ই-মেইল ঠিকানা সাধারণত দুই ভাবে চুরি হয়। যার মধ্যে রয়েছে সহজ গোপন নম্বর ব্যবহার এবং নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর উল্লেখযোগ্য। অনেকেই তাদের ই-মেইল, ফেসবুকের ঠিকানার গোপন নম্বরে ব্যবহার করেন নিজের নাম, নামের প্রথম অংশ, নামের শেষ অংশ, বছর, ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নাম, মোবাইল নম্বর, abcdef, ১২৩৪৫৬ ইত্যাদি। এসব গোপন নম্বর ব্যবহার করলে ই-মেইলের ঠিকানা চুরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করলে নিরাপদ থাকা সম্ভব:
ই-মেইল ঠিকানা সবচেয়ে বেশি চুরি হয় নিরাপত্তা প্রশ্নের মাধ্যমে। ই-মেইল ঠিকানায় কিছু কমন নিরাপত্তা প্রশ্ন থাকে। যেমন আপনার প্রিয় লেখকের নাম, আপনার প্রথম স্কুলের নাম, আপনার প্রথম ফোন নম্বর ইত্যাদি। এগুলোর উত্তরও সাধারণত একই রকম হয়। এ জন্য আপনার প্রিয় লেখকের নামের উত্তরে অন্য কোনো নাম লিখতে পারেন। নামটি যত বড় হয় ততই ভালো।
গোপন নম্বর নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বড় গোপন নম্বর লিখবেন এবং তাতে বর্ণ, সংখ্যা, ডট, কমা, ডলার সাইন ইত্যাদির মিশ্রণ থাকলে ভালো হয়।
যেসব কম্পিউটার একাধিক মানুষ ব্যবহার করে সেসব কম্পিউটারে লগইন করার সময় ব্রাউজার থেকে ‘আপনার পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করতে চান কি না’ বার্তা এলে No তে ক্লিক করবেন এবং কাজ শেষে করে লগআউট করতে ভুলবেন না।
ই-মেইল ও ফেসবুকের ঠিকানায় বিকল্প ই-মেইল নামে একটি অপশন থাকে। সেখানে আপনার অন্য একটি ই-মেইল আইডি দিন। তাহলে কেউ যদি আপনার ই-মেইল আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তখন সঙ্গে সঙ্গে আপনার অন্য ই-মেইলে মেসেজ চলে আসবে। তখন আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে দুটি ই-মেইল ঠিকানার গোপন নম্বর এবং নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর একই না হয়।
No comments:
Post a Comment