নয়টার বিমান কয়টায় ছাড়ে_ তা কারও জানা নেই। বিমান মন্ত্রণালয়, বিমান কর্তৃপক্ষ, কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ জানে না বাংলাদেশ বিমান চলছে কীভাবে। কেউ কারও কথা শুনছে না। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিমান কর্তৃপক্ষে দূরত্ব দিন দিন বাড়ছে। চরম দুনীর্তি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও কোটারি স্বার্থের কারণে জলাঞ্জলি যাচ্ছে দেশের স্বার্থ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ম্লান হচ্ছে দেশের সুনাম। বিমানের বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ সংসদীয় কমিটিও। বিমান মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের নানা অপকর্ম তুলে ধরে খুব শীঘ্রই এই কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি রিপোর্ট দেবে। আগামী ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য বিমান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভায় রিপোর্টটি অনুমোদিত হবে বলে জানা গেছে। তখন সেটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেওয়া হবে।
বিমানের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিমানে এখন চলছে চরম নৈরাজ্য। সিডিউলের কোনো বালাই নেই। কোন ফ্লাইট কখন ছাড়বে বা কয়টার ফ্লাইট কয়টায় ছাড়বে তা কেউ জানেন না। পাইলট থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে বিরাজ করছে পারস্পরিক কোন্দল। এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বিমানে নতুন কিছু নয়। পাইলটরা কোনো নিয়মনীতি মানছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা দেশের ইমেজকে সব কিছুর ঊধর্ে্ব না রেখে হুটহাট করে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিতেও দ্বিধা করেন না। মাত্র কিছুদিন আগেই এ ধরনের একটি বিব্রতকর ঘটনায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন। এ ধরনের বিভিন্ন ঘটনায় দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে যাত্রী সেবা। এরই মধ্যে বিমানের লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এসব রুটের বিমানের ভাড়া এখন অনেক বেশি। যাত্রীসেবার মান সবচেয়ে নিম্নমানের হওয়া সত্ত্বেও ভাড়া বাড়ানোর কারণে বিমান দিন দিন যাত্রী হারাচ্ছে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো মার্কেটিং বিভাগকে না জানিয়েই অর্থ বিভাগের সিদ্ধান্তে বাড়ানো হয়েছে ভাড়া। অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বিমানকে নিউইয়র্ক রুটটিও হারাতে হয়েছে। এখন সর্বসাকুল্যে ৮টি উড়োজাহাজ নিয়ে চলছে বাংলাদেশের গর্ব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। নতুন উড়োজাহাজ না কিনে লিজে আনার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়েও চলছে নানা ধরনের তুগলকি কাণ্ড। লিজের জাহাজ কবে আসবে তাও কারও জানা নেই। এদিকে বিমানের লোকসানের হার এমন পর্যায়ের পেঁৗছেছে যে, চলতি মাসের বেতন নিয়েই সংকট চলছে। প্রতি মাসে ২৮-২৯ তারিখের মধ্যে বেতন হলেও গতকাল পর্যন্ত বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন হয়নি বলে জানা গেছে।
বিমান পরিচালনা ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং বিমান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিও বিব্রত। কারণ বিমান পরিচালনা বোর্ড মন্ত্রণালয়ের কোনো সিদ্ধান্ত মানছে না। এদিকে মন্ত্রণালয়ও মানছে না সংসদীয় কমিটি সুপারিশ। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি হযবরল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তিনপক্ষই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিমান মন্ত্রী জিএম কাদের প্রধানমন্ত্রীকে একটি লিখিত আবেদনও পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সংসদীয় কমিটি বিমান বিষয়ে এ যাবৎ বেশ কয়েকটি সভা করেছেন। বিমান কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি ওই সব সভায় আলোচনা হয়েছে। কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল বিষয়টি নিয়ে অনেক বার কথাও বলেছেন। কিন্তু কোনো সমাধানে পেঁৗছতে পারেননি। অবশেষে আগামী ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য কমিটির সভায় নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কমিটির সদস্য সৈয়দ মহসিন আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ৬ তারিখের সভার সিদ্ধান্তের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পেশ করা হবে। কমিটি যে সব তথ্য-উপাত্ত পেয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানাতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, বৈঠকের আগে কোনো কিছুই বলা যাবে না। তবে বিস্ময়কর অনেক তথ্য প্রমাণ কমিটির হাতে আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সার্বিক বিষয়ে বিমান পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিমানের ৮টি জাহাজ আছে। এর মধ্যে ৪টি ডিসি-১০ এর বয়স ৩৩ বছর। এফ-২০ গুলোর বয়সও একই রকম। এ সব জাহাজ এখন আর কেউ বানায় না। এগুলোর স্পেয়ার পার্সও পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় এ ধরণের জাহাজ দিয়ে একটি এয়ারলাইন্স চালানো সত্যি কষ্টকর। আর সে কারণেই ফ্লাইট সিডিউল রক্ষা করা যাচ্ছে না। মন্ত্রণালয় ও বিমান কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনও দূরত্ব নেই দাবি করে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব বিমান বোর্ডের একজন সদস্য, সে কারণে কোনও দূরত্ব সৃষ্টির সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বিমানের সব অনিয়ম, দুনীর্তি দূর করার চেষ্টা করছি। দুনীর্তির-অনিয়মের সঙ্গে যদি তাল মিলিয়ে চলতাম তাহলে আমি সবার কাছেই প্রিয় পাত্র হতাম।
বিমানের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিমানে এখন চলছে চরম নৈরাজ্য। সিডিউলের কোনো বালাই নেই। কোন ফ্লাইট কখন ছাড়বে বা কয়টার ফ্লাইট কয়টায় ছাড়বে তা কেউ জানেন না। পাইলট থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে বিরাজ করছে পারস্পরিক কোন্দল। এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বিমানে নতুন কিছু নয়। পাইলটরা কোনো নিয়মনীতি মানছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা দেশের ইমেজকে সব কিছুর ঊধর্ে্ব না রেখে হুটহাট করে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিতেও দ্বিধা করেন না। মাত্র কিছুদিন আগেই এ ধরনের একটি বিব্রতকর ঘটনায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন। এ ধরনের বিভিন্ন ঘটনায় দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে যাত্রী সেবা। এরই মধ্যে বিমানের লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এসব রুটের বিমানের ভাড়া এখন অনেক বেশি। যাত্রীসেবার মান সবচেয়ে নিম্নমানের হওয়া সত্ত্বেও ভাড়া বাড়ানোর কারণে বিমান দিন দিন যাত্রী হারাচ্ছে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো মার্কেটিং বিভাগকে না জানিয়েই অর্থ বিভাগের সিদ্ধান্তে বাড়ানো হয়েছে ভাড়া। অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বিমানকে নিউইয়র্ক রুটটিও হারাতে হয়েছে। এখন সর্বসাকুল্যে ৮টি উড়োজাহাজ নিয়ে চলছে বাংলাদেশের গর্ব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। নতুন উড়োজাহাজ না কিনে লিজে আনার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়েও চলছে নানা ধরনের তুগলকি কাণ্ড। লিজের জাহাজ কবে আসবে তাও কারও জানা নেই। এদিকে বিমানের লোকসানের হার এমন পর্যায়ের পেঁৗছেছে যে, চলতি মাসের বেতন নিয়েই সংকট চলছে। প্রতি মাসে ২৮-২৯ তারিখের মধ্যে বেতন হলেও গতকাল পর্যন্ত বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন হয়নি বলে জানা গেছে।
বিমান পরিচালনা ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং বিমান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিও বিব্রত। কারণ বিমান পরিচালনা বোর্ড মন্ত্রণালয়ের কোনো সিদ্ধান্ত মানছে না। এদিকে মন্ত্রণালয়ও মানছে না সংসদীয় কমিটি সুপারিশ। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি হযবরল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তিনপক্ষই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিমান মন্ত্রী জিএম কাদের প্রধানমন্ত্রীকে একটি লিখিত আবেদনও পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সংসদীয় কমিটি বিমান বিষয়ে এ যাবৎ বেশ কয়েকটি সভা করেছেন। বিমান কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি ওই সব সভায় আলোচনা হয়েছে। কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল বিষয়টি নিয়ে অনেক বার কথাও বলেছেন। কিন্তু কোনো সমাধানে পেঁৗছতে পারেননি। অবশেষে আগামী ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য কমিটির সভায় নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কমিটির সদস্য সৈয়দ মহসিন আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ৬ তারিখের সভার সিদ্ধান্তের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পেশ করা হবে। কমিটি যে সব তথ্য-উপাত্ত পেয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানাতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, বৈঠকের আগে কোনো কিছুই বলা যাবে না। তবে বিস্ময়কর অনেক তথ্য প্রমাণ কমিটির হাতে আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সার্বিক বিষয়ে বিমান পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিমানের ৮টি জাহাজ আছে। এর মধ্যে ৪টি ডিসি-১০ এর বয়স ৩৩ বছর। এফ-২০ গুলোর বয়সও একই রকম। এ সব জাহাজ এখন আর কেউ বানায় না। এগুলোর স্পেয়ার পার্সও পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় এ ধরণের জাহাজ দিয়ে একটি এয়ারলাইন্স চালানো সত্যি কষ্টকর। আর সে কারণেই ফ্লাইট সিডিউল রক্ষা করা যাচ্ছে না। মন্ত্রণালয় ও বিমান কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনও দূরত্ব নেই দাবি করে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব বিমান বোর্ডের একজন সদস্য, সে কারণে কোনও দূরত্ব সৃষ্টির সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বিমানের সব অনিয়ম, দুনীর্তি দূর করার চেষ্টা করছি। দুনীর্তির-অনিয়মের সঙ্গে যদি তাল মিলিয়ে চলতাম তাহলে আমি সবার কাছেই প্রিয় পাত্র হতাম।
No comments:
Post a Comment