সুখ-দুঃখ, ভালো-মন্দ, উত্থান-পতন_ সবকিছুকে সঙ্গী করেই বহতা নদীর মতো বয়ে চলে জীবন। সৃষ্টির শুরু থেকে প্রতিটি মানুষের জীবনেই চলছে আলো-আঁধারের অদৃশ্য খেলা। আলোর নিচে যেমন লুকিয়ে থাকে অন্ধকার, ঠিক তেমনি দুঃখের পরেই অপেক্ষা করে সীমাহীন সুখ। তাই তো সাহসীরা জীবনের উত্থান-পতনকে খুব স্বাভাবিক একটি ঘটনা বলেই মেনে নেন। কষ্টের সময় তারা কখনো লক্ষ্যভ্রষ্ট হন না। প্রকৃত সাহসীরা কখনো পরাজয় বরণও করেন না। আত্মবিশ্বাসই তাদের সম্বল। এমনি একজন সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস। ২০০৫ সালে অভিষেকের পর থেকে ছয় বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন এসেছে। পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক বন্ধুর পথ। কিন্তু নাফিস তার লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। তাই তো 'আইসিএল' নামক ঝড় তার বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে দুই বছর কেড়ে নিলেও ঠিকই আবার দলে জায়গা করে নিয়েছেন স্বীয় প্রতিভায়। কিন্তু দলে তার সেই আগের অবস্থান (ওপেনিং) এখনো ফিরে পাননি। এখন তাকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় তিন অথবা চার নম্বরে। তবে এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই তার। দলের জন্য পারফরম্যান্স করতে পেরেই দারুণ খুশি নাফিস। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, 'ব্যাটিং পজিসন নিয়ে সমস্যা নেই। আমি ওপেনার হলেও গত দুই বছর ঘরোয়া লিগে তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছি। সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছি। আবার বিশ্বকাপে চার নম্বরে খেলেছি। তাছাড়া আমার কাছে এক এবং তিন নম্বর ব্যাটিং অর্ডারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে আমি ওপেনিং অথবা ওয়ানডাউনে ব্যাটিং করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।'
২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে শাহরিয়ার নাফিস ছিলেন হাবিবুল বাশারের ডেপুটি। সে আসরে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে খেলতে না পারলেও এবার ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ নিয়ে তার স্বপ্ন ছিল অনেক। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'ইচ্ছা ছিল অনেক ভালো করার। কিন্তু আমি সুযোগ পেয়েছি শেষ দুটি ম্যাচে খেলার। তার মধ্যে একটি ম্যাচে ভালো করেছি। নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সে ম্যাচে দলও জয় পেয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আমি ভালো করতে পারিনি। দলও মাত্র ৭৮ রানে অলআউট হয়েছে। তাই খুব খারাপ লেগেছে।'
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে দর্শকদের অসন্তুষ্টি থাকলেও নাফিস তা মানতে রাজি নন। তিনি বলেন, 'টার্গেট অনুযায়ী তিনটি জয় তো আমরা পেয়েছি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হার দুটি খুব বাজে হয়েছে এটা সত্য।'
সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে বাংলাদেশ 'হোয়াইটওয়াশ' হওয়ার লজ্জা পেলেও শেষ দুটি ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন নাফিস। তাই বাতাসে গুঞ্জরিত হচ্ছে এবার নাফিসের কাঁধেই আসছে অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমি ওসব নিয়ে কোনো চিন্তা করছি না। আমার টার্গেট ভালো খেলা। আপাতত আমার সব চিন্তা ব্যাটিং নিয়ে, ক্যারিয়ারের উন্নতি নিয়ে। কিভাবে ব্যাটিং করলে আরও উন্নতি করা যাবে, কিভাবে ফিল্ডিং করলে আরও ভালো ফিল্ডার হতে পারব এ নিয়েই আমি ব্যস্ত থাকতে চাই। তাছাড়া আমার দৃষ্টিতে সাকিব তো ভালোই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।'
বর্তমানে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে কোচ নিয়ে। জেমি সিডন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এখন নতুন কে হচ্ছেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কোচ দেশি হোক বা বিদেশি কেউ হোক তা নিয়ে যেন মাথাব্যথা নেই নাফিসের। তিনি বলেন, 'কোনো কোচের সঙ্গে খেলতে আমার অসুবিধা হয়নি, আশা করছি হবেও না। তাই এ বিষয় নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। কোচ যেই হোক না কেন আমার লক্ষ্য থাকে তার কাছ থেকে শতভাগ আদায় করে নেওয়া। আগেও আমি এই কাজটিই করেছি, ভবিষ্যতেও করব।'
বাংলাদেশের পরবর্তী সিরিজ জুলাইয়ে, জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে। এর আগে প্রায় তিন মাস সময় পাবেন ক্রিকেটার। এই সময়টা কিভাবে অতিবাহিত করবেন? এ প্রশ্নে নাফিস বলেন, 'প্রথম এক সপ্তাহ বিশ্রাম নেব। তারপর এক মাস ফিটনেস ট্রেনিং করব। তারপর বাকি সময়টা ব্যাটিং প্র্যাকটিস করব। তবে আমার মনে হয় কয়েক দিনের মধ্যেই বিসিবি থেকে অফিসিয়ালি কোনো নির্দেশনা দিতে পারে।'
বিশ্বকাপে ৫৮ ও ৭৮ রানের দুটি লজ্জা। তারপর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে 'হোয়াইটওয়াশ'_ সব মিলে একটা খারাপ সময় পার করছেন ক্রিকেটাররা। এমন সময় ক্রিকেটারদের কি করা উচিত? এ প্রশ্নে বাংলাদেশ দলে সিনিয়র এ ক্রিকেটার বলেন, 'সবাই আমরা এমনিতেই কঠোর পরিশ্রম করি। তবে আমাদের পরিশ্রমের মাত্রা আরও অনেক বাড়াতে হবে। প্রত্যেকটি সুযোগ যতাযথ ব্যবহার করতে হবে। আর তাহলে এমনিতেই ফলাফল ভালো হবে বলে আমি মনে করি।' অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফিরে পাওয়া আত্মবিশ্বাসটা আগামী জিম্বাবুয়ে সফরে দারুণ কাজে আসবে বলে মনে করেন শাহরিয়ার নাফিস।
২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে শাহরিয়ার নাফিস ছিলেন হাবিবুল বাশারের ডেপুটি। সে আসরে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে খেলতে না পারলেও এবার ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ নিয়ে তার স্বপ্ন ছিল অনেক। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'ইচ্ছা ছিল অনেক ভালো করার। কিন্তু আমি সুযোগ পেয়েছি শেষ দুটি ম্যাচে খেলার। তার মধ্যে একটি ম্যাচে ভালো করেছি। নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সে ম্যাচে দলও জয় পেয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আমি ভালো করতে পারিনি। দলও মাত্র ৭৮ রানে অলআউট হয়েছে। তাই খুব খারাপ লেগেছে।'
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে দর্শকদের অসন্তুষ্টি থাকলেও নাফিস তা মানতে রাজি নন। তিনি বলেন, 'টার্গেট অনুযায়ী তিনটি জয় তো আমরা পেয়েছি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হার দুটি খুব বাজে হয়েছে এটা সত্য।'
সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে বাংলাদেশ 'হোয়াইটওয়াশ' হওয়ার লজ্জা পেলেও শেষ দুটি ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন নাফিস। তাই বাতাসে গুঞ্জরিত হচ্ছে এবার নাফিসের কাঁধেই আসছে অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমি ওসব নিয়ে কোনো চিন্তা করছি না। আমার টার্গেট ভালো খেলা। আপাতত আমার সব চিন্তা ব্যাটিং নিয়ে, ক্যারিয়ারের উন্নতি নিয়ে। কিভাবে ব্যাটিং করলে আরও উন্নতি করা যাবে, কিভাবে ফিল্ডিং করলে আরও ভালো ফিল্ডার হতে পারব এ নিয়েই আমি ব্যস্ত থাকতে চাই। তাছাড়া আমার দৃষ্টিতে সাকিব তো ভালোই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।'
বর্তমানে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে কোচ নিয়ে। জেমি সিডন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এখন নতুন কে হচ্ছেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কোচ দেশি হোক বা বিদেশি কেউ হোক তা নিয়ে যেন মাথাব্যথা নেই নাফিসের। তিনি বলেন, 'কোনো কোচের সঙ্গে খেলতে আমার অসুবিধা হয়নি, আশা করছি হবেও না। তাই এ বিষয় নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। কোচ যেই হোক না কেন আমার লক্ষ্য থাকে তার কাছ থেকে শতভাগ আদায় করে নেওয়া। আগেও আমি এই কাজটিই করেছি, ভবিষ্যতেও করব।'
বাংলাদেশের পরবর্তী সিরিজ জুলাইয়ে, জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে। এর আগে প্রায় তিন মাস সময় পাবেন ক্রিকেটার। এই সময়টা কিভাবে অতিবাহিত করবেন? এ প্রশ্নে নাফিস বলেন, 'প্রথম এক সপ্তাহ বিশ্রাম নেব। তারপর এক মাস ফিটনেস ট্রেনিং করব। তারপর বাকি সময়টা ব্যাটিং প্র্যাকটিস করব। তবে আমার মনে হয় কয়েক দিনের মধ্যেই বিসিবি থেকে অফিসিয়ালি কোনো নির্দেশনা দিতে পারে।'
বিশ্বকাপে ৫৮ ও ৭৮ রানের দুটি লজ্জা। তারপর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে 'হোয়াইটওয়াশ'_ সব মিলে একটা খারাপ সময় পার করছেন ক্রিকেটাররা। এমন সময় ক্রিকেটারদের কি করা উচিত? এ প্রশ্নে বাংলাদেশ দলে সিনিয়র এ ক্রিকেটার বলেন, 'সবাই আমরা এমনিতেই কঠোর পরিশ্রম করি। তবে আমাদের পরিশ্রমের মাত্রা আরও অনেক বাড়াতে হবে। প্রত্যেকটি সুযোগ যতাযথ ব্যবহার করতে হবে। আর তাহলে এমনিতেই ফলাফল ভালো হবে বলে আমি মনে করি।' অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফিরে পাওয়া আত্মবিশ্বাসটা আগামী জিম্বাবুয়ে সফরে দারুণ কাজে আসবে বলে মনে করেন শাহরিয়ার নাফিস।
No comments:
Post a Comment