সুমাইয়া লোহার বিরাট গারদের বাইরে এসে দেখে কী সুন্দর আকাশ। সবাই মুক্ত। কারো পায়ে শেকল নেই। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার বছর ফাঁসির সেলের বন্দিদশা থেকে মুক্তির স্বাদ পেয়ে সাত বছর বয়সের সুমাইয়া কেঁদে ফেলল। এ কান্না মায়ের জন্য। আবার মুক্ত নতুন জীবনের জন্য। সুমাইয়ার কোনো অপরাধ ছিল না। তার মা খুনের মামলায় মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত। এ কারণে মায়ের সঙ্গেই তার জায়গা হয়েছিল ফাঁসির সেলে। গতকাল রবিবার সে সেল থেকে মুক্তি পেল।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক বজলুর রশিদ জানান, ২০০৭ সালের ৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে উজালা খাতুন তার স্বামী রাজা হোসেনকে হত্যা করে। ওই বছর ১০ মার্চ এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়। আটক করা হয় উজালা খাতুনকে। তখন উজালার মেয়ের বয়স আড়াই বছর। সে মায়ের দুধ পান করে। এ কারণে মায়ের সঙ্গে তার ঠাঁই হয় কারাগারে। ২০০৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চুয়াড়াঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ উজালাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এর পর থেকে সে কারাগারের ফাঁসির সেলে মায়ের সঙ্গেই ছিল। সেখানেই সুমাইয়া পার করেছে চার বছর তিন মাস। এখন তার বয়স সাত বছর। এর মধ্যে সুমাইয়ার নানি মহিরুননেচ্ছা নাতনিকে জিম্মায় নেওয়ার জন্য জেল সুপারের কাছে আবেদন করেন।
গতকাল দুপুরে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্তৃপক্ষ সুমাইয়াকে তার নানির হাতে তুলে দেয়। কারাগারের ভেতর থেকে তখন মা উজালার কান্না শোনা যায়।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক বজলুর রশিদ জানান, ২০০৭ সালের ৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে উজালা খাতুন তার স্বামী রাজা হোসেনকে হত্যা করে। ওই বছর ১০ মার্চ এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়। আটক করা হয় উজালা খাতুনকে। তখন উজালার মেয়ের বয়স আড়াই বছর। সে মায়ের দুধ পান করে। এ কারণে মায়ের সঙ্গে তার ঠাঁই হয় কারাগারে। ২০০৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চুয়াড়াঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ উজালাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এর পর থেকে সে কারাগারের ফাঁসির সেলে মায়ের সঙ্গেই ছিল। সেখানেই সুমাইয়া পার করেছে চার বছর তিন মাস। এখন তার বয়স সাত বছর। এর মধ্যে সুমাইয়ার নানি মহিরুননেচ্ছা নাতনিকে জিম্মায় নেওয়ার জন্য জেল সুপারের কাছে আবেদন করেন।
গতকাল দুপুরে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্তৃপক্ষ সুমাইয়াকে তার নানির হাতে তুলে দেয়। কারাগারের ভেতর থেকে তখন মা উজালার কান্না শোনা যায়।
No comments:
Post a Comment