স্প্যানিশ লা লিগাতে আজকের রাতটি অন্য রাতের মতো নয়। 'এল ক্লাসিকো' নামক শব্দটি শুধু স্প্যানিশদের নয়, বিশ্বব্যাপীই এক আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফুটবল কিংবা ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয় বার্সা-রিয়ালের ফুটবল দ্বৈরথ। বরং কিছু ক্ষেত্রে সম্ভবত সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে 'এল ক্লাসিকো'। এই মাত্রা বাড়ানোর জন্য দায়ী হতে পারেন লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বার্সা-রিয়াল দ্বৈরথে মেসি-রোনালদোর দিকেই তাকিয়ে থাকেন ভক্তরা। আজ আরও একটি 'এল ক্লাসিকো'। মৌসুমের দ্বিতীয় এবং লা লিগাতে ১৬২তম। সব মিলিয়ে বার্সা-রিয়ালের 'এল ক্লাসিকো' হতে যাচ্ছে ২১০তম। ২১০তম এ প্রতিযোগিতায় আসার পর বার্সা-রিয়াল নিজেদের দিকে পৃথিবীর প্রায় সব ফুটবল ভক্তরই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। কাতালানদের অপ্রতিরোধ্য জয়যাত্রা ঠেকিয়ে দিতে গত মৌসুমেই রিয়াল মাদ্রিদে আগমন ঘটেছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। কিন্তু তিনি পারেননি। বরং 'এল ক্লাসিকো'তে টানা চারবারের পরাজয় নিয়েই শেষ হয়েছিল রিয়ালের গত মৌসুম। এবারেও বার্নাব্যুতে প্রথম 'এল ক্লাসিকো' জয় করেছে বার্সেলোনা। গত বছরের ২৯ নভেম্বরে ৫-০ ব্যবধানের বিশাল জয়টি বার্সেলোনার জন্য লা লিগাতে ১৯৯৪ সালের পর সর্বোচ্চ ব্যবধানের বিজয় ছিল।
বার্সেলোনা লা লিগাতে টানা পাঁচটি 'এল ক্লাসিকো' জয় করে রেকর্ড গড়ে নিয়েছে। টানা জয়ের রেকর্ডটি অবশ্য এখনো রিয়ালের ঝুলিতে রয়ে গেছে। তবে আজ বার্সেলোনা জয় পেলেই রিয়ালের সর্বোচ্চ টানা জয়ের রেকর্ডে ভাগ বসাতে পারবে। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে রিয়াল বার্সেলোনার বিপক্ষে টানা ৬ বার জয় পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনা কি তবে এবারে সেই রেকর্ড ছুঁতে যাচ্ছে?
রিয়াল মাদ্রিদ ৫-০ ব্যবধানের পরাজয়ের 'শক' নিয়ে নূ্য ক্যাম্পে খেলতে নামবে। নূ্য ক্যাম্পে প্রায় এক লাখ দর্শক বার্সেলোনার বিজয়ের জন্য চিৎকার করবে আজ। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কি আজ এই চিৎকারের মাঝে নিজের শ্রেষ্ঠ ফুটবল উপহার দিতে পারবেন? যদি না পারেন রিয়ালের আজও কোনো আশা থাকবে না। যেসব উপায়ে রিয়াল মাদ্রিদ জয় পেতে পারে বার্সেলোনার বিপক্ষে তার একটি হলো রোনালদোর জ্বলে উঠা। আরও কয়েকটি বিষয়ও নিশ্চিত করতে হবে কোচ হোসে মরিনহোকে। বার্সেলোনার পাসিং এবং মুভিং পলিসির ওপর তীক্ষ্ন দৃষ্টি রেখে নিজের রণ কৌশল সাজাতে হবে। বার্সার মূল শক্তি এই পাসিং পদ্ধতিই। যে পদ্ধতিতে অনেকটা খেলে থাকে স্পেনের জাতীয় দল। বার্সেলোনার বাম পাশের আক্রমণ থেকে বাঁচার কৌশলও বের করতে হবে রিয়াল কোচকে। দানিয়েল আলভেস ফুল বেক খেলেও এ পাশে বেশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেছেন। কখনো কখনো তিনি জাভি-ইনিয়েস্তার বিকল্পও হয়ে ওঠছেন। এরপর আছে কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগের দুর্বার বাধা। কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগ সামলানোর দায়িত্ব কার্লোস পুয়লের। কিন্তু এই তারকা গত তিন মাস ধরেই বার্সার বাইরে। বর্তমানে পিকের পাশে থেকে এ দায়িত্ব বেশ ভালোভাবেই পালন করে যাচ্ছেন মাসকারেনো এবং বাসকুয়েটস। তারা বেশ ভালোভাবেই বার্সেলোনার কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগ সামলে রাখছেন। যার কারণে বার্সেলোনার গোল পোস্ট অধিকাংশ সময়ই থাকে আক্রমণ মুক্ত। ভিক্টর ভালদেজ নিশ্চিন্ত থাকেন এ জন্যই। এই রক্ষণভাগ ভেঙে বল ভেতরে নিয়ে আসার কৌশলও ভাবতে হচ্ছে হোসে মরিনহোকে।
বার্সেলোনাকে অতিক্রম করার এক দুর্বার আকাক্সক্ষা নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে এসেছিলেন হোসে মরিনহো। কিন্তু কোনোভাবেই থামাতে পারছেন না পেপ গার্ডিওলাকে। মেসির কোনো প্রতিষেধকই খুঁজে পাচ্ছেন না মরিনহো? গত 'এল ক্লাসিকো'তে মেসি কোনো গোল করতে পারেননি। কিন্তু গোল করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে। মেসিকে গোল থেকে বিরত রেখে এক ধরনের সফলতা দেখিয়েছেন মরিনহো। কিন্তু একজনকে আটকাতে গিয়ে তিনি খুলে দিয়েছিলেন আরও অনেকের দুয়ার। ৫-০ ব্যবধানের বিশাল পরাজয়টি সেকথাই বলে। গার্ডিওলা-মরিনহোর এ যুদ্ধ কিভাবে শেষ হবে তা কেবল মাঠেই প্রমাণ হতে পারে। কিন্তু ইতোমধ্যেই লিওনেল মেসি ছাড়িয়ে গেছেন রোনালদোকে। অনেকটা এগিয়ে থেকেই আজ তিনি নিজের মাঠে খেলতে নামবেন চিরপ্রতিপক্ষের বিপক্ষে। মরিনহোর কৌশলকে কিভাবে পরাভূত করেন লিওনেল মেসি এ দৃশ্যগুলি দেখার জন্যও আজ দর্শকরা উন্মুখ হয়ে থাকবেন।
লা লিগার শেষ 'এল ক্লাসিকো' আজ। কিন্তু দর্শকদের হতাশার কিছু নেই। স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দর্শকদের সামনে সুযোগ এনে দিয়েছে আরও তিনটি 'এল ক্লাসিকো' বেশি দেখার। ২০ ও ২৭ এপ্রিল এবং ৩ মে আরা তিনটি এল ক্লাসিকো হতে যাচ্ছে। প্রস্তুত হয়ে থাকাই ভালো।
বার্সেলোনা লা লিগাতে টানা পাঁচটি 'এল ক্লাসিকো' জয় করে রেকর্ড গড়ে নিয়েছে। টানা জয়ের রেকর্ডটি অবশ্য এখনো রিয়ালের ঝুলিতে রয়ে গেছে। তবে আজ বার্সেলোনা জয় পেলেই রিয়ালের সর্বোচ্চ টানা জয়ের রেকর্ডে ভাগ বসাতে পারবে। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে রিয়াল বার্সেলোনার বিপক্ষে টানা ৬ বার জয় পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনা কি তবে এবারে সেই রেকর্ড ছুঁতে যাচ্ছে?
রিয়াল মাদ্রিদ ৫-০ ব্যবধানের পরাজয়ের 'শক' নিয়ে নূ্য ক্যাম্পে খেলতে নামবে। নূ্য ক্যাম্পে প্রায় এক লাখ দর্শক বার্সেলোনার বিজয়ের জন্য চিৎকার করবে আজ। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কি আজ এই চিৎকারের মাঝে নিজের শ্রেষ্ঠ ফুটবল উপহার দিতে পারবেন? যদি না পারেন রিয়ালের আজও কোনো আশা থাকবে না। যেসব উপায়ে রিয়াল মাদ্রিদ জয় পেতে পারে বার্সেলোনার বিপক্ষে তার একটি হলো রোনালদোর জ্বলে উঠা। আরও কয়েকটি বিষয়ও নিশ্চিত করতে হবে কোচ হোসে মরিনহোকে। বার্সেলোনার পাসিং এবং মুভিং পলিসির ওপর তীক্ষ্ন দৃষ্টি রেখে নিজের রণ কৌশল সাজাতে হবে। বার্সার মূল শক্তি এই পাসিং পদ্ধতিই। যে পদ্ধতিতে অনেকটা খেলে থাকে স্পেনের জাতীয় দল। বার্সেলোনার বাম পাশের আক্রমণ থেকে বাঁচার কৌশলও বের করতে হবে রিয়াল কোচকে। দানিয়েল আলভেস ফুল বেক খেলেও এ পাশে বেশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেছেন। কখনো কখনো তিনি জাভি-ইনিয়েস্তার বিকল্পও হয়ে ওঠছেন। এরপর আছে কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগের দুর্বার বাধা। কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগ সামলানোর দায়িত্ব কার্লোস পুয়লের। কিন্তু এই তারকা গত তিন মাস ধরেই বার্সার বাইরে। বর্তমানে পিকের পাশে থেকে এ দায়িত্ব বেশ ভালোভাবেই পালন করে যাচ্ছেন মাসকারেনো এবং বাসকুয়েটস। তারা বেশ ভালোভাবেই বার্সেলোনার কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগ সামলে রাখছেন। যার কারণে বার্সেলোনার গোল পোস্ট অধিকাংশ সময়ই থাকে আক্রমণ মুক্ত। ভিক্টর ভালদেজ নিশ্চিন্ত থাকেন এ জন্যই। এই রক্ষণভাগ ভেঙে বল ভেতরে নিয়ে আসার কৌশলও ভাবতে হচ্ছে হোসে মরিনহোকে।
বার্সেলোনাকে অতিক্রম করার এক দুর্বার আকাক্সক্ষা নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে এসেছিলেন হোসে মরিনহো। কিন্তু কোনোভাবেই থামাতে পারছেন না পেপ গার্ডিওলাকে। মেসির কোনো প্রতিষেধকই খুঁজে পাচ্ছেন না মরিনহো? গত 'এল ক্লাসিকো'তে মেসি কোনো গোল করতে পারেননি। কিন্তু গোল করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে। মেসিকে গোল থেকে বিরত রেখে এক ধরনের সফলতা দেখিয়েছেন মরিনহো। কিন্তু একজনকে আটকাতে গিয়ে তিনি খুলে দিয়েছিলেন আরও অনেকের দুয়ার। ৫-০ ব্যবধানের বিশাল পরাজয়টি সেকথাই বলে। গার্ডিওলা-মরিনহোর এ যুদ্ধ কিভাবে শেষ হবে তা কেবল মাঠেই প্রমাণ হতে পারে। কিন্তু ইতোমধ্যেই লিওনেল মেসি ছাড়িয়ে গেছেন রোনালদোকে। অনেকটা এগিয়ে থেকেই আজ তিনি নিজের মাঠে খেলতে নামবেন চিরপ্রতিপক্ষের বিপক্ষে। মরিনহোর কৌশলকে কিভাবে পরাভূত করেন লিওনেল মেসি এ দৃশ্যগুলি দেখার জন্যও আজ দর্শকরা উন্মুখ হয়ে থাকবেন।
লা লিগার শেষ 'এল ক্লাসিকো' আজ। কিন্তু দর্শকদের হতাশার কিছু নেই। স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দর্শকদের সামনে সুযোগ এনে দিয়েছে আরও তিনটি 'এল ক্লাসিকো' বেশি দেখার। ২০ ও ২৭ এপ্রিল এবং ৩ মে আরা তিনটি এল ক্লাসিকো হতে যাচ্ছে। প্রস্তুত হয়ে থাকাই ভালো।
No comments:
Post a Comment