Saturday, April 9, 2011

চুরি ঠেকানোর যন্ত্র



মোটরসাইকেল চুরি রোধে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোটরসাইকেল সিকিউরিটি এলার্ট তৈরি করেছেন নওগাঁর রাশেদুল বারী রাশেদ নামের এক খুদে বিজ্ঞানী।

ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো না কোনো কিছু আবিষ্কারের চিন্তা তার মাথায় লেগে থাকত। স্কুলের টিফিন না খেয়ে বাঁচিয়ে ওই টাকা দিয়ে রেডিওর যন্ত্রপাতি ও তাতাল কিনে আনত। পড়াশোনা করার পর বাবা-মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে শুধু আবিষ্কারের চিন্তা মাথায় থাকত। এ ব্যাপারে বাবা-মার হাতে ধরা পড়ে বারবার মার খেতে হতো এবং জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে নষ্ট করে দিত। তবুও থেমে থাকেনি তার চিন্তা। ২০০১ সালে ছাত্রাবস্থায় হঠাৎ করে ব্যাটারি ছাড়া সোলার পাওয়ার দিয়ে রেডিও আবিষ্কার করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে আশপাশের গ্রাম থেকে লোকজন আসে ব্যাটারি ছাড়া রেডিও সঞ্চালন দেখার জন্য। তারপর থেকে এলাকার লোকজন তাকে বিজ্ঞানী বলে ডাকত। ছাত্রাবস্থায় ২০০৩ সালে মোবাইলের নষ্ট ব্যাটারি দিয়ে টর্চলাইট তৈরি করে সবাইকে অবাক করে দিল। টর্চলাইট দেখার জন্য বাসায় ভিড় করত এলাকাবাসী। তখনও বাজারে চায়না টর্চলাইট আসেনি। ২০০৪ সালে সে নিজেই রিচার্জেবল ফ্যান তৈরি করল। কিন্তু কোনো কিছুই ব্যাণিজ্যিকভাবে করত না। ২০০৪ সালে ভূগোল বিভাগে বগুড়া সরকারি আযীযুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এমএসসি পাস করে। এনার্জি সেভিং নষ্ট বাল্ব দিয়ে আইপিএস তৈরি করেও এলাকাবাসীকে হতবাক করে দেয়। সে নওগাঁ অফিসে আসার পর থেকে নওগাঁয় ব্যাপক গাড়ি হারাতে লাগল। আইনশৃক্সখলা বাহিনী কোনো কিছু্ই করতে পারছে না। কিভাবে চোরের হাত থেকে গাড়ি রক্ষা করা যায়। চাকরির পাশাপাশি আবিষ্কারের কাজ এগুতে থাকে। তথ্য-প্রযুক্তির যুগে অতি সহজে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কিভাবে চুরি রোধ করা যায়। চিন্তা-ভাবনা করতে করতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে পরামর্শ নেন। একদিন তার নিজের গাড়িতে তা প্রয়োগ করতে থাকে এবং তা সফল হন। চোরেরা মোটরসাইকেলটি তালা ভেঙে নিয়ে যেতে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে রিং আসতে থাকবে। তখনই বুঝতে হবে তার গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু গাড়ি কিছুতেই চালু করতে পারবে না। এতে খরচ পড়ে মাত্র দুই হাজার টাকা। এটা তৈরি করতে মোবাইলের সিম, মাদার বোর্ড, আর কিছু প্রয়োজনীয় উপকরণ দরকার। যা দিয়ে দামি মোটরসাইকেল রক্ষা করা যায়। এনিয়ে নওগাঁ শহরে বেশ সাড়া পড়েছে।

No comments: