Thursday, September 2, 2010

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ১ম বর্ষে ভর্তি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক কোর্সে ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে দরখাস্ত আহ্বান করেছে। যেসব ছাত্রছাত্রী ২০০৭ বা ২০০৮ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০১০ সালে উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, অথবা ২০০৭ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০০৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফল ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখের পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত হয়েছে, অথবা যেসব ছাত্রছাত্রী ২০০৬ সালের নভেম্বর বা তার পরে GCE ‘O’ লেভেল এবং ২০০৯ সালের নভেম্বর বা তার পরে GCE ‘A’ লেভেল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হয়েছে, অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে শুধু তারাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবে। যেসব ছাত্রছাত্রী এর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, তারা এই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা: [ক] প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট/দাখিল/সমমানের পরীক্ষায় পাস অথবা বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাস হতে হবে।
প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজি এই চার বিষয়ে মোট জিপি ন্যূনতম ১৯.০০ পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক/আলিম/সমমানের পরীক্ষায় পাস অথবা বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাস হতে হবে।
সঠিক আবেদনকারীর মধ্য হতে বাছাই করে সর্বাধিক ছয় হাজার ৩০০ আবেদনকারীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে; তবে ৬৩০০তম সকল আবেদনকারীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে।
[খ] GCE ‘O’ লেভেল এবং GCE ‘A’ লেভেল পাস করা প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য GCE ‘O’ লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে পাঁচটি বিষয়ে (গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজিসহ) গড়ে B গ্রেড এবং GCE ‘A’ লেভেল পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন এই তিন বিষয়ের প্রতিটিতে A গ্রেড পেয়ে পাস হতে হবে।
[গ] ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সব আদিবাসী প্রার্থীকে ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।
‘ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য আবেদনকারীদের তালিকা’ বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
আসন সংখ্যা: পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার আদিবাসী প্রার্থীদের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট তিনটি এবং স্থাপত্য বিভাগে একটি সংরক্ষিত আসনসহ সর্বমোট আসন সংখ্যা সর্বোচ্চ ৯৬৫টি।
আবেদন করার নিয়ম: ভর্তির প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.buet.ac.bd)-এ পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইনে আবেদন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার পর একটি Application Serial No. প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে এই নম্বরের বিপরীতে টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল দিয়ে SMS-এর মাধ্যমে আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষা বাবদ প্রদেয় ফি জমা দিতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদনের ফরম কেবলমাত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে এবং আবেদন ফি টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল দিয়ে SMS-এর মাধ্যমে প্রদানযোগ্য হবে। আবেদনের ফরম অনলাইনে পূরণসংক্রান্ত যেকোনো সহযোগিতার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের ভর্তি শাখায় বৃহস্পতি, শুক্রবার ও সরকার ঘোষিত ছুটির দিন ছাড়া যেকোনো দিন যোগাযোগ করা যেতে পারে।
জেনে রাখুন:
ভর্তি পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নমানের শতকরা ৫০ ভাগ Objective Type হবে, যার মূল্যায়ন OMR দ্বারা করা হবে। এই অংশের প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য অন্য একটি সঠিক উত্তরের এক চতুর্থাংশ নম্বর কর্তন করা হবে। বাকি অংশের প্রশ্ন প্রণয়ন ও মূল্যায়ন প্রচলিত পদ্ধতিতে করা হবে। মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন ও মূল্যায়ন সম্পূর্ণভাবে প্রচলিত পদ্ধতিতে করা হবে। Website for Application: www.buet.ac.bd

No comments: