Thursday, September 30, 2010

পুরস্কৃত হলো তরুণদের তিনটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি

‘বিজয়ী হতে পেরে ভালো লাগছে। চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার, যার মাধ্যমে সত্যিকারের উপকার পাওয়া যাবে।’ এমন অনুভূতির কথা জানালেন সিটি ফাইন্যানশিয়াল আইটি কেস কম্পিটিশন (সিএফআইসিসি) প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য নাসির খান। তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন বেশ সময়োপযোগী বলেও জানান তিনি।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ নেটওয়ার্কের (ডি.নেট) আয়োজনে এবং সিটি ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্পের প্রতিযোগিতা (সিএফআইসিসি)। গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমাদের দেশের বড় একটি অংশের শিশুরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় না। এর পরও যারা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে, তারা যথেষ্ট সৌভাগ্যবান।’ তিনি বলেন, শুরু থেকে অর্ধেক শিশু বিদ্যালয়ে যায়, যার মধ্যে বড় একটি অংশ প্রাথমিক পর্যায় পার করার আগেই ঝরে পড়ে। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হলেই আসলে মানুষ হওয়া যায় না, এর জন্য প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা। একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে পূর্ণ শিক্ষিত হতে পারেন।
পরে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছে ইউনাইটেড আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোর ডাইমেনশন দলের তৈরি সেবাধর্মী ব্যবসা বিষয়ে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি সম্পর্কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন একটি সফটওয়্যার প্রকল্প। বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন ফিরোজ ব্যাপারী, সাবরিনা হক, আমিনুল ইসলাম ও নাসির খান। বিজয়ী দল পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে পাঁচ হাজার ডলার।
প্রথম রানার্সআপ হয়েছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের স্ট্রেইড দলের ডিআইএফ মাইক্রো ব্যাংকিং সলিউশন প্রকল্প এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্টাভিয়ান দলের ভার্চুয়াল মানি ট্রান্সজেকশন প্রকল্প। প্রথম রানার্সআপ ও দ্বিতীয় রানার্সআপ দল পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে যথাক্রমে দুই হাজার ডলার ও এক হাজার ডলার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সিটি কান্ট্রি কর্মকর্তা মামুন রশিদ। দ্বিতীয় সিএফআইসিসি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রতিযোগিতার পরিচালক মাহমুদ হাসান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, ডি. নেটের নির্বাহী চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ফিরোজ মাহমুদসহ প্রতিযোগিতার বিচারকেরা। অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানান ডি.নেটের নির্বাহী পরিচালক অনন্য রায়হান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির সফল প্রয়োগের জ্ঞান বাড়ানো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতক স্তরের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতায় তিনটি ধাপের মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। প্রতিযোগিতার বিজয়ী দলের আর্থিক পুরস্কার ছাড়াও ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

No comments: