মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব। আর তাই পৃথিবীর সব প্রাণীকেই মানুষ কোনো না কোনো কৌশলে বশ করতে পারে। বিষাক্ত সাপ থেকে শুরু করে পানির কুমির-হাঙ্গরকেও মানুষ ধরে ধরে চিড়িয়াখানায় রেখেছে। ক্ষেত্রবিশেষে বিষাক্ত ও ভয়ঙ্কর সব প্রাণীকেও বানাচ্ছে পোষ্য। সব প্রাণীকে মানুষ বশে আনতে পারলেও কিছু কিছু প্রাণী প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। সে প্রাণীগুলোর কিছু আছে ভয়ঙ্কর কিছু একেবারেই নিপাট নিরীহ। যেসব প্রাণীর কারণে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় তেমনি কিছু ভয়ঙ্কর হন্তারক প্রাণীর কথা জানাচ্ছেন_ নবাব আমিন
মশা : দেখতে শুনতে অন্য প্রাণীদের মতো ভয়ঙ্কর নয়। নেহায়েতই গোবেচারা টাইপের প্রাণী মশার কামড়ে আপাত দৃষ্টিতে খুব বেশি ব্যথা লাগে না। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য প্রতি বছর বিশ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায় এই ক্ষুদ্র জীবাণু বাহকের কামড়ে। সব মশার কামড়ে মানুষ না মরলেও অ্যানোফিলিস স্ত্রী মশা ম্যালেরিয়ার পরজীবী বহন করে। এই মশা কামড়ালে মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। সে জীবাণু রক্তের হিমোগ্লোবিন ধ্বংস করে ফেলে। ফলে মানুষ প্রাণ হারায়। আবার সাম্প্রতিক সময়ে এডিস মশার দাপটে ডেঙ্গু জ্বরে অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে। এর বাইরেও মশা বহু রোগের প্রধান কারণ।
এশিয়ান গোখরা : একে বলা হয় কিং কোবরা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত এবং ভয়ঙ্কর সাপ। এশিয়ান গোখরার মতো বিষ আফ্রিকার গহিন জঙ্গলের সাপেরও নেই। এশিয়ান গোখরার ছোবলে মুহূর্তের মধ্যেই মানুষের মৃত্যু ঘটে। প্রতি বছর এই গোখরার ছোবলে মারা যায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ।
অস্ট্রেলিয়ান বক্স জেলিফিশ : দেখতে শুনতে তুলতুলে এবং বেশ নান্দনিক। সাগরের বুকে যখন এঁকেবেঁকে চলে তখন এর রূপে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। কিন্তু সাগর-নর্তকী নামে জেলিফিশের খ্যাতি থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার বক্স জেলিফিশের পরিচিতিটা নান্দনিকতার চেয়ে ভয়াবহতার কারণেই বেশি। অস্ট্রেলিয়ান এই বক্স জেলিফিশের প্রতিটি বিষাক্ত রজ্জুতে আছে ৫০ হাজার কাঁটা। আর ৬০ জন মানুষ মারা যেতে পারে এমন বিষ বহন করে একেকটি জেলিফিশ। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর কারণ হয় এই বিষাক্ত মাছ। সাধারণত ডুবুরি ও শৌখিন সমুদ্রচারী কিংবা জাহাজডুবিতে আক্রান্তরা এর শিকার হয়।
শ্বেত হাঙ্গর : এরা এমনিতেই ভয়ঙ্কর। মশা কিংবা জেলিফিশের মতো গোবেচারা টাইপ ভয়ঙ্কর নয়, এরা চরিত্রগতভাবেই বিশাল, ধ্বংসাত্মক এবং ভয়ঙ্কর। মাথার খুলিতে ঘ্রাণ ক্যাপসুল থাকায় অনেক দূর থেকে মানুষের রক্তের গন্ধ পায়। এদের আছে তিন হাজার বিষাক্ত দাঁত। মানুষখেকো প্রাণীর তালিকায় এরা তাই চার নম্বরে। এ ধরনের প্রাণীদের আক্রমণের শিকার হলে কোনোমতেই বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। রীতিমতো হাড়গোড় গুঁড়ো করে গিলে ফেলে এরা।
আফ্রিকান সিংহ : আফ্রিকান সিংহের রাজ্যে মানুষের কোনো ক্ষমতা নেই বললেই চলে। এ সিংহের সামনে পড়ে কেউ বেঁচে এসেছে, এমন রেকর্ড নেই।
লোনাজলের কুমির : পানিতে বসবাসকারী আরেক ভয়ঙ্কর প্রাণী হচ্ছে কুমির। লোনা পানিতে ভয়ানক দাপটে শাসন করা এ কুমির পানির সমান্তরালে ভেসে থাকতে পারে। শিকার কোনোভাবেই বুঝতে পারে না তার উপস্থিতি। ফলে সহজেই তাকে হজম করে ফেলে কুমির।
হাতি : হাতিকে পোষ মানানো গেলেও সব হাতিকেই পোষ মানানো যায় না। আর আকৃতির বিশালতার কারণে হাতি সবসময়ই ধ্বংসলীলার কারণ হয়। আর বন্যহাতি মানুষসহ অন্য প্রাণী হত্যায় দারুণ ভয়ঙ্কর।
শ্বেত ভল্লুক : বরফ অঞ্চলের প্রাণীবৈচিত্র্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নাম হচ্ছে শ্বেত ভল্লুক। এ ধরনের ভল্লুকরা সবচেয়ে বেশি হিংস্র আর রক্তপিপাসু হয়ে থাকে। মেরু অঞ্চলের প্রাণীর মধ্যে এদের সবচেয়ে বেশি ভয়ানক মনে করা হয়। এরা মানুষের রক্তের গন্ধে যেন পাগল হয়ে যায়।
সোনা ব্যাঙ : হন্তারক প্রাণীর মধ্যে আরেকটি হচ্ছে সোনা ব্যাঙ। দেখতে যতটা সুন্দর তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি বিষাক্ত এই প্রাণীটি। তেলতেলে এ ছোট্ট প্রাণীর গায়ে থাকে বিষ, যা অন্তত ১০ জন মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
মশা : দেখতে শুনতে অন্য প্রাণীদের মতো ভয়ঙ্কর নয়। নেহায়েতই গোবেচারা টাইপের প্রাণী মশার কামড়ে আপাত দৃষ্টিতে খুব বেশি ব্যথা লাগে না। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য প্রতি বছর বিশ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায় এই ক্ষুদ্র জীবাণু বাহকের কামড়ে। সব মশার কামড়ে মানুষ না মরলেও অ্যানোফিলিস স্ত্রী মশা ম্যালেরিয়ার পরজীবী বহন করে। এই মশা কামড়ালে মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। সে জীবাণু রক্তের হিমোগ্লোবিন ধ্বংস করে ফেলে। ফলে মানুষ প্রাণ হারায়। আবার সাম্প্রতিক সময়ে এডিস মশার দাপটে ডেঙ্গু জ্বরে অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে। এর বাইরেও মশা বহু রোগের প্রধান কারণ।
এশিয়ান গোখরা : একে বলা হয় কিং কোবরা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত এবং ভয়ঙ্কর সাপ। এশিয়ান গোখরার মতো বিষ আফ্রিকার গহিন জঙ্গলের সাপেরও নেই। এশিয়ান গোখরার ছোবলে মুহূর্তের মধ্যেই মানুষের মৃত্যু ঘটে। প্রতি বছর এই গোখরার ছোবলে মারা যায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ।
অস্ট্রেলিয়ান বক্স জেলিফিশ : দেখতে শুনতে তুলতুলে এবং বেশ নান্দনিক। সাগরের বুকে যখন এঁকেবেঁকে চলে তখন এর রূপে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। কিন্তু সাগর-নর্তকী নামে জেলিফিশের খ্যাতি থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার বক্স জেলিফিশের পরিচিতিটা নান্দনিকতার চেয়ে ভয়াবহতার কারণেই বেশি। অস্ট্রেলিয়ান এই বক্স জেলিফিশের প্রতিটি বিষাক্ত রজ্জুতে আছে ৫০ হাজার কাঁটা। আর ৬০ জন মানুষ মারা যেতে পারে এমন বিষ বহন করে একেকটি জেলিফিশ। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর কারণ হয় এই বিষাক্ত মাছ। সাধারণত ডুবুরি ও শৌখিন সমুদ্রচারী কিংবা জাহাজডুবিতে আক্রান্তরা এর শিকার হয়।
শ্বেত হাঙ্গর : এরা এমনিতেই ভয়ঙ্কর। মশা কিংবা জেলিফিশের মতো গোবেচারা টাইপ ভয়ঙ্কর নয়, এরা চরিত্রগতভাবেই বিশাল, ধ্বংসাত্মক এবং ভয়ঙ্কর। মাথার খুলিতে ঘ্রাণ ক্যাপসুল থাকায় অনেক দূর থেকে মানুষের রক্তের গন্ধ পায়। এদের আছে তিন হাজার বিষাক্ত দাঁত। মানুষখেকো প্রাণীর তালিকায় এরা তাই চার নম্বরে। এ ধরনের প্রাণীদের আক্রমণের শিকার হলে কোনোমতেই বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। রীতিমতো হাড়গোড় গুঁড়ো করে গিলে ফেলে এরা।
আফ্রিকান সিংহ : আফ্রিকান সিংহের রাজ্যে মানুষের কোনো ক্ষমতা নেই বললেই চলে। এ সিংহের সামনে পড়ে কেউ বেঁচে এসেছে, এমন রেকর্ড নেই।
লোনাজলের কুমির : পানিতে বসবাসকারী আরেক ভয়ঙ্কর প্রাণী হচ্ছে কুমির। লোনা পানিতে ভয়ানক দাপটে শাসন করা এ কুমির পানির সমান্তরালে ভেসে থাকতে পারে। শিকার কোনোভাবেই বুঝতে পারে না তার উপস্থিতি। ফলে সহজেই তাকে হজম করে ফেলে কুমির।
হাতি : হাতিকে পোষ মানানো গেলেও সব হাতিকেই পোষ মানানো যায় না। আর আকৃতির বিশালতার কারণে হাতি সবসময়ই ধ্বংসলীলার কারণ হয়। আর বন্যহাতি মানুষসহ অন্য প্রাণী হত্যায় দারুণ ভয়ঙ্কর।
শ্বেত ভল্লুক : বরফ অঞ্চলের প্রাণীবৈচিত্র্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নাম হচ্ছে শ্বেত ভল্লুক। এ ধরনের ভল্লুকরা সবচেয়ে বেশি হিংস্র আর রক্তপিপাসু হয়ে থাকে। মেরু অঞ্চলের প্রাণীর মধ্যে এদের সবচেয়ে বেশি ভয়ানক মনে করা হয়। এরা মানুষের রক্তের গন্ধে যেন পাগল হয়ে যায়।
সোনা ব্যাঙ : হন্তারক প্রাণীর মধ্যে আরেকটি হচ্ছে সোনা ব্যাঙ। দেখতে যতটা সুন্দর তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি বিষাক্ত এই প্রাণীটি। তেলতেলে এ ছোট্ট প্রাণীর গায়ে থাকে বিষ, যা অন্তত ১০ জন মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
No comments:
Post a Comment