বিশ্বে রয়েছে নানা ধরনের রহস্যঘেরা জায়গা, স্থাপত্য কিংবা ভবন। রহস্যঘেরা নিউপোর্ট টাওয়ার তার মধ্যে অন্যতম। রোড দ্বীপে অবস্থিত এই পুরনো টাওয়ারটি সম্পূর্ণ পাথরের তৈরি। রোড দ্বীপের অধিবাসীরা এ জন্য এই টাওয়ারকে old Stone Mill, Viking Power, land mark Power ইত্যাদি নামে অভিহিত করে থাকে। রহস্যময় এই টাওয়ারটির উচ্চতা ২৪ ফুট, যদিও টাওয়ারটি সংলগ্ন ছোট ছোট আরও অনেক টাওয়ার রয়েছে। টাওয়ারটি ১৭ শতকের দিকে পুনরায় সংস্কার করা হলেও তৈরি করা হয়েছে ১১ শতকের দিকে। আটটি পিলার, ৬টি দরজার সমন্বয়ে নিউপট্ টাওয়ারটি তৈরি করা হয়েছে। পিলারগুলোর গায়ে ডোরাকাটা দাগে অঙ্কন করা হয়েছে নানা প্রজাতির প্রাণীর ছবি, নাম ও আরও অনেক কিছু। জিম ব্রানডন নামক একজন আমেরিকান গবেষক ও প্রকৌশলী নিউপোর্ট টাওয়ারকে কেন রহস্যজনক টাওয়ার বলা হয় এর কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেছেন। ব্রানডন প্রাচীন এই টাওয়ারের নানা উপকরণ, লেখা, কারুকার্য নিয়ে প্রায় ১ বছর গবেষণা করে দেখেছেন যে, নিউপট্ টাওয়ারটি যে পাথর দ্বারা তৈরি করা হয়েছে তা প্রাচীন ম্যাগনেট জাতীয় পাথর। এই ম্যাগনেট জাতীয় পাথরের গায়ে রয়েছে চৌম্বক ক্ষমতা যা সহজেই লৌহ জাতীয় পদার্থকে আকৃষ্ট করতে পারে। ম্যাগনেট ছাড়াও টাওয়ারের ৩য় ও ৪র্থ তলার মানুষের পায়ের চিহ্ন, প্রাচীন নকশা, মানুষের মাথার খুলি ইত্যাদি পাওয়া যায়। এ থেকে অনুমান করা যায় যে, প্রাচীনকালে এই টাওয়ারটিতে মানুষ হত্যা করা হতো। কোনো পাপাচার বা অপরাধের জন্য অপরাধী ব্যক্তিকে এখানেই ফাঁসিতে ঝুলানো হতো বলে একাধিক সূত্রে তথ্য পাওয়া যায়। ১৯৪৬ সালে অধ্যাপক P. Lovfold নামক একজন গবেষক সুইডেন ও নরওয়েতে ১৪ ফুট উচ্চতা সমমানের টাওয়ারের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। নিউপট্ টাওয়ারের সঙ্গে এদের অন্তঃমিল হলো একই ধরনের ও একই সময়ের তৈরি বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। নিউপোর্ট টাওয়ারের মাঝে যেসব হস্তলিখিত পাথর পাওয়া গেছে তা চীনা ভাষায় লিখিত বলে তাত্তি্বকরা একমত পোষণ করেন। পর্যটকদের প্রশ্ন হতে পারে নিউপোর্ট টাওয়ারটি আসলে কোথায় অবস্থিত? নিউপোর্ট টাওয়ারের অবস্থান আমেরিকায় কিন্তু তৈরি করেছেন চীনা শাসকরা। রহস্যজনক এই টাওয়ারের মাঝে এখনো মানুষের শরীরের আভাস পাওয়া যায়। কাছে থেকে মনে হয় ভেতরে কোনো যুবক দাঁড়িয়ে কাউকে কাছে ডাকছে...।
No comments:
Post a Comment