বউ সুন্দরী আমে ছেয়ে গেছে নওগাঁ জেলার হাটবাজার। এসব আম ফরমালিন মিশ্রিত হলেও দেদার কিনছে লোকজন। আম খেয়ে লাভ লোকসানের কথা না ভেবে মুখের স্বাদ মেটাতে এসব আম কিনছে ক্রেতারা। দোকানে সাজানো বউ সুন্দরীর টকটকে হলুদ রং মানুষের মন কাড়ছে সহজেই। লোভ সামলাতে না পেরে তাই অতিরিক্ত দামে ফরমালিন মিশ্রিত এসব আম কিনছেন তারা। ব্যবসায়ীরা জানায়, স্থানীয় জাতের আম এখনো হাটবাজারে ওঠেনি। তাই হাটবাজার ছেয়ে গেছে ভারতীয় বউ সুন্দরী আমে। এসব আম নওগাঁর সীমান্তবর্তী পত্নীতলার শিমুলতলী, ধামইরহাটের বস্তাবর, কালুপাড়া, চকচণ্ডী, চকিলাম ও সাপাহারের পাতাড়ী, হাঁপানীয়া, পোরশার নীতপুরসহ জেলার অন্যান্য সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে আনা হচ্ছে। বৈশাখের শুরু থেকেই এসব আম স্থানীয় ফলের দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে। ফরমালিনসহ বিভিন্ন বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানোর ফলে স্বাস্থ্যহানি ঘটাসহ শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকলেও মৌসুমের নতুন ফল হওয়ায় ক্রেতারা ঝোঁকের মাথায় আমগুলো দেদার ক্রয় করে খাচ্ছে। কিন্তু ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে বানের পানির মতো আসা বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো ক্ষতিকারক এসব আম দোকানগুলোতে শোভা পেলেও প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। ফলে ক্রেতারা বিষ সমতুল্য ওই সব আম ভক্ষণ করে চলেছে। এসব আম বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। প্রতি কেজির মূল্য ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। সীমান্তে নিয়োজিত দুই দেশের সীমান্তরক্ষী ও অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই বিষাক্ত এসব আম নির্বিঘ্নে সীমান্তের ওপার থেকে এপার এনে বাজারজাত করা হচ্ছে বলে সচেতন ক্রেতারা জানান
No comments:
Post a Comment