আধুনিক জীবনে ব্যস্ততার দরুন ছকে বাঁধা জীবন থেকে বেরিয়ে বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী খোঁজার সময় হয়ে উঠা কঠিন। তাই বিয়ের কাজে সহযোগিতার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন ম্যারেজ মিডিয়া সেন্টার। ম্যারেজ মিডিয়াগুলো বন্ধু ও অভিভাবক হয়ে পাত্র-পাত্রী খোঁজার কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছে হরহামেশা। ম্যারেজ মিডিয়াগুলোকে আমরা সহজ বাংলায় ঘটকালির অফিস বলে থাকি। আর এর কর্তাব্যক্তি ঘটক, গ্রাম-বাংলায় ঘটকরা খুবই সম্মানের পাত্র। আধুনিক নগর জীবনেও নতুন পেশা হিসেবে ঘটকালি অন্য দশটা পেশার মতো স্থান করে নিয়েছে। ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অসংখ্য ম্যারেজ মিডিয়া সেন্টার। তারা লিখিত (সবাই নয়) চুক্তির মাধ্যমে বিবাহের দায়িত্ব নেয়। সেখানে টাকার কথাও উল্লেখ করা থাকে। এ দেশে ঘটকালি পেশার পথিকৃৎ পুরুষ হলেন 'ঘটক পাখি ভাই'। তিনি দীর্ঘ ৩৯ বছর যাবৎ এ পেশায় আছেন। তবে এ ম্যারেজ মিডিয়াগুলোতে পাত্র-পাত্রীর ছবি ও বায়োডাটা দেখতে হলে আগে তাদের সেন্টারের সদস্য হতে হয় নির্দিষ্ট ফি দিয়ে। এরপর ছবি দেখা-দেখি ও কথা চালাচালি। অবশ্য এর জন্য গুণতে হয় টাকা। যা-ই হোক, আধুনিক নগর জীবনে ম্যারেজ মিডিয়া সেন্টার এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এর যেমন রয়েছে সুবিধা, ঠিক তেমনি রয়েছে নানাবিধ অসুবিধা। অভিযোগ রয়েছে, এসব ম্যারেজ মিডিয়াগুলোতে মানুষজন নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছে অহরহ। এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। পত্রিকাগুলোতেও শ্রেণীভুক্ত বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপন বেশ জায়গাজুড়ে থাকে। তা থেকে সহজেই এ বাস্তবতা উপলব্ধি করা যায়।
No comments:
Post a Comment