একগাদা হলদে খাম হাতে অজগরের মতো লম্বা সারিতে দাঁড়িয়ে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রাশেদ আনোয়ার। না, ন্যায্যমূল্যে মোটা চাল কেনার জন্য নয়। মহানগরী ঢাকার জিপিওর ১৩ নম্বর কাউন্টারে দাঁড়িয়েছেন চিঠিতে প্রয়োজনীয় স্ট্যাম্প লাগাতে। ফ্রাঙ্কিং মেশিনের ঘটাং ঘটাং শব্দে সংকুচিত হয় লাইনের অগ্রভাগ। যতটুকু কমে-পেছনে যোগ হয় তার চেয়ে বেশি। তাই এ সারি কিছুক্ষণের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে_ এমনটি আশা করা যায় না। সারির অগ্রজের কাজ শেষ হয় সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে। ২৭ মিনিটের মাথায় শেষ হয় রাশেদের কাজ। অথচ কুরিয়ার সার্ভিসে এটি পাঁচ-সাত মিনিটের ব্যাপার। সময়ের চড়া দামে অর্থ সাশ্রয়। অভিযোগ উঠেছে, একশ্রেণীর অসাধু কর্মচারী সারির সিরিয়াল ১০-২০ টাকায় বিক্রি করেন। অভিযোগ বাক্স থাকলেও এটির গায়ে ধুলোর স্তর জমে আছে। ধুলোতে বাক্সের ওপর লেখা 'অভিযোগ' শব্দটি ঢেকে গেছে। দু-চার মাসের মধ্যে খোলা হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন বিশাল এ ভবনে নিত্যদিন হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা। ৫৫টি কাউন্টারের বেশির ভাগেই ব্যস্ততা ও ভিড় লেগে থাকতে দেখা গেছে। অস্তিত্বের লড়াইয়ে ২২টি সেবা দিতে হচ্ছে ডাক বিভাগকে। এর মধ্যে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, প্রাইজ বন্ড বিক্রি ও ভাঙানো, মানি অর্ডার ও পোস্টাল অর্ডার ইস্যু। আরও রয়েছে যানবাহন কর আদায়, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন, চিঠি রেজিস্ট্রেশন, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ডাকমাশুল ও স্মারক ডাকটিকিট বিক্রি করা অন্যতম।
এসব নিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। এরপর ৬টা পর্যন্ত চলে সান্ধ্যকালীন কার্যক্রম। অন্য রকম পরিবেশ। ভেতরে ঢুকতেই দৃষ্টি কাড়ে বিরাট হলরুমে মানুষের ছোটাছুটি। কেউ লাইনে দাঁড়ানো, কেউ খাম হাতে ছুটছেন আঠার সন্ধানে। কেউ বা পূরণ করছেন ফরম। কেউবা গন্তব্যের ঠিকানায় শেষবারের মতো বুলিয়ে নিচ্ছেন চোখ।
তরুণ-যুবা-বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের অতি প্রয়োজনীয় স্থান জিপিও। আগে চাপ আরও বেশি ছিল। প্রযুক্তির উন্নয়নে কমেছে অনেকটা। তারপরও লোকজনের কমতি নেই। লম্বা কাচের দেয়ালঘেরা অসংখ্য কাউন্টার। ধানমন্ডির বাসিন্দা ইয়াকুব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কানাডায় পার্সেল করার জন্য লম্বা সারিতে দাঁড়াই। পরে এক কর্মচারীর হাতে ২০ টাকা গুঁজে দিয়ে সিরিয়াল নিতে হয়েছে। জিপিওতে ব্রিটিশ আমলের পুরনো আসবাব। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। নিচতলার একপাশে গন্তব্যভেদে স্থাপিত লাল-নীল-হলুদ ডাকবাক্স। দেয়ালে নানা নির্দেশিকা। পোস্টাল মিউজিয়াম পরিদর্শন করুন। উত্তম সেবা প্রদানে সহযোগিতার জন্য লাইনে দাঁড়ান। পোস্টকোড ব্যবহার করুন। চিঠি লিখুন। হেল্প ডেস্ক একটি থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকটি ব্যস্ত অন্য কাজে। ডাক বিভাগের সহকারী পরিচালক মাসুদ বিন তারেক বলেন, সীমাবদ্ধতার মাঝে কাজ করতে হয়। সেজন্য কিছুসময় বেশি লাগতে পারে। ডাক গ্রহণ ও বিলি প্রধান কাজ। প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার চিঠি গ্রহণ করতে হয়, এর মধ্যে রেজিস্টার্ড চার হাজারের মতো। অবশিষ্ট আড়াই হাজার বৈদেশিক চিঠি।
এসব নিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। এরপর ৬টা পর্যন্ত চলে সান্ধ্যকালীন কার্যক্রম। অন্য রকম পরিবেশ। ভেতরে ঢুকতেই দৃষ্টি কাড়ে বিরাট হলরুমে মানুষের ছোটাছুটি। কেউ লাইনে দাঁড়ানো, কেউ খাম হাতে ছুটছেন আঠার সন্ধানে। কেউ বা পূরণ করছেন ফরম। কেউবা গন্তব্যের ঠিকানায় শেষবারের মতো বুলিয়ে নিচ্ছেন চোখ।
তরুণ-যুবা-বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের অতি প্রয়োজনীয় স্থান জিপিও। আগে চাপ আরও বেশি ছিল। প্রযুক্তির উন্নয়নে কমেছে অনেকটা। তারপরও লোকজনের কমতি নেই। লম্বা কাচের দেয়ালঘেরা অসংখ্য কাউন্টার। ধানমন্ডির বাসিন্দা ইয়াকুব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কানাডায় পার্সেল করার জন্য লম্বা সারিতে দাঁড়াই। পরে এক কর্মচারীর হাতে ২০ টাকা গুঁজে দিয়ে সিরিয়াল নিতে হয়েছে। জিপিওতে ব্রিটিশ আমলের পুরনো আসবাব। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। নিচতলার একপাশে গন্তব্যভেদে স্থাপিত লাল-নীল-হলুদ ডাকবাক্স। দেয়ালে নানা নির্দেশিকা। পোস্টাল মিউজিয়াম পরিদর্শন করুন। উত্তম সেবা প্রদানে সহযোগিতার জন্য লাইনে দাঁড়ান। পোস্টকোড ব্যবহার করুন। চিঠি লিখুন। হেল্প ডেস্ক একটি থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকটি ব্যস্ত অন্য কাজে। ডাক বিভাগের সহকারী পরিচালক মাসুদ বিন তারেক বলেন, সীমাবদ্ধতার মাঝে কাজ করতে হয়। সেজন্য কিছুসময় বেশি লাগতে পারে। ডাক গ্রহণ ও বিলি প্রধান কাজ। প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার চিঠি গ্রহণ করতে হয়, এর মধ্যে রেজিস্টার্ড চার হাজারের মতো। অবশিষ্ট আড়াই হাজার বৈদেশিক চিঠি।
No comments:
Post a Comment