সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৫৮ বছর করার প্রস্তাব করে সিভিল সার্ভিস আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ নিতে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জেলা প্রশাসকদের ওয়েবসাইটে খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীরা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ দিতে পারবেন। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের উপসচিবের (সিপি) দফতরে ডাকযোগে অথবা csaopinion_moestab.gov.bd ঠিকানায় ই-মেইলে মতামত ও পরামর্শ দেওয়া যাবে। খসড়ার ২০ (১) ধারায় স্বাভাবিক অবসরের বয়সসীমা ৫৮ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে চাকরিকাল ২০ বছর পূরণ হলেই কোনো কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করতে পারবেন।
এতে জনপ্রশাসনকে তিনটি স্তরে ১২টি গ্রেডে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সুপিরিয়র স্তরে প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রেড এবং জুনিয়র স্তরে ১০, ১১ ও ১২তম গ্রেডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্য সাতটি গ্রেডকেই সিনিয়র স্তরভুক্ত করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে সুপিরিয়র স্তরের দ্বিতীয় গ্রেডে সিনিয়র স্তরের তৃতীয় গ্রেড থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে পদ পূরণের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এ পদোন্নতির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ উন্মুক্ত রাখা হবে। যা রাষ্ট্রপতির শর্ত ও মেয়াদের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। সিনিয়র স্তরের সর্বনিন্ম গ্রেডের শতকরা ৮০ শতাংশ পদে সরাসরি নিয়োগ হবে। অন্য ২০ শতাংশ পদ জুনিয়র স্তর থেকে যোগ্যতা ও দক্ষতার বিচারে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে। সরাসরি নিয়োগ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের ১৫ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সদস্য পরপর তিন বার একই ধরনের পদে পদোন্নতির পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করতে পারবেন। তবে চতুর্থবারও অকৃতকার্য হলে কারণ দর্শানো ছাড়াই সরকার তাকে অবসরে পাঠাতে পারবে। এক্ষেত্রে অবসরের স্বাভাবিক বয়স হবে ৫৫ বছর
No comments:
Post a Comment