ডিজিটাল বাইনারি সঙ্কেত শূন্য এক। সেই চুম্বকীয় আবর্তনে এনালগ পদ্ধতি বাতিল হয়েছে অনেক আগে থেকেই। এসেছে নয়া আবর্তনে ডিজিটাল পদ্ধতি। মেথডটা অনেক ভাল এবং অনেক নির্ভরযোগ্য। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশ এই তৃতীয় বিশ্বের ছোট্ট দেশটি বাংলাদেশ। সব অযোগ্যতাই যেন আষ্টে পৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। বহু অভিশাপে পা দু'টি একটু বাড়ালে যুক্তিবাদীরা অযৌক্তিক যুক্তি তোলে। ফারাকটা অনেকটুকু তুলে ধরি, কোন একটি বিজ্ঞাপনে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। বাড়ির ভৃত্য বাজারে গেছে বাড়ির বাজারের ফর্দ নিয়ে, দোকানীকে বলছে এক কেজি পিঁয়াজ, দুই কেজি চিনি, এক কেজি লবণ আর তিনটা চট্টগ্রামের ট্রেনের টিকিট। আর নিচের অংশটুকু বলার পর তার চোখে ভেসে ওঠে গত বছর ঠেলাঠেলি, মারামারি করে সংগ্রহ করতে হয়েছিল এই টিকিট। আর এখন লাইনে দাঁড়ানো ছাড়াই মোবাইল ফোনের রিচার্জ সেন্টারে গিয়ে ঝটপট কেটে ফেলা যাচ্ছে ট্রেনের টিকিট। পাঠকরা এরই মধ্যে আমার আসল উদ্দেশ্যটা বুঝে গেছেন। জীবনকে সহজ-সুন্দর এবং সবের্াপরি গতিময়তা সেকেন্ডের শ্রেষ্ঠ মুহূর্তকে কাজে লাগানো যাবে, যদি আমরা সবাই প্রাকটিস করি ডিজিটাল পদ্ধতি।
পাবলিক বাসে আমার যাতায়াত সবসময়ই তাই হয়ত বাংলাদেশের বিশেষ একটি শ্রেণী ছাড়া একেবারে সাধারণ মানুষের খুব কাছে বসে তাদের সুখ, দুঃখের অনুভূতি শেয়ার করা যায়। ইচ্ছে মতো। গ্রামীণফোনে কাষ্টমাররা ট্রেনের টিকেট কাটতে পারবে তার মোবাইল থেকে। আপনার মোবাইলে * ১৩১*৩# চাপতে হবে। পিন নাম্বার দিতে হবে। আপনি কোন মাসের কত তারিখে যাবেন তার প্রথম তিনটি অৰর টাইপ করতে হবে। কোথায় যাবেন তার প্রথম তিনটি অৰর টাইপ করতে হবে। তারপর বার্তাটি পাঠাতে হবে। ফিরতি বার্তাটি আসলে 'ই-টিকেট' সেভ করতে হবে। তারপর নির্ধারিত ষ্টেশনে গিয়ে বার্তাটি দেখালে আপনার ট্রেনের টিকেটটি দিয়ে দেবে। এমনি করে বাংলালিংকেও টিকেট কাটা যাবে, যা আপনার মোবাইল দিয়েই সম্ভব। আর এজন্য থাকতে হবে মোবাইলে নির্দিষ্ট ব্যালেন্স। যদি কোন কারণে টিকেট কাটা না যায় তাহলে ই-টিকেটে কেটে নেওয়া টাকা আপনার মোবাইলে ব্যালেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। আর এজন্য প্রতি টিকেটে চার্জ দিতে হবে মোবাইল কোম্পানীকে ২০ টাকা। তাই ইচ্ছেমত কাটা যাবে ট্রেনের টিকেট। আর ভ্রমণ করতে পারবেন সব খানে। এটাকে দ্রম্নত বাসত্মবায়ন করতে হবে। আর তা না হলে, মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটা, ঐ পর্যনত্ম রয়ে যাবে। উপরের খোলসটা হয়ত পাল্টাবে কিন্তু ঠেলাঠেলি আর 'এনালগ' ট্র্রাস্ক কলের মতো আমাদেরও থাকতে হবে অপেৰায়।
No comments:
Post a Comment