জেমি সিডন্সের পালা শেষ। আগামী জুন মাসে তার সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে। তবে তিনি যে আর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ থাকছেন না তা পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে গেছে। ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাহী কমিটির সভায় পরিচালকরা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেমির বদলে নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে। মিডিয়া ম্যানেজার জালাল ইউনুস বলেছেন, এখন থেকেই তারা কোচ খোঁজা শুরু করে দিয়েছেন। কথা হচ্ছে নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেবেন কে? বিদেশি না দেশি কাউকে পছন্দের তালিকায় রেখেছেন, এ ব্যাপারে বিসিবির কেউ মুখ না খুললেও তারা বিদেশি কোচকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তা তাদের কথা-বার্তায় বোঝা যাচ্ছে। বিসিবি নির্দিষ্ট করে কারও নাম উচ্চারণ না করলেও দক্ষিণ আফ্রিকার খ্যাতনামা ক্রিকেটার জন্ডি রোর্ডসের নাম জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। বোর্ড সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নাকি ব্যক্তিগতভাবে তাকেই পছন্দ করছেন। অবশ্য বোর্ডের আগ্রহ থাকলেও জন্ডি রাজি হবেন কিনা তা দেখার বিষয় রয়েছে। কেননা বিশ্বকাপের আগে আফ্রিকান এ ক্রিকেটারকে ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল বিসিবি। সবকিছু ঠিকঠাকও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পারিশ্রমিক জটিলতার কারণে জন্ডি আর বাংলাদেশে উড়ে আসেননি। কোচের তালিকায় নিউজিল্যান্ড ও ভারতীয় এক সাবেক ক্রিকেটারের নামও শোনা যাচ্ছে।
এদিকে আবার বেশ কজন পরিচালক নাকি মত দিয়েছেন দেশের সাবেক কোনো ক্রিকেটারকে কোচের দায়িত্ব দিতে। দায়িত্ব থেকে অব্যাহত নেওয়া জাতীয় দলের ডেপুটি কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের নাম প্রস্তাবও করেছেন কেউ কেউ। গেল প্রিমিয়ার লিগে সুজনের প্রশিক্ষণে আবাহনী শিরোপা জয় করে। তাছাড়া ডেপুটি কোচের দায়িত্ব পালন একেবারে খারাপও করেননি। অনেক ক্রিকেটারই সুজনের কর্মকাণ্ডে ভূয়সী অবশ্য সুজনের দায়িত্বটা স্বল্প না দীর্ঘমেয়াদি হবে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এ কারণে কিছুদিন আগে এক টিভি চ্যানেলে সুজন স্পষ্ট করেই বলেছেন, কোচের দায়িত্ব নিতে তার আপত্তি নেই। এ যোগ্যতা তার ভালো মতোই রয়েছে। কিন্তু তাকে দায়িত্ব দিলে বেশ কটি শর্ত দেবেন বিসিবিকে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তার চুক্তির মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে। সুজন বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দেশি, কোচের ভাষা একটা বড় ফ্যাক্টর, ক্রিকেটাররা অনেক সময় ভাষা বোঝার না কারণে ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তো দীর্ঘ দিন ধরেই বিদেশি কোচের প্রশিক্ষণ রয়েছে। কিন্তু মানের দিক দিয়ে তো আহামরি কোনো পরিবর্তন ঘটছে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি সিডন্সের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, চার বছর ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরও জেমিতো মানের দিক দিয়ে বড় কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। অথচ তার পেছনে অঢেল অর্থতো ব্যয় হয়েছে। যাক দেশি বা বিদেশি হোক ক্রিকেটে বাংলাদেশ একজন নতুন কোচ খুঁজে পাচ্ছে। কথা উঠেছে যিনিই দায়িত্ব পান না কেন, তাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে কিনা? অমর নাথ, গ্রিনিজ, হোয়াইটমোর বা জেমি বাংলাদেশ যে কজন আলোচিত কোচ ছিলেন তাদের দায়িত্বে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে। তারপর আবার কোচকে কর্মকর্তারা এমনভাবে ব্যবহার করেন যে যোগ্যতা না থাকার পরও তারা কোনো কোনো ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ করে দেন। যার পরিণামে মাঠে ফলাফর তেমন সুখকর হয় না। সুতরাং দেশের কথা চিন্তা করে কর্মকর্তাদের ব্যাপারটি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
এদিকে আবার বেশ কজন পরিচালক নাকি মত দিয়েছেন দেশের সাবেক কোনো ক্রিকেটারকে কোচের দায়িত্ব দিতে। দায়িত্ব থেকে অব্যাহত নেওয়া জাতীয় দলের ডেপুটি কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের নাম প্রস্তাবও করেছেন কেউ কেউ। গেল প্রিমিয়ার লিগে সুজনের প্রশিক্ষণে আবাহনী শিরোপা জয় করে। তাছাড়া ডেপুটি কোচের দায়িত্ব পালন একেবারে খারাপও করেননি। অনেক ক্রিকেটারই সুজনের কর্মকাণ্ডে ভূয়সী অবশ্য সুজনের দায়িত্বটা স্বল্প না দীর্ঘমেয়াদি হবে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এ কারণে কিছুদিন আগে এক টিভি চ্যানেলে সুজন স্পষ্ট করেই বলেছেন, কোচের দায়িত্ব নিতে তার আপত্তি নেই। এ যোগ্যতা তার ভালো মতোই রয়েছে। কিন্তু তাকে দায়িত্ব দিলে বেশ কটি শর্ত দেবেন বিসিবিকে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তার চুক্তির মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে। সুজন বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দেশি, কোচের ভাষা একটা বড় ফ্যাক্টর, ক্রিকেটাররা অনেক সময় ভাষা বোঝার না কারণে ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তো দীর্ঘ দিন ধরেই বিদেশি কোচের প্রশিক্ষণ রয়েছে। কিন্তু মানের দিক দিয়ে তো আহামরি কোনো পরিবর্তন ঘটছে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি সিডন্সের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, চার বছর ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরও জেমিতো মানের দিক দিয়ে বড় কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। অথচ তার পেছনে অঢেল অর্থতো ব্যয় হয়েছে। যাক দেশি বা বিদেশি হোক ক্রিকেটে বাংলাদেশ একজন নতুন কোচ খুঁজে পাচ্ছে। কথা উঠেছে যিনিই দায়িত্ব পান না কেন, তাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে কিনা? অমর নাথ, গ্রিনিজ, হোয়াইটমোর বা জেমি বাংলাদেশ যে কজন আলোচিত কোচ ছিলেন তাদের দায়িত্বে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে। তারপর আবার কোচকে কর্মকর্তারা এমনভাবে ব্যবহার করেন যে যোগ্যতা না থাকার পরও তারা কোনো কোনো ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ করে দেন। যার পরিণামে মাঠে ফলাফর তেমন সুখকর হয় না। সুতরাং দেশের কথা চিন্তা করে কর্মকর্তাদের ব্যাপারটি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment