ভারত চ্যাম্পিয়ন হলেও বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে পারেননি হরভজন সিং। কিন্তু আইপিএলে তাঁর ঘূর্ণি-জাদুতেই মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের জয়ের সোপান রচিত। তাও আবার ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের দলের বিপক্ষে। ১৮ রানে ৫ উইকেট নেওয়া হরভজনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে ৮ রানে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। পঞ্চম ম্যাচে চতুর্থ জয়ের সুবাদে শচীন টেন্ডুলকারের দল আপাতত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে তৃতীয় হারে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের অবস্থান নিচের দিক থেকে দ্বিতীয় অর্থাৎ নবম স্থানে।
টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু 'টাইম' ম্যাগাজিনের বছরের সেরা ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় ঠাঁই করে নেওয়া 'ক্যাপ্টেন কুল'-এর দিনটা ভালো কাটেনি। গতবার মুম্বাইকে হারিয়ে চেন্নাই চ্যাম্পিয়ন হলেও এবারের দ্বৈরথে টেন্ডুলকারের দলেরই জয়ের উল্লাস। 'লিটল জিনিয়াস' মাত্র ৫ রান করে ফিরে গেলেও রোহিত শর্মার ৪৮ বলে ৮৭ রানের 'ঝড়' আর অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের ২৬ বলে অপরাজিত ৩১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসের সুবাদে মুম্বাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৬৪। জবাব দিতে নেমে ওপেনার মাইক হাসি (৪১) আর বদ্রিনাথ (৭১*) অনেক চেষ্টা করলেও ৯ উইকেটে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি চেন্নাই।
ম্যাচশেষে ম্যাচের সেরা হরভজন জানিয়েছেন, 'ফিল্ডিং করতে নামার সময় ভেবেছিলাম চেন্নাইয়ের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আমাদের আরো ১৫-২০ রান বেশি করা উচিত ছিল।' কিন্তু দারুণ ফিল্ডিং করে এই লক্ষ্যকেই চেন্নাইয়ের সামনে কঠিন বানিয়ে তুলেছে টেন্ডুলকারের দল। বিশেষ করে তাদের ক্যাচিং ছিল অসাধারণ। হরভজনের বিশ্বাস দুটো দুর্দান্ত ক্যাচই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে, '(কিয়েরন) পোলার্ড দারুণ একটা ক্যাচ নিয়ে হাসিকে ফিরিয়েছে। আমার মনে হয় তখনই ম্যাচের ভাগ্য আমাদের দিকে ঘুরে গেছে। এরপর রোহিতও চমৎকার ক্যাচে ধোনিকে ফিরিয়ে দিয়েছে।' বল হাতে ফর্মে ফিরতে পেরেও 'ভাজ্জি' দারুণ খুশি, 'যেখানে একটা উইকেট পাওয়াই আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছিল সেখানে পাঁচ উইকেট পেয়ে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আমি ধীর-স্থির ছিলাম। জানতাম যে বল যেখানে ফেলছি ব্যাটসম্যান সে জায়গায় মারবেই। তবে একই সঙ্গে জানতাম সে (বলের লাইন) মিস করলেই আমি উইকেট পাব।' যদিও ভারতের সেরা স্পিনারের ধারণা, ওয়াংখেড়ের পিচ থেকে বাড়তি সাহায্য পেয়েছেন তিনি, 'এই পিচটা ভারতের সেরা। লাল মাটি সিম বোলারদের সাহায্য করেছে, স্পিনারদের জন্য ভালো বাউন্স ছিল, আবার ব্যাটসম্যানদেরও শট খেলতে সমস্যা হয়নি।' হরভজনের অধিনায়ক টেন্ডুলকারও পুরো দলের ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি আলাদা করে রোহিত শর্মা আর পোলার্ডের ক্যাচ দুটোর প্রশংসা করেছেন অকুণ্ঠে। মাত্র ৩ রান করে রোহিতের দারুণ ক্যাচে পরিণত ধোনিরও ধারণা দুই দলের ব্যবধান গড়ে দিতে ফিল্ডিংয়ের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি, 'আমাদের ব্যাটিং আর ফিল্ডিংও ভালো ছিল। কিন্তু ওই ফিল্ডিংই (দুই দলের মধ্যে) ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। ওরা দুটো অসাধারণ ক্যাচ নিয়েছে।
টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু 'টাইম' ম্যাগাজিনের বছরের সেরা ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় ঠাঁই করে নেওয়া 'ক্যাপ্টেন কুল'-এর দিনটা ভালো কাটেনি। গতবার মুম্বাইকে হারিয়ে চেন্নাই চ্যাম্পিয়ন হলেও এবারের দ্বৈরথে টেন্ডুলকারের দলেরই জয়ের উল্লাস। 'লিটল জিনিয়াস' মাত্র ৫ রান করে ফিরে গেলেও রোহিত শর্মার ৪৮ বলে ৮৭ রানের 'ঝড়' আর অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের ২৬ বলে অপরাজিত ৩১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসের সুবাদে মুম্বাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৬৪। জবাব দিতে নেমে ওপেনার মাইক হাসি (৪১) আর বদ্রিনাথ (৭১*) অনেক চেষ্টা করলেও ৯ উইকেটে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি চেন্নাই।
ম্যাচশেষে ম্যাচের সেরা হরভজন জানিয়েছেন, 'ফিল্ডিং করতে নামার সময় ভেবেছিলাম চেন্নাইয়ের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আমাদের আরো ১৫-২০ রান বেশি করা উচিত ছিল।' কিন্তু দারুণ ফিল্ডিং করে এই লক্ষ্যকেই চেন্নাইয়ের সামনে কঠিন বানিয়ে তুলেছে টেন্ডুলকারের দল। বিশেষ করে তাদের ক্যাচিং ছিল অসাধারণ। হরভজনের বিশ্বাস দুটো দুর্দান্ত ক্যাচই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে, '(কিয়েরন) পোলার্ড দারুণ একটা ক্যাচ নিয়ে হাসিকে ফিরিয়েছে। আমার মনে হয় তখনই ম্যাচের ভাগ্য আমাদের দিকে ঘুরে গেছে। এরপর রোহিতও চমৎকার ক্যাচে ধোনিকে ফিরিয়ে দিয়েছে।' বল হাতে ফর্মে ফিরতে পেরেও 'ভাজ্জি' দারুণ খুশি, 'যেখানে একটা উইকেট পাওয়াই আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছিল সেখানে পাঁচ উইকেট পেয়ে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আমি ধীর-স্থির ছিলাম। জানতাম যে বল যেখানে ফেলছি ব্যাটসম্যান সে জায়গায় মারবেই। তবে একই সঙ্গে জানতাম সে (বলের লাইন) মিস করলেই আমি উইকেট পাব।' যদিও ভারতের সেরা স্পিনারের ধারণা, ওয়াংখেড়ের পিচ থেকে বাড়তি সাহায্য পেয়েছেন তিনি, 'এই পিচটা ভারতের সেরা। লাল মাটি সিম বোলারদের সাহায্য করেছে, স্পিনারদের জন্য ভালো বাউন্স ছিল, আবার ব্যাটসম্যানদেরও শট খেলতে সমস্যা হয়নি।' হরভজনের অধিনায়ক টেন্ডুলকারও পুরো দলের ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি আলাদা করে রোহিত শর্মা আর পোলার্ডের ক্যাচ দুটোর প্রশংসা করেছেন অকুণ্ঠে। মাত্র ৩ রান করে রোহিতের দারুণ ক্যাচে পরিণত ধোনিরও ধারণা দুই দলের ব্যবধান গড়ে দিতে ফিল্ডিংয়ের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি, 'আমাদের ব্যাটিং আর ফিল্ডিংও ভালো ছিল। কিন্তু ওই ফিল্ডিংই (দুই দলের মধ্যে) ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। ওরা দুটো অসাধারণ ক্যাচ নিয়েছে।
No comments:
Post a Comment