Monday, April 11, 2011

সিগারেট ও বিড়ির শুল্কে সমতা আসছে

এবার সিগারেট এবং বিড়ির কর বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিড়ির সঙ্গে সিগারেটের দামের খুব একটা তফাৎ না হওয়ায় সাধারণ মানুষ বিড়ি খাওয়া কমিয়ে দিয়ে কম দামে সিগারেট পান করছে। ফলে বিড়ির চাহিদা কমে গেছে। এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়লেও সিগারেটে শুল্ক কমানোয় সিগারেট থেকে রাজস্ব আয় কমছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর সূত্র জানায়, আগামী বাজেটে এ বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, বিড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় এ শিল্প এখন ধ্বংসের পথে। ইতোমধ্যেই শতাধিক বিড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে গেছে প্রায় ২৫ লাখ শ্রমিক। এদের জন্য বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। তাই শহরমুখী জনস্রোত বাড়ছে।
সূত্র মতে, চলতি অর্থ বছরের বাজেটে (২০১০-১১) চার ধাপে সিগারেটের শুল্কায়ন করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ধাপের জন্য ৫৮ শতাংশ, তৃতীয় ধাপের জন্য ৫৬ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপের জন্য ৫০ শতাংশ এবং প্রথম ধাপের জন্য ৩৩ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়। সর্বোচ্চ ধাপের সঙ্গে তার পরের ধাপের ব্যবধান ২ শতাংশ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ব্যবধান ৩ শতাংশ আর দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় প্রথম ধাপের জন্য ব্যবধান ২০ শতাংশ। সেখানে বিড়িতে শুল্কায়ন করা হয় ১৫-১৮ শতাংশ। চতুর্থ ধাপের সিগারেটের শুল্কায়ন কম করায় বিড়ির বাজার দখল করেছে সিগারেট। ফলে ১২ বছর আগে যেখানে প্রতিবছর দেশে গড়ে ১ হাজার ২০০ কোটি শলাকা বিড়ি বিক্রি হতো এবং সিগারেট বিক্রি হতো ১৫০ কোটি শলাকা, সেখানে সর্বশেষ হিসাবে প্রতি বছর বিড়ি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ কোটি শলাকা। অথচ সিগারেটের বিক্রি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০০ কোটিতে।

No comments: