Saturday, April 23, 2011

গেইল ঝড়ে বিধ্বস্ত কলকাতা

ক্রিস গেইল এসেই যেন নিজের রূপটা দেখিয়ে নিলেন আইপিএলকে। মাত্র ৫৪ বল থেকে ৭টি ছয় ও ৯টি চার মেরে করলেন ৯৮ রান। এরপর? অনেকক্ষণ ঠেকে ছিলেন তিনি ৯৮ রানে। বিরাট কোহলি চাইলে গেইলের সেঞ্চুরিটা আটকে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি সহযাত্রীর এই বিরল সম্মান থেকে বঞ্চিত হওয়া মেনে নিতে চাইলেন না। কোহলি ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই চার মেরে নিজেদের স্কোর নিয়ে গেলেন ১৭০ রানে। এর আগে কলকাতা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে করেছিল ১৭১ রান। গেইলের ৯৮। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আর মাত্র ২ রান। ইকবাল আব্দুল্লার চারটি বল ঠেকিয়ে দিলেন কোহলি। কিন্তু ইকবাল পঞ্চম বলটি হোয়াইট দিয়ে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন সবার মনে। এমনকি কোহলি নিজেই বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন বার বার। তবে শেষ বলটি হলো কোন রান ছাড়াই। উনিশতম ওভারটি করতে এলেন সাকিব আল হাসান। প্রথম বলেই স্ট্রাইকে থাকা ক্রিস গেইল চার মারলেন। সেই সঙ্গে গ্যালারি যেন নতুন করে জেগে উঠল। ৫৫ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেললেন ক্রিস গেইল। সঙ্গে থাকা কোহলি করেছেন ২৩ বলে ৩০ এবং এর আগে দিলশান করেছেন ৩১ বলে ৩৮ রান। শচীন টেন্ডুলকার কিছুদিন আগেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়ক সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন শেষ বলে। ক্রিস গেইলও অনেকটা তাই করলেন। দেশ থেকে একরকম অভিমান করে চলে আসার ক্যারিবীয় এই তারকা রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালুরুর পক্ষে খেলতে নেমেই প্রমাণ করলেন নিজেকে। সেই সঙ্গে আইপিএল জমিয়েও তুললেন। বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলে ৬ ম্যাচ থেকে ২ জয় নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে বাঙ্গালুরু। শীর্ষে থাকা কলকাতা নেমে গেছে দ্বিতীয় স্থানে। তারা ৬ ম্যাচ থেকে জয় পেয়েছে ৩টিতে।
গেইল ঝড় শুরু হওয়ার আগে গৌতম গাম্ভীরের ৩৮ বলে ৪৮ এবং ক্যালিসের ৪২ বলে ৪০ রান কলকাতাকে মোটামুটি নিরাপদ সংগ্রহই এনে দিয়েছিল। কিন্তু ক্রিস গেইল যে তার স্বভাবসুলভ ঝড় নিয়ে মাঠে উপস্থিত হবেন তা কে জানতো? জানেনি বলেই গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্স হেরে গেল ৯ উইকেটে। আরবিন্দ ২ এবং সাঈদ ও ভেট্টরি একটি করে উইকেট নিয়েছিলেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালুরুর পক্ষে। কলাকাতার পক্ষে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন বালাজি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি কেকেআরের। শাহরুখ খান মাঠে দাঁড়িয়ে দেখলেন নিজের দলের পরাজয়। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সেঞ্চুরি করা ক্রিস গেইল।

No comments: