আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় ইভ টিজিং ও মাদকের অপব্যবহার বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবেন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আদালত তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে এসব অপরাধের শাস্তি দেবেন। এ ছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে নগরে থাকবে দুই হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য। নগরের ২১৮টি পূজামণ্ডপের মধ্যে ৭৫টিকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সম্মেলনকক্ষে পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কাশেম। কমিশনার বলেন, শারদীয় উৎসব শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এর মাধ্যমে পূজামণ্ডপে ইভ টিজিং ও মাদক ব্যবহার বন্ধ করা হবে। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা ঠিক করা হবে।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, নগরে সবচেয়ে বেশি পূজামণ্ডপ রয়েছে কোতোয়ালি থানা এলাকায়। এখানে ৯৬টি মণ্ডপ আছে। এর মধ্যে ২৫টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পূজামণ্ডপ রয়েছে চান্দগাঁও থানায়। নগরে গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপের তালিকায় রাখা হয়েছে ৫৩টিকে। এ ছাড়া সাধারণ রয়েছে ৯০টি।
অধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি মণ্ডপে দুজন পুলিশ কনস্টেবলের পাশাপাশি আটজন আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপের প্রতিটিতে নিরাপত্তা সদস্য থাকবেন আটজন। সাধারণ মণ্ডপের প্রতিটির নিরাপত্তায় থাকবেন ছয়জন সদস্য। এ ছাড়া র্যাবের টহল থাকবে বলে জানানো হয়। পূজা চলাকালে যানজট কমাতেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় পুলিশ, র্যাব ও আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি তিমির বরণ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রানা বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment