ত্বক
রুদ্র বৈশাখে ত্বকের যত্ন নেওয়া বেশি প্রয়োজন। একেবারে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে চাইলে লোশনের সঙ্গে একটু পানি নিয়ে মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। তারপর পানিতে তুলো ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন।
এবার যেকোনো ম্যাট সানস্ক্রিন মেখে নিন। দিনে ভারী সাজ না নেওয়াই ভালো। বেজ মেকআপ, ভারী ফাউন্ডেশন একদম নৈবচ নৈবচ। সাজে যতটা হালকা থাকবেন, ততই স্বচ্ছন্দে আনন্দ করতে পারবেন।
টিপস : হাত ব্যাগে ফেস পাউডার রাখুন। গরম থাকবে, ঘামে ভিজে সাজ নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।
চোখ
মুখের সাজটা হালকা থাকবে, তাই চোখের সাজ একটু ভারী হলে ভালো দেখাবে। সামান্য মোটা করে কাজল দিয়ে এর ওপর আইলাইনার দিন। সেকেলে ভাব আনতে চাইলে চোখের কোণটা টেনে দিন। এবার আলাদা আইল্যাশ না লাগিয়ে একবার মাশকারা লাগানোর পর সামান্য পাউডার লাগিয়ে নিন চোখের পাতায়। শুকিয়ে এলে আবার মাশকারা লাগান। এভাবে বারদুয়েক করলেই চোখের পাতা ভারী ও সুন্দর হবে।
টিপস : কাজল দেওয়ার আগে চোখের কোলটায় একটু পাউডার লাগিয়ে নিন। তাহলে কাজল ছড়িয়ে পড়বে না।
ঠোঁট
ঠোঁটে খুব হালকা রঙের লিপস্টিক বা লিপগ্লস লাগান। যেহেতু পোশাকেই রঙের ছড়াছড়ি থাকবে, তাই ঠোঁটের সাজ হবে স্নিগ্ধ।
টিপস : লিপস্টিক বা লিপগ্লস লাগানোর আগে একটু ফেস পাউডার লাগিয়ে নিলে সারা দিনের জন্য কোনো চিন্তা নেই।
টিপ
লাল, লাল এবং লাল। বৈশাখে লাল টিপের কোনো বিকল্প নেই। সিঁদুর-রঙা টিপ বৈশাখকে আরো বাঙ্ময় করে তুলবে। তবে কুমকুম ব্যবহার করে কয়েকটা রং মিলিয়ে কপালে টিপ এঁকে নেওয়া যায়।
টিপস : টিপ পরার সময় মুখের আকৃতির সঙ্গে মানানসই হচ্ছে কি না সেটা লক্ষ রাখুন। গোল মুখে লম্বাটে ও লম্বা মুখে গোল টিপ ভালো মানায়।
চুড়ি
বৈশাখ মানেই হাতভর্তি রেশমি চুড়ি। শাড়ির সঙ্গে হাত ভরে চুড়ি পরলেই ভালো লাগবে। অবশ্যই তা রং মিলিয়ে। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে কাঠ, মাটি বা ধাতুর বালা মানানসই। ব্লাউজের হাত ঘটি বা ম্যাগি হলে বাজুবন্ধ পরতে পারেন।
টিপস : সম্ভব হলে হাতটা ওয়েঙ্ করে নিন, তাহলে চুড়ি পরলে বেশি ভালো দেখাবে।
কানের দুল গলার মালা
লাল-সাদা শাড়ির সঙ্গে পুরনো আমলের ভারী ধাতুর ঝুমকা বা অ্যান্টিক রঙের দুল ভালো মানাবে। এ ছাড়া বিডস, পুঁতি বা কড়ির গয়নাও ভালো লাগবে। দিনের বেলা একটু ভারী দুল পরে, গলায় কিছু না পরাই ভালো। একান্তই পরতে চাইলে বিডস, কাঠ বা পুঁতির দুই লহরের লম্বা মালা পরা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে কানের দুল হবে ছোট। রাতের সাজটা জমকালো করতে চাইলে পাথর, ক্রিস্টাল বা ধাতুর গয়না মানানসই।
টিপস : শরীরের ঘাম যেকোনো গয়নার ঔজ্জ্বল্য নষ্ট করে। তাই এ ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।
চুলের সাজ
যাঁদের ছোট চুল তাঁরা হালকা স্ট্রেইটনার বুলিয়ে চুলটা ছেড়ে দিন। মাঝারি বা লম্বা চুলে খোঁপা, বেণি দুটোই ভালো লাগবে। চুলের সামনের অংশটা একটু ফুলিয়ে তারপর বেণি করুন। বেণিটা সামনে এনে একটু দূরে দূরে একটা করে ছোট কোনো ফুল আটকে নিন। খোঁপা করতে চাইলে চুলের সামনের অংশটা একটু ফুলিয়ে পেছনে একটা ঝুঁটি করুন। পুরো চুলটাকে চার ভাগ করে চারটা বেণি করে নিন। এবার বেণিগুলো দিয়ে একটা খোঁপা করে খোঁপায় কাঠবেলির মালা জড়িয়ে নিন।
টিপস : সপ্তাহখানেক আগে চুলটা কেটে নিলে সেটিংসটা ভালো হয়। চুলের সেটিংসটা ঠিক রাখতে চাইলে একটু হেয়ার স্প্রে লাগিয়ে নিন। সারা দিন চুল ঠিক থাকবে।
হাত ও পায়ের সাজ
হাত-পা ম্যানিকিউর, পেডিকিউর করার পর সানস্ক্রিন লাগান। নখ ফাইল করে নেলপলিশ লাগিয়ে নিন। তারপর পা সাজানোর পালা। পায়ের আঙুলে আংটি পরুন। সঙ্গে নূপুর বা খাড়ু ভালো লাগবে। আলতাও পরতে পারেন।
সবশেষে সুগন্ধির হালকা ছোঁয়া আপনার সাজকে সম্পূর্ণ করে তুলবে।
ছেলেদের বৈশাখ
বৈশাখের ফতুয়া বা পাঞ্জাবিতে লাল-সাদার প্রাধান্য তো থাকবেই, সঙ্গে সাদা সালোয়ার। চাইলে একটা উড়নিও জড়াতে পারেন গলায়। পায়ে চটি বা নাগরা আর পছন্দের যেকোনো একটি সুগন্ধি।
রুদ্র বৈশাখে ত্বকের যত্ন নেওয়া বেশি প্রয়োজন। একেবারে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে চাইলে লোশনের সঙ্গে একটু পানি নিয়ে মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। তারপর পানিতে তুলো ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন।
এবার যেকোনো ম্যাট সানস্ক্রিন মেখে নিন। দিনে ভারী সাজ না নেওয়াই ভালো। বেজ মেকআপ, ভারী ফাউন্ডেশন একদম নৈবচ নৈবচ। সাজে যতটা হালকা থাকবেন, ততই স্বচ্ছন্দে আনন্দ করতে পারবেন।
টিপস : হাত ব্যাগে ফেস পাউডার রাখুন। গরম থাকবে, ঘামে ভিজে সাজ নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।
চোখ
মুখের সাজটা হালকা থাকবে, তাই চোখের সাজ একটু ভারী হলে ভালো দেখাবে। সামান্য মোটা করে কাজল দিয়ে এর ওপর আইলাইনার দিন। সেকেলে ভাব আনতে চাইলে চোখের কোণটা টেনে দিন। এবার আলাদা আইল্যাশ না লাগিয়ে একবার মাশকারা লাগানোর পর সামান্য পাউডার লাগিয়ে নিন চোখের পাতায়। শুকিয়ে এলে আবার মাশকারা লাগান। এভাবে বারদুয়েক করলেই চোখের পাতা ভারী ও সুন্দর হবে।
টিপস : কাজল দেওয়ার আগে চোখের কোলটায় একটু পাউডার লাগিয়ে নিন। তাহলে কাজল ছড়িয়ে পড়বে না।
ঠোঁট
ঠোঁটে খুব হালকা রঙের লিপস্টিক বা লিপগ্লস লাগান। যেহেতু পোশাকেই রঙের ছড়াছড়ি থাকবে, তাই ঠোঁটের সাজ হবে স্নিগ্ধ।
টিপস : লিপস্টিক বা লিপগ্লস লাগানোর আগে একটু ফেস পাউডার লাগিয়ে নিলে সারা দিনের জন্য কোনো চিন্তা নেই।
টিপ
লাল, লাল এবং লাল। বৈশাখে লাল টিপের কোনো বিকল্প নেই। সিঁদুর-রঙা টিপ বৈশাখকে আরো বাঙ্ময় করে তুলবে। তবে কুমকুম ব্যবহার করে কয়েকটা রং মিলিয়ে কপালে টিপ এঁকে নেওয়া যায়।
টিপস : টিপ পরার সময় মুখের আকৃতির সঙ্গে মানানসই হচ্ছে কি না সেটা লক্ষ রাখুন। গোল মুখে লম্বাটে ও লম্বা মুখে গোল টিপ ভালো মানায়।
চুড়ি
বৈশাখ মানেই হাতভর্তি রেশমি চুড়ি। শাড়ির সঙ্গে হাত ভরে চুড়ি পরলেই ভালো লাগবে। অবশ্যই তা রং মিলিয়ে। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে কাঠ, মাটি বা ধাতুর বালা মানানসই। ব্লাউজের হাত ঘটি বা ম্যাগি হলে বাজুবন্ধ পরতে পারেন।
টিপস : সম্ভব হলে হাতটা ওয়েঙ্ করে নিন, তাহলে চুড়ি পরলে বেশি ভালো দেখাবে।
কানের দুল গলার মালা
লাল-সাদা শাড়ির সঙ্গে পুরনো আমলের ভারী ধাতুর ঝুমকা বা অ্যান্টিক রঙের দুল ভালো মানাবে। এ ছাড়া বিডস, পুঁতি বা কড়ির গয়নাও ভালো লাগবে। দিনের বেলা একটু ভারী দুল পরে, গলায় কিছু না পরাই ভালো। একান্তই পরতে চাইলে বিডস, কাঠ বা পুঁতির দুই লহরের লম্বা মালা পরা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে কানের দুল হবে ছোট। রাতের সাজটা জমকালো করতে চাইলে পাথর, ক্রিস্টাল বা ধাতুর গয়না মানানসই।
টিপস : শরীরের ঘাম যেকোনো গয়নার ঔজ্জ্বল্য নষ্ট করে। তাই এ ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।
চুলের সাজ
যাঁদের ছোট চুল তাঁরা হালকা স্ট্রেইটনার বুলিয়ে চুলটা ছেড়ে দিন। মাঝারি বা লম্বা চুলে খোঁপা, বেণি দুটোই ভালো লাগবে। চুলের সামনের অংশটা একটু ফুলিয়ে তারপর বেণি করুন। বেণিটা সামনে এনে একটু দূরে দূরে একটা করে ছোট কোনো ফুল আটকে নিন। খোঁপা করতে চাইলে চুলের সামনের অংশটা একটু ফুলিয়ে পেছনে একটা ঝুঁটি করুন। পুরো চুলটাকে চার ভাগ করে চারটা বেণি করে নিন। এবার বেণিগুলো দিয়ে একটা খোঁপা করে খোঁপায় কাঠবেলির মালা জড়িয়ে নিন।
টিপস : সপ্তাহখানেক আগে চুলটা কেটে নিলে সেটিংসটা ভালো হয়। চুলের সেটিংসটা ঠিক রাখতে চাইলে একটু হেয়ার স্প্রে লাগিয়ে নিন। সারা দিন চুল ঠিক থাকবে।
হাত ও পায়ের সাজ
হাত-পা ম্যানিকিউর, পেডিকিউর করার পর সানস্ক্রিন লাগান। নখ ফাইল করে নেলপলিশ লাগিয়ে নিন। তারপর পা সাজানোর পালা। পায়ের আঙুলে আংটি পরুন। সঙ্গে নূপুর বা খাড়ু ভালো লাগবে। আলতাও পরতে পারেন।
সবশেষে সুগন্ধির হালকা ছোঁয়া আপনার সাজকে সম্পূর্ণ করে তুলবে।
ছেলেদের বৈশাখ
বৈশাখের ফতুয়া বা পাঞ্জাবিতে লাল-সাদার প্রাধান্য তো থাকবেই, সঙ্গে সাদা সালোয়ার। চাইলে একটা উড়নিও জড়াতে পারেন গলায়। পায়ে চটি বা নাগরা আর পছন্দের যেকোনো একটি সুগন্ধি।
No comments:
Post a Comment