Monday, April 25, 2011

চলে গেলেন ভারতের আধ্যাত্মিক গুরু সাঁই বাবা জন্মদিনে বিমর্ষ শচীন

৩৮ তম জন্মদিনটিতে বিমর্ষ ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। আধ্যাতিক গুরু সত্য সাঁই বাবার মহাপ্রয়াণে জন্মদিনে বিষণ্ন, দারুণভাবে ব্যাথিত ভারতের এই ব্যাটিং জিনিয়াস। বেশ কিছুদিন থেকেই অসুস্থ ছিলেন সাঁই বাবা। তাই বাবার আরগ্যের জন্য প্রর্থনা করতে টুইটারের বার্তা পাঠান ব্যাটিং জিনিয়াস। কিন্তু অবশেষে গতকাল সকাল ৭ টা ৪০ মিনিটে ৮৫ বছর বয়সে দেহ ত্যাগ করেন শচীনের আধ্যাতিক গুরু।
জন্মদিনকে জাকজমপূর্ণভাবেই পালন করার কথা ছিল হায়দ্রাবাদের কাকাতিয়া হোটেলে, যেখানে ম্যাচ খেলতে সপরিবারে উঠেছেন শচীন। ৩৮তম জন্মদিনে কাটা হবে ৩৮ কেজি ওজনের কেক। বড় একটা পার্টি দিবেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মালিক টিনা আম্বানি। যেখান উপস্থিত থাকার কথা ছিল বলিউড তারকাদের। কিন্তু মহাগুরু সত্য সাঁই বাবার প্রয়াণে সব আয়োজন বাতিল করা হয়েছে। সাঁই বাবার মৃত্যুতে শোকাভিভূত ভারতীয়রা। তবে শচীন যেন একটু বেশিই আঘাত পেয়েছেন। তাই কিনা গতকাল মাঠে নামার আগ পর্যন্ত কথা বলেননি কারও সঙ্গেই। জন্মদিনের উৎসব তো দূরের কথা, মাঠে নামার আগে টিমমেটদের সঙ্গেও কোনো কথা বলেননি। এমনকি গতকাল সকালে নাস্তাও করেননি বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে কাকাতিয়া হোটেলের ম্যানেজার
কথা ছিল জন্মদিনে পুনেতে যুদ্ধাহত সেনাদের সঙ্গে সময় কাটাবেন টেন্ডুলকার। কেননা একজন সৈনিক দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়ে লড়াই করেন। আর সেনাদের কাছ থেকেই তো শেষ পর্যন্ত লড়াই করার প্রেরণা পেয়েছেন তিনি। গতকাল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ম্যাচ থাকার কারণে ইচ্ছাপূরণ হয়নি শচীনের। তবে দুই দিন আগেই ভিডিও কলফারেন্সের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন তার বার্তা। সেই বার্তায় শচীন যুদ্ধাহত সৈনিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং সময় পেলেই তাদের সঙ্গে দেখা করারও প্রতিজ্ঞা করেছেন।
সত্য সাঁই বাবার মহাপ্রয়াণে জন্মদিনে অনুষ্ঠান না হলেও পুরীর সমুদ্র তীরে তৈরি করা হয়েছিল শচীনের বিশাল প্রতিকৃতি। আহমেদাবাদে রঙ এবং রেখায় চিত্রিত হয়েছে ১৫০০ ফুট দীর্ঘ শচীনের জীবন কাহিনী। প্রতি জন্মদিনই নানা পার্টি ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করেছেন লিটল মাস্টার। পেয়েছেন অজস পুরষ্কার। আর এবার জীবনের সেরা পুরুষ্কারটা পেয়ে গেলেন জন্মদিনের ২২ দিন আগেই। ভারতীয়দের এনে দিলেন বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা। ৩৮তম জন্মদিনে এর চেয়ে বড় পুরষ্কার আর কী হবে পারে! তবে সাঁই বাবার মৃত্যু যেন সব কিছুকে ম্লাণ করে দিয়ে গেছে। শচীন যখনই কোনো সফরে যেতেন তার আগে সময় পেলেই চলে যেতেন গুরুর কাছে। তাই আধ্যাতিক গুরুর মৃত্যু শচীনকে মনকে দারুনভাবে নাড়া দিয়ে গেছে। সারাদিন রুমের দরজায় লাগিয়ে রেখেছিলে 'ডোন্ট ডিস্টার্ব' লেখা প্লাকার্ড।

No comments: