রাজশাহীর চারটি কলেজ এবার অনার্সে (স্নাতক) ভর্তির অনুমোদন পেয়েছে। এ সব কলেজে ভর্তি করা হয়েছে ৬০০ শিক্ষার্থী। অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত ৩৬ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, অতিরিক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য এই অর্থ আদায় করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, দুর্গাপুরের দাওকান্দি ডিগ্রি কলেজ, মোহনপুরের মোহনপুর ডিগ্রি কলেজ ও নগরীর কোর্ট ডিগ্রি কলেজে অনার্স কোর্স চালুর অনুমোদন দেয়। অনুমোদন দেওয়ার সময় ভর্তি ফি, সেশন ফি, স্কাউটস ফি, রেজিস্ট্রেশন ফিসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বার্ষিক সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭০০ টাকা আদায় করা যাবে বলে নিয়ম বেধে দেয়। অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়ম উপেক্ষা করে চারটি কলেজে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৮ হাজার টাকা করে আদায় করেছে। জানা গেছে, ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে এ বছর অনার্সে ৪টি বিষয়ে ২০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তির সময় তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ৮ হাজার ৭০০ টাকা করে। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফি আদায় করা হয়েছে ২ হাজার ৭০০ টাকা। বাকি ৬ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে কলেজের শিক্ষকদের অতিরিক্ত বেতন পরিশোধ করতে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, অনার্স বিষয়ের জন্য আলাদা কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কলেজের শিক্ষকরা তাদের নির্ধারিত ক্লাসের বাইরে অনার্সের ক্লাস নেবেন। তাদের বাড়তি পরিশ্রমের জন্য অতিরিক্ত এই টাকা আদায় করা হয়েছে। দাওকান্দি ডিগ্রি কলেজে অনার্সের ৩টি বিষয়ে ১৫০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে নেওয়ার কথা ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা। কিন্তু আদায় করা হয়েছে ১৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হোসেন দাবি করেছেন, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে। অন্য দুটি কলেজেও অতিরিক্ত হারে ফি নেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment