকলেও এখন শামেলা স্বপ্ন দেখেন নিজের একটি জায়গা হবে।
শামেলা জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক দিন খেয়ে না খেয়ে দিন কাটিয়েছেন। মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্যের আশায় গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। কেউ সাহায্য করেনি, বরং নানাকথা শুনিয়েছে। আর এতে নিজের মনে জেদ চেপে বসে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাটিকাটার কাজ করার পর বিকাল থেকে শুরু হয় পিঠা বিক্রির কাজ। কঠোর পরিশ্রম করে সমাজের মানুষকে শামেলা দেখিয়ে দিতে চান পরিশ্রম করলে সাফল্য আসবেই। আজ শামেলা কারও দয়ায় বেঁচে নেই। মা-বাবাকে নিয়ে বেশভালোই আছেন। পিঠা বিক্রি করে তিনি এখন স্বাবলম্বী। শামেলা তার এ অবস্থানে আসার জন্য বিএফএফের নির্বাহী পরিচালক ফজলুল হাদি সাবি্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।
একসময় বিক্রি আরও বেড়ে যায়। শামেলার সংসারে দুঃখ ঘুচতে থাকে। পিঠা বিক্রি করে কিছু টাকাও জমিয়েছেন। শহরের চুনাঘাটা বেড়িবাঁধের সরকারি জায়গায় কোনো রকমে মাথা গুঁজে থাকলেও এখন শামেলা স্বপ্ন দেখেন নিজের একটি জায়গা হবে।
শামেলা জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক দিন খেয়ে না খেয়ে দিন কাটিয়েছেন। মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্যের আশায় গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। কেউ সাহায্য করেনি, বরং নানাকথা শুনিয়েছে। আর এতে নিজের মনে জেদ চেপে বসে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাটিকাটার কাজ করার পর বিকাল থেকে শুরু হয় পিঠা বিক্রির কাজ। কঠোর পরিশ্রম করে সমাজের মানুষকে শামেলা দেখিয়ে দিতে চান পরিশ্রম করলে সাফল্য আসবেই। আজ শামেলা কারও দয়ায় বেঁচে নেই। মা-বাবাকে নিয়ে বেশভালোই আছেন। পিঠা বিক্রি করে তিনি এখন স্বাবলম্বী। শামেলা তার এ অবস্থানে আসার জন্য বিএফএফের নির্বাহী পরিচালক ফজলুল হাদি সাবি্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।
No comments:
Post a Comment